বালি, 14 এপ্রিল: স্বামী আত্মঘাতী হচ্ছেন আর স্ত্রী ব্যস্ত ছবি তুলতে। এমনই চাঞ্চল্যকর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় । আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে বালি থানার পুলিশ।
বালি থানার অন্তর্গত বাদমতলার বাসিন্দা আমন সাউ। কাপড়ের ব্যবসায়ী আমনের সঙ্গে লিলুয়ার বাসিন্দা নেহা শুকলার প্রেম পর্ব চলে প্রায় বছর পাঁচেক । গত 11 ডিসেম্বর শুভ পরিণয় হয় তাঁদের । বিয়ের পর বেশ কিছুদিন কাটে সুখে শান্তিতে ৷ কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দু'জনের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। কারণ নেহার সঙ্গে হুগলির উত্তরপাড়ার এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিবাদ লেগে থাকত ।
আমনের পরিবারের অভিযোগ, সংসারে মন ছিলনা নেহার। মাঝেমধ্যেই পার্টি করে অনেক রাতে ফিরত। পার্টি করার জন্য আমনের থেকে প্রায়ই জোর করে টাকা চাইত। মার্চ মাসে শ্বশুরবাড়ির অমতে প্রেমিকের সঙ্গে দিল্লি যায়। কিছুদিন কাটিয়ে ফিরে এসে ডিভোর্স দেবার জন্য আমনকে চাপ দিতে থাকে। এই অবস্থায় নেহার মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি পায় আমন। গত আট এপ্রিল রাতে এই নিয়ে যখন অশান্তি চরমে ওঠে তখন নেহা মোবাইলে তার স্বামীর কথপোকথন রেকর্ড করতে থাকে। পাশাপাশি তাকে উত্তেজিত করে বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন :আজ মাথাভাঙা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, এলাকায় এখনও শোকের ছায়া
আমনকে বলতে শোনা যায়, সে এমন কিছু করবে যা নেহাকে সারাজীবন মনে রাখতে হবে। এটা শুনে হাসতে থাকে নেহা। ঠিক সেইসময়ই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে আমন। যা ক্যামেরাবন্দি হয় নেহার মোবাইলে। এই অবস্থায় আমনকে কোনওভাবেই বাঁচানোর চেষ্টা করেনি নেহা ৷ এমনটাই অভিযোগ আমনের পরিবারের।
জানাজানি হতে নেহা বাড়ি ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করে। তখন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার মোবাইল কেড়ে নেয় । পরে তা পুলিশকে জমা দেওয়া হয়। বালি থানায় নেহার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আমনের বাবা। পুলিশ নেহাকে গ্রেফতার করে। গতকাল তাকে হাওড়া আদালতে তাকে পেশ করা হয়। তাকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।