হাওড়া, 29 সেপ্টেম্বর : টানা বৃষ্টিতে মাথায় হাত হাওড়ার প্রতিমা শিল্পীদের ৷ বৃষ্টি ভেজা আবহাওয়ায় প্রতিমা শুকোতে দীর্ঘ সময় লাগছে ৷ এদিকে, হাতে দিন বাঁধা ৷ কীভাবে বরাত পাওয়া প্রতিমার কাজ নির্দিষ্ট সময় শেষ করে তা গ্রাহকদের হাতে তুলে দেবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না শিল্পীরা ৷
আরও পড়ুন : Durga Puja Special : ইন্দো-বাংলা সীমান্তে জমিদারবাড়িতে একইসঙ্গে পুজো হয় সোনা ও মাটির দুর্গার
ইদানীংকালে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা বেড়েছে ৷ দফায় দফায় বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজ্যের জনজীবন ৷ একদিকে অতিবৃষ্টি, অন্যদিকে বেহাল নিকাশিব্যবস্থা, এই দুইয়ের জাঁতাকলে পড়ে জলমগ্ন উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ জল থই থই আন্দুলের প্রতিমা শিল্পীদের বাড়ির অন্দরও ৷ ফলে জমা জলে দাঁড়িয়েই চলছে প্রতিমা গড়া ও রং করার কাজ ৷ বড় বড় স্ট্যান্ড ফ্যান চালিয়ে মাটির মূর্তি শুকনো করার চেষ্টা চলছে ৷ এতে বিদ্যুতের খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও ৷ কিন্তু শিল্পীরা নিরুপায় ৷
শম্ভুনাথ মণ্ডল নামে এলাকার এক প্রতিমা শিল্পী জানালেন, ঝুঁকি নিয়ে হলেও কাজ করে যেতে হচ্ছে তাঁদের ৷ রাতভর বৃষ্টি তাঁদের ঘুম কেড়েছে ৷ সারা রাত ঠায় দাঁড়িয়ে কুমোরটুলি পাহারা দিতে হচ্ছে ৷ প্রতিমা রক্ষা করতে কেউ প্লাস্টিকের চাদর চাপা দিচ্ছেন, কেউ বা বাঁশের মাচা তৈরি করে তার উপরেই তুলে দিচ্ছেন ঠাকুর ৷ এভাবেই কোনও মতে চলছে মূর্তি গড়ার কাজ ৷
আরও পড়ুন : Durga Pujo : 300 বছর ধরে মেদিনীপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবারে অসুর ছাড়া পূজিত হন অভয়া দুর্গা
আন্দুলের এই কুমোরটুলি থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তে দুর্গাপ্রতিমা সরবরাহ করা হয় ৷ কিন্তু একটানা বৃষ্টির জেরে কাজ একদমই এগোচ্ছে না ৷ উপরন্তু, বৃষ্টিতে মাটি-সহ প্রতিমা তৈরির সমস্ত কাঁচামালেরই দাম বাড়ছে ৷ এমনিতেই করোনা আর লকডাউন নিয়ে জেরবার মৃৎশিল্পীরা ৷ পুজোয় বরাত পেয়ে রোজগারের খরা কিছুটা কাটার আশা করেছিলেন তাঁরা ৷ কিন্তু, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে মূর্তি তৈরির খরচ, কারিগরদের পারিশ্রমিক মিটিয়ে যে টাকা হাতে থাকবে, তা দিয়ে আদৌ সংসার চলবে কিনা সন্দেহ শিল্পীদের ৷