দুর্গাপুর, 6 অক্টোবর: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। সবচেয়ে বড় পার্বণকে কেন্দ্র করে বাংলা এখন সেজে উঠেছে । সপরিবার দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে প্রকৃতিও। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্রই কাশফুল চোখে পড়ছে।
শিউলি ফুলের সুবাস জানান দিয়েছে, 'মা আসছেন'। পুজো হবে আর ভুরিভোজ হবে না, এমনটা তো হয় না! দুর্গাপুজোয় দুর্গাপুরে খাওয়া দাওয়ার বিশাল সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে একটি নামী হোটেল। ইটিভি ভারত সেখানেই ঢুঁ দিল ৷
দুর্গাপুজোর এই চারটি দিনকে সামনে রেখে বাংলার গ্রাম থেকে শহরতলি, মফস্বল থেকে মেগাসিটিতে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। পুজোর চারটে দিন উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার পাশাপাশি জমিয়ে খাওয়া দাওয়ার পরিকল্পনা থাকে সবার। তাই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসবে ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে দুর্গাপুরে।
উৎসবের সময় বাঙালির খাদ্য তালিকায় রসনাতৃপ্তির জন্য দারুণ দারুণ পদ তৈরি করা হয় হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলিতে। এবারের দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করেও দুর্গাপুরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে হোটেলগুলিতে এখনও কী কী আকর্ষণীয় পদ এবার তাঁরা তৈরি রাখবেন তা নিয়ে ব্যস্ত সেফরা।
হচ্ছে পদ্মার ইলিশ বিরিয়ানি, মনোহারী মাংস কষা, আবার কোথাও দেশি মুরগির ঝোল ৷ এপার এবং ওপার বাংলার মেলবন্ধনে রান্না হবে কচুর শাক দিয়ে চিংড়ি ভাপা, চিংড়ির মালাইকারি, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক, মা, ঠাকুমাদের হেঁশেল থেকে তুলে নিয়ে আসা মৌরলা মাছের চচ্চড়ি, শুক্তো, নারকেল দিয়ে মুগের ডাল ইত্যাদি ৷
পাশাপাশি থাকছে রাজনন্দিনী হলুদ পোলাও, গ্রিন চিকেন ৷ আবার তার সঙ্গে বাঙালির শেষ পাতে যেহেতু মিষ্টি চাই চাই, তাই রয়েছে ছানা ভাজা, সরপুরিয়া, আম দই থেকে শুরু করে রসকদম্ব, রসমালাই-সহ বহু রকমের মিষ্টি প্রস্তুত করেছে হোটেল ও রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
আধুনিক প্রজন্ম যেহেতু চাইনিজ খাবারে একটু বেশি আগ্রহী তাই তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ খাবারের সম্ভার নিয়ে তৈরি চাইনিজ রেস্তোরাঁগুলিও। বিভিন্ন ধরনের মোমো, পিৎজা, বার্গার,প্যাটিস নিয়েও তৈরি বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠান হোটেলগুলি