হাওড়া, 19 অগাস্ট : সরকারের অনুমতি ছাড়া কেন তৈরি হয়েছে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ? অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই বা কেন নিয়োগ হয়েছে অস্থায়ী কর্মী । এই সব প্রশ্ন তুলে হাওড়া পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী । আজ হাওড়া সদনে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি । বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে পৌরনিগমের 29 নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান । সেখানে এলাকার অবস্থা দেখে রীতিমতো রেগে যান তিনি । পরে এলাকার বাকি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের কথাটি উঠলে রথীন চক্রবর্তীকে তিরস্কার করেন ।
আজ বৈঠকে হাওড়া শহরের একাধিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বস্তির উন্নয়ন থেকে শুরু করে বস্তির 400টি পরিবারকে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন তিনি । ক্ষোভ উগরে দেন বস্তির শৌচাগারের হাল দেখে । কেন 400টি পরিবারের জন্য মাত্র দু'টি শৌচাগার? প্রশ্ন তুলে হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার বিজয় কৃষ্ণকে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন । পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়েও কার্যত প্রাক্তন মেয়রের দিকেই আঙুল তোলেন তিনি ।
এরপরই আসেন বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের কথায় । কেন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন অনুমতি ছাড়া তৈরি হল ? মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন রথীন চক্রবর্তীকে । জিজ্ঞাসা করেন, কার অনুমতিতে 419 জন অস্থায়ী কর্মীকে নিয়োগ করা হয় ? প্রাক্তন মেয়রের কাছ থেকে সদুত্তর না পেয়ে তিনি তখনই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে অবিলম্বে হাওড়া পৌরনিগমের অডিট জমা দিতে বলেন । হুঁশিয়ারি দেন অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া যদি কোনও কাজ হয় তবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে । অর্থদপ্তরের অনুমতি প্রসঙ্গে নিজের উদাহরণ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রী হয়েও অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনও কাজ করি না তাহলে হাওড়া পৌরনিগম কেন করবে ?"
অন্যদিকে, নাগরিক পরিষেবায় ববি হাকিম, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পৌরনিগমের কমিশনার বিজিয় কৃষ্ণ ও জেলাশাসক মুক্তা আর্যকে নিয়ে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যে টাস্কফোর্স রাস্তায় ঘুরে পরিষেবার উন্নতির দিকে জোর দেবে ।