ETV Bharat / state

কোরোনামুক্ত হওয়ার পরও বাড়িতে প্রবেশে বাধা, স্টেশনে ঠাঁই কলকাতা পৌরনিগমের কর্মীর - কলকাতা পৌরনিগম

এখন তিনি কোরোনামুক্ত । তাই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে । কিন্তু প্রতিবেশীরা বাধা দেওয়ায় ঢুকতে পারেননি বাড়িতে । ফলে স্টেশনে ঠাঁই হয় কলকাতা পৌরনিগমের এই কর্মীর ।

Corona Patient stay in station
স্টেশনে ঠাঁই কলকাতা পৌরনিগমের কর্মীর
author img

By

Published : May 16, 2020, 10:13 AM IST

হাওড়া, 16 মে : কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি । তবে, এখন তিনি সুস্থ । তাই হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু প্রতিবেশীরা বাধা দেওয়ায় ঢুকতে পারেননি বাড়িতে । শুধু তাই নয়, এই পুরো ঘটনায় পুলিশের তরফেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি । ফলে, স্টেশনে ঠাঁই হয় কলকাতা পৌরনিগমের এই কর্মীর ।

কলকাতা পৌরনিগমের ওই কর্মী তোপসিয়া পাম্পিং স্টেশনে পাম্প চালানোর কাজ করেন । 2 মে তাঁর জ্বর হয় । এম আর বাঙুর হাসপাতালে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হলে কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে । 13 মে তাঁর রিপোর্টে নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় । এরপর তিনি গতকাল বাড়ি যান । কিন্তু অভিযোগ, প্রতিবেশীরা আপত্তি জানান । খবর পেয়ে সেখানে মানিকপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীরা যান । তাঁরাও কলকাতা পৌরনিগমের ওই কর্মীকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ।

এই সমস্যার সমাধানে তিনি থানায় যান । কিন্তু সেখানেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । বরং, দু'প্যাকেট বিস্কুট, একটি পাউরুটি ও জলের বোতল কিনে দিয়ে সাঁকরাইল স্টেশনে রাত কাটাতে বলা হয় বলে জানান ওই পৌরকর্মী ।

পৌরকর্মীর অভিযোগ অস্বীকার করে মানিকপুর ফাঁড়ি । তারা জানায়, ওই ব্যক্তির থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হচ্ছে । ওই পৌরকর্মীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন নলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বনাথ মাকাল । তবে, তাঁর সঙ্গে শেষ যখন ফোনে যোগাযোগ করা হয় তখনও পর্যন্ত কোনওরকম ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানান ওই পৌরকর্মী । তিনি বলেন, "সাঁকরাইল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে অন্ধকারে বসে আছি । মশা কামড়াচ্ছে । এখানে বিদ্যুৎ নেই । আমার খুব কষ্ট হচ্ছে । আমি যেখানে হোক একটু বিশ্রাম চাই । সুস্থ শরীরে বাঁচতে চাই । আমার সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি । দোকান বন্ধ থাকায় কিছুই খেতে পাচ্ছি না । আমার সঙ্গে কেন এই অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে ? আমাকে যে কোনও জায়গায় একটু ঠাঁই দেওয়ার ব্যবস্থা করুন । "

হাওড়া, 16 মে : কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি । তবে, এখন তিনি সুস্থ । তাই হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু প্রতিবেশীরা বাধা দেওয়ায় ঢুকতে পারেননি বাড়িতে । শুধু তাই নয়, এই পুরো ঘটনায় পুলিশের তরফেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি । ফলে, স্টেশনে ঠাঁই হয় কলকাতা পৌরনিগমের এই কর্মীর ।

কলকাতা পৌরনিগমের ওই কর্মী তোপসিয়া পাম্পিং স্টেশনে পাম্প চালানোর কাজ করেন । 2 মে তাঁর জ্বর হয় । এম আর বাঙুর হাসপাতালে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হলে কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে । 13 মে তাঁর রিপোর্টে নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় । এরপর তিনি গতকাল বাড়ি যান । কিন্তু অভিযোগ, প্রতিবেশীরা আপত্তি জানান । খবর পেয়ে সেখানে মানিকপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীরা যান । তাঁরাও কলকাতা পৌরনিগমের ওই কর্মীকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ।

এই সমস্যার সমাধানে তিনি থানায় যান । কিন্তু সেখানেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । বরং, দু'প্যাকেট বিস্কুট, একটি পাউরুটি ও জলের বোতল কিনে দিয়ে সাঁকরাইল স্টেশনে রাত কাটাতে বলা হয় বলে জানান ওই পৌরকর্মী ।

পৌরকর্মীর অভিযোগ অস্বীকার করে মানিকপুর ফাঁড়ি । তারা জানায়, ওই ব্যক্তির থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হচ্ছে । ওই পৌরকর্মীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন নলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বনাথ মাকাল । তবে, তাঁর সঙ্গে শেষ যখন ফোনে যোগাযোগ করা হয় তখনও পর্যন্ত কোনওরকম ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানান ওই পৌরকর্মী । তিনি বলেন, "সাঁকরাইল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে অন্ধকারে বসে আছি । মশা কামড়াচ্ছে । এখানে বিদ্যুৎ নেই । আমার খুব কষ্ট হচ্ছে । আমি যেখানে হোক একটু বিশ্রাম চাই । সুস্থ শরীরে বাঁচতে চাই । আমার সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি । দোকান বন্ধ থাকায় কিছুই খেতে পাচ্ছি না । আমার সঙ্গে কেন এই অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে ? আমাকে যে কোনও জায়গায় একটু ঠাঁই দেওয়ার ব্যবস্থা করুন । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.