হাওড়া, 11 জুলাই : রাজ্যে যে হারে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেই হারে কমছে কোরোনা আতঙ্ক ৷ নাম মাত্র মুখে মাস্ক ৷ কনটেইনমেন্ট জ়োনে কড়া লকডাউনের তৃতীয় দিনেও সতর্ক নয় শহরবাসী ৷ প্রথম দিনের মতোই তৃতীয় দিনেও চিত্রটি মোটের উপরে একই ৷
কোরোনা ভাইরাস থেকে রাজ্য রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জ়োনে আগামী সাত দিন লকডাউন ঘোষণা করেছেন ৷ গত 9 জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে রাজ্যের সমস্ত কনটেইনমেন্ট জোনে শুরু হয়েছে লকডাউন । কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেন, বাইরের লোক আসছে এবং কনটেইনমেন্ট জ়োনে ঢুকছে । কনটেইনমেন্ট জ়োনের মানুষ বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ আটকানো যাবে না ।
এলাকারই এক বাসিন্দা উত্তম তেওয়ারি জানান, কনটেইনমেন্ট জ়োনের ব্যারিকেডের পাশেই চায়ের দোকান খোলা । লোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে । পুলিশ আসলেই লুকিয়ে পড়ছে । পরমুহূর্তেই আবার একই ছবি । এছাড়াও যে বাড়িতে কোরোনা হয়েছে সেখানে স্যানিটাইজ় হচ্ছে না । যে বাড়িতে কোরোনা আক্রান্ত আছে সেখানেও কোনো নজরদারি নেই । ওই বাড়ির লোকেরা এলাকায় ঘুরে বেড়াছে। তাই এভাবে লকডাউন করে কোনো কার্যসিদ্ধি হবে না ।
পাশাপাশি প্রশাসন সূত্রের খবর লকডাউন অমান্য করলেই করা হবে গ্রেপ্তার ৷ এত কিছুর পরেও হুঁশ ফিরছে না হাওড়াবাসীর ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য সরকারের লাগু করা পূর্ণ নিরাপত্তাজনিত বিধিনিষেধ তথা লকডাউন লঙ্ঘন করার দায়ে এই কড়াকড়ি ৷ লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে IPC ধারায় মামলা রুজু করা হবে ৷