ETV Bharat / state

Local Train Service : দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে রোজের মতোই চেনা ছবি হাওড়া-শিয়ালদায়

লোকাল ট্রেনে উধাও শারীরিক দূরত্বের বিধি (Physical Distance) ৷ 50 শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালান (Local Train Service with 50 persent Passengers) যে কার্যত অসম্ভব, তা মেনে নিয়েছেন রেলের আধিকারিকরাও ৷ ফলে কঠোর বিধিনিষেধ (Covid Restrictions) জারির প্রথম দিনেও ব্যস্ততার চেনা ছবি হাওড়া, শিয়ালদায় ৷ এখনও বেশ কিছু যাত্রী মাস্ক পরছেন না বলে অভিযোগ ৷

physical distance norms violating in local train amid covid surge in west bengal
Local Train Service : দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে রোজের মতোই ব্যস্ত লোকাল ট্রেন
author img

By

Published : Jan 3, 2022, 1:38 PM IST

Updated : Jan 3, 2022, 4:10 PM IST

কলকাতা ও হাওড়া, 3 জানুয়ারি : রাজ্যজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্তে (Covid surge in West Bengal) কঠোর করা হয়েছে বিধিনিষেধ (Covid Restrictions) ৷ সবার আগে কোপ পড়েছে লোকাল ট্রেনের পরিষেবায় ৷ নবান্নের নির্দেশ, ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত 50 শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে লোকাল ট্রেন (Local Train Service with 50 persent Passengers) ৷ আর এখানেই উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন ৷ সরকারি নির্দেশিকায় ক্ষোভ বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ৷ সাধ্য মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও রাজ্য সরকারি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা যে সম্ভব নয়, তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন রেলের আধিকারিকরাও ৷

আরও পড়ুন : COVID 19 Vaccination: 15 বছরের ঊর্ধ্বে আজ থেকেই শুরু ভ্যাকসিনেশন

হাওড়া থেকে শিয়ালদা, সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ব্যস্ততা ছিল অন্যান্য দিনের মতোই ৷ নবান্নের নির্দেশ, মহামারী (বিশেষত ওমিক্রন) ঠেকাতে এদিন থেকেই সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে 50 শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করাতে হবে ৷ তবে কঠোর বিধিনিষেধ জারির প্রথম দিনে তার কোনও প্রভাব রেল স্টেশনগুলিতে অন্তত দেখা গেল না ৷ ফলে শিকেয় উঠল শারীরিক দূরত্বের বিধি (Physical Distance) ৷ এমনকী, যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও এদিনও চলন্ত ট্রেন এবং প্ল্য়াটফর্ম মাস্কহীন মুখ নজরে পড়েছে ৷

নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, প্রতিদিন মফঃসল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ করতে শহরে আসেন ৷ তাঁদের অধিকাংশই বেসরকারি সংস্থার কর্মী ৷ সেইসব বেসরকারি সংস্থার একটা বড় অংশ আবার ছোটখাটো বিভিন্ন উদ্যোগ ৷ এইসব সংস্থার পক্ষে 50 শতাংশ কর্মীকে দিয়ে কাজ করিয়ে মুনাফা ঘরে তোলা সম্ভব নয় ৷ সেক্ষেত্রে হয় তাদের কর্মী ছাঁটাই করতে হবে, আর তা না হলে কর্মীদের বেতনে কাটছাঁট করতে হবে ৷ দু’টি ক্ষেত্রেই বিপদে পড়বেন স্বল্প বেতনে চাকরি করতে আসা মানুষজন ৷ তাই নিত্যযাত্রীরা মনে করছেন, একমাত্র সরকারি পরিষেবা ও চাকরির ক্ষেত্রেই 50 শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করিয়ে পূর্ণ বেতন দেওয়া সম্ভব ৷ তাতে সরকারি কর্মীদের পৌষমাস হলেও বাকিদের চরম সর্বনাশ ছাড়া কিছুই নয় ৷ তাই সংক্রমণের ভয় থাকলেও প্রতিদিন অফিস আসতে বাধ্য তাঁরা ৷

দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে রোজের মতোই চেনা ছবি হাওড়া-শিয়ালদায়

এই অবস্থায় দূরত্ববিধি মেনে ট্রেনে চড়া কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করেন নিত্যযাত্রীরা ৷ তবে সহযাত্রীদের একাংশের গোঁয়ার্তুমিতেও বিরক্ত বাকি সচেতন যাত্রীরা ৷ এতকিছুর পরও এই যাত্রীরা কিছুতেই মুখে মাস্ক পরতে রাজি নন ৷ বাকিদের বক্তব্য, এই নিয়মভঙ্গকারীদের মাস্ক পরতে বললে তাঁরা মাস্ক ও টিকা নিয়ে রীতিমতো জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুরু করছেন ৷ এমনকী অনেকে দুর্ব্যবহার পর্যন্ত করছেন ৷ কিন্তু মাস্ক পরছেন না ৷ শুধুমাত্র এই যাত্রীরাই কার্যত দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের এবং বাকিদের বিপদ অনেকটা বাড়িয়ে দিচ্ছেন ৷

অন্যদিকে রেলের বক্তব্য হল, 50 শতাংশ যাত্রীকে মেপে মেপে ট্রেনের কামরায় তোলার পরিকাঠামো তাদের হাতে মজুত নেই ৷ কাজেই যাত্রীদের সচেতন হওয়ার অনুরোধ করা ছাড়া তাদের পক্ষে এই বিষয়ে অন্তত আর কিছু করার নেই ৷ তবে রেলকর্মী ও আধিকারিকদের দাবি, মাস্ক ছাড়া কাউকেই স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ তবে এই নজরদারিতেও যে ফাঁক রয়েছে, তা রেলযাত্রীদের অভিজ্ঞতা থেকেই স্পষ্ট ৷

আরও পড়ুন : Crowd Local Train: লোকাল ট্রেনে বাদুড় ঝোলা ভিড়, উধাও করোনাবিধি

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নীরজ কুমার এই প্রসঙ্গে জানান, তাঁদের আশা, অফিসগুলি কর্মী সঙ্কোচন করলেই ট্রেনেও ভিড় কমবে ৷ অর্থাৎ পুরোটাই নির্ভর করছে হাজার হাজার বেসরকারি অফিসের পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার উপর ৷ পাশাপাশি, মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন দুই আধিকারিক ৷

কলকাতা ও হাওড়া, 3 জানুয়ারি : রাজ্যজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্তে (Covid surge in West Bengal) কঠোর করা হয়েছে বিধিনিষেধ (Covid Restrictions) ৷ সবার আগে কোপ পড়েছে লোকাল ট্রেনের পরিষেবায় ৷ নবান্নের নির্দেশ, ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত 50 শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে লোকাল ট্রেন (Local Train Service with 50 persent Passengers) ৷ আর এখানেই উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন ৷ সরকারি নির্দেশিকায় ক্ষোভ বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ৷ সাধ্য মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও রাজ্য সরকারি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা যে সম্ভব নয়, তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন রেলের আধিকারিকরাও ৷

আরও পড়ুন : COVID 19 Vaccination: 15 বছরের ঊর্ধ্বে আজ থেকেই শুরু ভ্যাকসিনেশন

হাওড়া থেকে শিয়ালদা, সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ব্যস্ততা ছিল অন্যান্য দিনের মতোই ৷ নবান্নের নির্দেশ, মহামারী (বিশেষত ওমিক্রন) ঠেকাতে এদিন থেকেই সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে 50 শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করাতে হবে ৷ তবে কঠোর বিধিনিষেধ জারির প্রথম দিনে তার কোনও প্রভাব রেল স্টেশনগুলিতে অন্তত দেখা গেল না ৷ ফলে শিকেয় উঠল শারীরিক দূরত্বের বিধি (Physical Distance) ৷ এমনকী, যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও এদিনও চলন্ত ট্রেন এবং প্ল্য়াটফর্ম মাস্কহীন মুখ নজরে পড়েছে ৷

নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, প্রতিদিন মফঃসল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ করতে শহরে আসেন ৷ তাঁদের অধিকাংশই বেসরকারি সংস্থার কর্মী ৷ সেইসব বেসরকারি সংস্থার একটা বড় অংশ আবার ছোটখাটো বিভিন্ন উদ্যোগ ৷ এইসব সংস্থার পক্ষে 50 শতাংশ কর্মীকে দিয়ে কাজ করিয়ে মুনাফা ঘরে তোলা সম্ভব নয় ৷ সেক্ষেত্রে হয় তাদের কর্মী ছাঁটাই করতে হবে, আর তা না হলে কর্মীদের বেতনে কাটছাঁট করতে হবে ৷ দু’টি ক্ষেত্রেই বিপদে পড়বেন স্বল্প বেতনে চাকরি করতে আসা মানুষজন ৷ তাই নিত্যযাত্রীরা মনে করছেন, একমাত্র সরকারি পরিষেবা ও চাকরির ক্ষেত্রেই 50 শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করিয়ে পূর্ণ বেতন দেওয়া সম্ভব ৷ তাতে সরকারি কর্মীদের পৌষমাস হলেও বাকিদের চরম সর্বনাশ ছাড়া কিছুই নয় ৷ তাই সংক্রমণের ভয় থাকলেও প্রতিদিন অফিস আসতে বাধ্য তাঁরা ৷

দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে রোজের মতোই চেনা ছবি হাওড়া-শিয়ালদায়

এই অবস্থায় দূরত্ববিধি মেনে ট্রেনে চড়া কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করেন নিত্যযাত্রীরা ৷ তবে সহযাত্রীদের একাংশের গোঁয়ার্তুমিতেও বিরক্ত বাকি সচেতন যাত্রীরা ৷ এতকিছুর পরও এই যাত্রীরা কিছুতেই মুখে মাস্ক পরতে রাজি নন ৷ বাকিদের বক্তব্য, এই নিয়মভঙ্গকারীদের মাস্ক পরতে বললে তাঁরা মাস্ক ও টিকা নিয়ে রীতিমতো জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুরু করছেন ৷ এমনকী অনেকে দুর্ব্যবহার পর্যন্ত করছেন ৷ কিন্তু মাস্ক পরছেন না ৷ শুধুমাত্র এই যাত্রীরাই কার্যত দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের এবং বাকিদের বিপদ অনেকটা বাড়িয়ে দিচ্ছেন ৷

অন্যদিকে রেলের বক্তব্য হল, 50 শতাংশ যাত্রীকে মেপে মেপে ট্রেনের কামরায় তোলার পরিকাঠামো তাদের হাতে মজুত নেই ৷ কাজেই যাত্রীদের সচেতন হওয়ার অনুরোধ করা ছাড়া তাদের পক্ষে এই বিষয়ে অন্তত আর কিছু করার নেই ৷ তবে রেলকর্মী ও আধিকারিকদের দাবি, মাস্ক ছাড়া কাউকেই স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ তবে এই নজরদারিতেও যে ফাঁক রয়েছে, তা রেলযাত্রীদের অভিজ্ঞতা থেকেই স্পষ্ট ৷

আরও পড়ুন : Crowd Local Train: লোকাল ট্রেনে বাদুড় ঝোলা ভিড়, উধাও করোনাবিধি

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নীরজ কুমার এই প্রসঙ্গে জানান, তাঁদের আশা, অফিসগুলি কর্মী সঙ্কোচন করলেই ট্রেনেও ভিড় কমবে ৷ অর্থাৎ পুরোটাই নির্ভর করছে হাজার হাজার বেসরকারি অফিসের পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার উপর ৷ পাশাপাশি, মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন দুই আধিকারিক ৷

Last Updated : Jan 3, 2022, 4:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.