হাওড়া, 7 সেপ্টেম্বর: বৃহস্পতিবার জন্মাষ্টমীর দিনে হাওড়ার লিলুয়ায় রবীন্দ্র সরণিতে দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে 'হরিদাস পাল' বলে কটাক্ষ করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষাকে অপমান করার অভিযোগ তুলে বলেন, "রাজ্যপাল যেভাবে বাংলা ভাষা বলেছেন তাতে বাংলা ভাষার অপমান হয়েছে। তাই অবিলম্বে রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে, নাক খত দিয়ে কেরলে ফিরে যাওয়া উচিত রাজ্যপালের। তার সঙ্গে যদি বাংলার দশ কোটি মানুষ থাকেন তাহলে রাজভবনে ভিতরে দড়ি টানাটানি প্রতিযোগিতা করে দেখুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসতে হবে না, আমরাই তার জন্য যথেষ্ট ৷
পাশাপাশি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের দিন ধার্য করা নিয়ে পদ্ম শিবিরের সমালোচনা করে আরএসএস কার্যকর্তাদের পা-চাটা পোষ্য বলে সম্বোধন করেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, "বিরোধীদের কাজ বিরোধিতা করা। আমরা যদি পয়লা বৈশাখের পরিবর্তে 25 বৈশাখ, 23 জানুয়ারি অথবা 2 অক্টোবর দিন ঠিক করতাম তাহলেও বিরোধিরা বিরোধিতা করত। কী কারণে তারা বিরোধিতা করছে তা তারা বলতে পারবেন না। তাদের জিজ্ঞাসা করলে বলবে পার্টি বা আরএসএস থেকে বলে দিয়েছে। আরএসএস-এর তো কর্মী হয় না, ওদের পা-চাটা কুকুর হয়।"
এছাড়াও বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে বিধায়কদের চল্লিশ হাজার টাকা বেতন বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়। যদিও সেই টাকা বিধায়কদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে খরচ হয় বলেই দাবি করেন মদন মিত্র। মাসে এক লাখের বেশি ভাতা হলেও সেটা পর্যাপ্ত নয় বলেই দাবি করেন বিধায়ক । উল্লেখ্য, রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এতদিন বেতন পেতেন মাসে গড় 10 হাজার টাকা। পূর্ণ মন্ত্রীরা মাসিক বেতন পেতেন 11 হাজার টাকা । আর প্রতিমন্ত্রীদের ক্ষেত্রে সেটা সামান্য কম। প্রতিমন্ত্রীরা মাসিক বেতন পেতেন 10 হাজার 900 টাকা। দু'ক্ষেত্রেই 40 হাজার টাকা করে বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে প্রতিমন্ত্রীদের মাসিক বেতন বেড়ে দাঁড়াল 50 হাজার 900 টাকা। আর পূর্ণমন্ত্রীদের ক্ষেত্রে এই মাসিক বেতন এখন থেকে বেড়ে দাঁড়াল 51 হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় বেতন অনেকটা বাড়ল বিধায়ক-মন্ত্রীদের, তবে বৃদ্ধি হল না মুখ্যমন্ত্রীর