হাওড়া, 10 ডিসেম্বর : হাওড়া পৌরনিগম এলাকায় ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ (Dengue-Maleria Outbreak in Howrah) ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর এই বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে হাওড়া পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের কপালে। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত পৌরনিগমের পৌর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। তিনি জানান, চলতি বছরে গোটা অক্টোবর মাসজুড়েই বৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য বছর বর্ষা বিদায় নেওয়ার পরেই ডেঙ্গুর প্রভাব কমতে শুরু করে। কিন্ত এবার বর্ষাও যেতে বিলম্ব করায় ডেঙ্গুর প্রভাব এখনও রয়েছে। তিনি বলেন, "ডেঙ্গুতে রোগীর প্লেটলেট কমতে শুরু করে। একটা নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী প্লেটলেট কমে। এটা খুব কম সংখ্যক মানুষের জন্য অস্বাভাবিক মাত্রায় কমে। এই প্লেটলেট কমাতে কারও কোনও হাত নেই। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা পৌরনিগম থেকে নেওয়া হচ্ছে।"
হাওড়া পৌরনিগমের নির্দিষ্ট কয়েকটি ওয়ার্ডে মশার লার্ভা নষ্ট করার জন্য বিশেষ ওষুধ ছড়ানো হচ্ছে। এই কাজের জন্য পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও কয়েকটি বাইরের এজেন্সিকেও আনা হয়েছে। তারাও পৌরনিগমের সঙ্গে কাজ করছে। এতে ডেঙ্গুর সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও একটা সীমানার মধ্যে সেটাকে আটকানো গিয়েছে। সুজয় দাবি করেন, এরপর নতুন করে ডেঙ্গুর বৃদ্ধি আটকানো সম্ভব হবে। এখন ডেঙ্গুর সেই বৃদ্ধির গ্রাফও নিম্নমুখী হয়েছে। এছাড়াও পৌরনিগমের স্বাস্থ্য, নিকাশি বিভাগের সদস্যরা যুগ্মভাবে কাজ করছেন। সেই টিমের কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য একজন করে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু ডেঙ্গু নয় ম্যালেরিয়া নিয়েও পৌরনিগমের কর্মীরা কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: বৌভাতের পরদিন বরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
আগে শহরের বহুতলগুলিতে যেখানে পৌরনিগমের কর্মীরা ঢুকতে পারতেন না, এখন সেখানে তাঁরা যাছেন। আর সেখানে ঢুকতে সমস্যা হলে পৌরনিগম থেকে পোস্টার লাগানো হচ্ছে। পৌরনিগমের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে নিয়ে গতকাল দীর্ঘ আলোচনা করা হয়। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া আটকানোর পরিকল্পনা ও তার রূপায়ণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।