হাওড়া, 31 মে : নেই প্রশিক্ষণ । কেবলমাত্র ঝোঁকের বশে এভারেস্ট জয়ের জন্য ছুটছেন পর্বতারোহীরা । যার জেরে বাড়ছে বিপদ । এমন কী নেমে আসছে মৃত্যুও ।
হিসেব বলছে, এই মরসুমে এভারেস্টসহ বাকি আট হাজার ফুট উচ্চতার শৃঙ্গে উঠতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন 21 জন । তার মধ্যে এভারেস্টে উঠতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে 11 জনের । পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা ছাড়া এই যাত্রা বন্ধ না হলে বিপদ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন এভারেস্টজয়ী দেবাশিস বিশ্বাস । তিনি মোট 7টি আট হাজার ফুট উচ্চতার শৃঙ্গজয়ী প্রথম ভারতীয় ।
এপ্রসঙ্গে ETV ভারতকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দেবাশিসবাবু জানান, "পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ছাড়াই অনেকে ছুটে যাচ্ছেন এভারেস্ট জয়ের উদ্দেশ্যে । কিন্তু দেখা যাবে তাঁদের অর্ধেকের না আছে পূর্ব অভিজ্ঞতা না আছে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ । ফলে এভারেস্টের মতো দুর্গম পর্বত আরোহণে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা । এমন কী ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলেও ।"
কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁরা সুযোগ পাচ্ছেন এভারেস্টে ওঠার? দেবাশিসবাবু জানাচ্ছেন, "ভারতের ক্ষেত্রে মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশনের তরফে যোগ্যতা যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকলেও নেপালের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও ব্যবস্থা নেই । যে কেউ চাইলেই এভারেষ্টে উঠতে পারেন । কারণ নেপালে মাউন্টেনিয়ারিং টুরিজ়িমের অধীনেই পড়ে । ফলে টাকা দিলে যে কেউই উঠে যেতে পারেন এভারেস্টে ।"
তবে বিপদ এড়াতে পর্বতারোহীদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন দেবাশিসবাবু । তাঁর মত, যে কোনও আট হাজার ফুট উচ্চতার শৃঙ্গে ওঠার আগে বেশ কয়েকটি ছয় বা সাত হাজার ফুট উচ্চতার শৃঙ্গ জয় করে নেওয়া আবশ্যক । এছাড়াও একটি আট হাজার ফুট শৃঙ্গে ওঠার পর কী কী সমস্যা হতে পারে সেব্যপারে কিছুটা হলেও পড়াশোনা থাকা উচিত । পাশাপাশি পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ রয়েছে কি না তা যাচাই করে নেওয়াও জরুরি ।