কলকাতা, ৭ মে : হাওড়া আদালত চত্বরে আইনজীবীদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন আইনজীবীরা । আজ সিভিল কোর্ট থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা ।
সারা রাজ্য থেকে কয়েক হাজার আইনজীবী আজ সিটি সিভিল কোর্ট থেকে রাজভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা।
ডেপুটেশনে বলা হয়েছে, কোর্ট অফিসাররা বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সুতরাং আইনজীবীদের সম্ভ্রম যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে এবং দোষীরা শাস্তি পায় সেই ব্যবস্থা করুন। ২৪ এপ্রিল হাওড়া আদালতের ঘটনা বিচারবিভাগের উপর প্রশাসনিক আগ্রাসন। সেদিন যেভাবে আইনজীবীদের রাজ্য প্রশাসনের রোষের স্বীকার হতে হয়েছে সেটা ভয়ংকর। ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সেইজন্য আমরা এই ঘটনার একটি বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
২৪ এপ্রিল হাওড়া আদালতের ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে ২৬ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত জেলা আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্টবেঙ্গল। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব জানিয়েছিলেন, সমস্ত দোষী পুলিশ অফিসারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে ২ মে মিটিং করে বার কাউন্সিল কর্মবিরতি বাড়িয়ে দেয় ১০ মে পর্যন্ত।
এদিকে হাওড়া আদালতের ঘটনায় হাইকোর্ট যে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা দায়ের করেছিল সেই মামলায় ১ মে পাঁচটি হলফনামা জমা পড়ে হাইকোর্টে। সেখানে হাওড়া পুলিশের তরফে বলা হয়, পুলিশ ২৪ এপ্রিল হাওড়া আদালত চত্বরে ঢুকেছিল হাওড়া পৌরনিগমের এক কর্মচারীকে রক্ষা করার জন্য। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার তাগিদে পুলিশ ন্যূনতম বাহিনী পাঠিয়েছিল। এবং টিয়ারগ্যাসও ফাটায়।
১ মে রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন কোনও নির্দেশ দেননি। কারণ, গতকাল হাওড়া জেলায় লোকসভা নির্বাচন ছিল। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন এই পরিস্থিতিতে কোনও নির্দেশ দিলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হতে পারে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামীকাল।