হাওড়া, 10 নভেম্বর : তাঁর হাতে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের গুরুদায়িত্ব ৷ কিন্তু সেই গুরুদায়িত্ব সামলেও বন্য প্রাণীর প্রতি অমোঘ টান অনুভব করেন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। "জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।" স্বামী বিবেকানন্দের বাণীকে সম্প্রতি বাস্তবিক উদাহরণ হিসাবে দাঁড় করালেন তিনি। সম্প্রতি বনবিভাগের অধীনে আলিপুর চিড়িয়াখানার একটি হায়নাকে দত্তক নিয়েছেন তিনি। আগামী এক বছর তার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব নিয়েছেন বাঙালি এই আইপিএস অফিসার।
দ্যুতিমান জানিয়েছেন তাঁর এই কীর্তি কেবল দৃষ্টান্ত হয়ে শুধু থাকুক তিনি চান না ৷ বরং তাঁর মত আরও অনেকে বন্যপ্রাণের সহযোগীতায় এগিয়ে আসুক ৷ হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের কথায়, "গাছপালা-পশুপাখি নিয়ে কাজ করা আমার নেশা ৷ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমি এ বিষয়ে আমি লিখিও ৷ দীর্ঘকাল জঙ্গলমহল এবং সুন্দরবনে চাকরি করার সুবাদে বন্যপ্রাণ নিয়ে আমার একটা সহজাত ভালবাসা রয়েছে ৷ তাই আমি চাই বন্যপ্রাণীরা যাতে ভাল থাকে ৷"
আরও পড়ুন : বাড়ির পুজোয় নিজের হাতেই জগদ্ধাত্রী প্রতিমা গড়েন চিকিৎসক বিপ্লবেন্দু
তাই আলিপুর চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটে বন্যপ্রাণ দত্তক নেওয়ার বিষয়ে জানার পর আর নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি ৷ একবছরের জন্য তিনি একটি হায়না দত্তক নিয়েছেন বলে জানালেন দ্যুতিমান ৷ এখানেই থামতে চান না তিনি ৷ ভবিষ্যতে এমনই আরও বন্যপ্রাণ দত্তক নিতে চান তিনি ৷ দ্যুতিমানের এই পদক্ষেপে খুশি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও। তাদের আশা এভাবে সাধারণ মানুষ যত এগিয়ে আসবে বন্যপ্রাণীদের জন্য পরিবেশের জীবন-শৃঙ্খলা তত ভালভাবে বজায় থাকবে।