হাওড়া, 27 নভেম্বর: রবিবার সকালে হাওড়ার বাঁকড়া থেকে বামেদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim) । পদযাত্রাতে অংশ নিয়ে রবিবার রাজ্যের দুর্নীতিকাণ্ড নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি ।
সেলিম অভিযোগ করে বলেন, "দুর্নীতি ঢাকতে শুভেন্দু মমতার পা ধরছেন, মমতা মোদির পা ধরছেন, আবার দু'জন মিলে মোহন ভাগবতের পা ধরবেন । এভাবেই দুর্নীতি ও হিন্দু-মুসলিম ভাগ করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চালানো হচ্ছে ।" পাশাপাশি তিনি আরও অভিযোগ করেন, "রাজ্যে সারের দাম বাড়ছে ৷ ছাত্র-যুবর কর্মসংস্থান নেই ৷ শ্রমিকদের পরিযায়ী হয়ে রাজ্য ছাড়তে হচ্ছে ৷ এইসব নিয়ে কেউ কথা বলছে না । শুধু চোরেদের নিয়ে কথা বলা হচ্ছে ।"
সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলের নেতাদের অমানুষ বলে আখ্যা দিয়ে এদিন বলেন, "সময় এসেছে অমানুষদের বাদ দিয়ে মানুষের কথা বলার ।" তিনি এমনকী সংবাদমাধ্যমের ওপর পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তোলেন ৷ সেলিম বলেন, "বাংলার মানুষ তৃণমূল ও বিজেপিকে বাদ দিয়েও রাজনীতি করে এটা শিখতে হবে ।"
তিনি এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, "পার্থ, অনুব্রত জেলে গিয়েছে । ব্রাত্য-শুভেন্দুও যাবে । তারপরে মানুষ এককাট্টা হয়ে যাবে । তিনমাস বাঁকড়া সলপে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ছিল না । মমতা (Mamata Banerjee) দুর্গাপূজা ও বিজয়া সম্মিলনী করতে ব্যস্ত ছিল । আজকে লাল ঝাণ্ডার মিছিল দেখে ভয় পাচ্ছে । ভয় দেখিয়ে মানুষের মন থেকে লালঝাণ্ডাকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না ।"
যদিও সেলিমের মন্তব্যের পালটা দিতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP) ৷ দলের রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, "এই ধরণের বক্তব্য সিপিএমের মুখে মানায় না । সিপিএমের রাজত্বে তৃণমূল বিরোধী দলে ছিল । পরিস্থিতি অনুযায়ী মমতা বন্দোপাধ্যায় কংগ্রেসের হাত ধরে সিপিএমের বিরোধী রাজনীতি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভাতে ঢুকে । আবার প্রয়োজন ফুরোলে কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছেন । একইভাবে সিপিএমও রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী রাজনীতি করে কেন্দ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে । এটা ভারতের রাজনীতি । পরিস্থিতি অনুযায়ী একেক সময়ে একেক রাজনৈতিক দল তার শিবির পরিবর্তন করে । তবে মমতা যেদিন জ্যোতি বসুর পা ধরেছিলেন সেটা নিয়ে সেলিম কিছু বলুন । আর সাম্প্রদায়িক তাস সিপিএমের নেতা সেলিমও করেছেন ।"
আরও পড়ুন: ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মহম্মদ সেলিম