ETV Bharat / state

টোটোতে কুলার, TV, ওয়াইফাই !

শিবপুরের গৌতম রায়ের টোটো তো নয় যেন বিলাসবহুল গাড়ি ৷ কী নেই টোটোতে ৷ এয়ার কুলার, রঙিন TV, ফ্রি ওয়াইফাই সব ৷

টোটো
author img

By

Published : Aug 2, 2019, 8:50 PM IST

শিবপুর, 2 অগাস্ট : ক্যালেন্ডারে বর্ষা এলেও শহর ও শহরতলিতে দেখা নেই বৃষ্টির । রাস্তায় বেরিয়ে ঘেমে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । টোটো বা অটোতে তো আরও খারাপ অবস্থা ৷ একসাথে একাধিক যাত্রী নিয়ে টোটো বা অটো যদি রাস্তায় জ্যামে আটকে যায় তাহলে তো কথাই নেই । যাত্রীদের অবস্থা তখন তথৈবচ ৷ না পারেন নামতে না পারেন বসে থাকতে ৷ তবে শিবপুরে অবশ্য সে যন্ত্রণা নেই ৷ সেখানে শুধু গৌতম রায়ের টোটো খুঁজে উঠে পড়ুন ব্যাস ৷ টোটো তো নয় যেন বিলাসবহুল কোনও গাড়ি ৷ কী নেই সেখানে ৷ যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে টোটোতে কুলার লাগিয়েছেন গৌতম রায় ৷ যাত্রীদের পথক্লান্তি দূর করতে টোটোতেই লাগানো হয়েছে রঙিন TV ও ওয়াইফাইও ৷ ক্যাশলেস পেমেন্টের ব্যবস্থাও রেখেছেন । অর্থাৎগৌতম রায়ের এই টোটোতে রয়েছে একগুচ্ছ চমক ।

হাওড়া শহরের দক্ষিণে অবস্থিত শিবপুর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ৷ শিবপুরের অবনি মল সংলগ্ন আপার ফরশোর রোডে সারাদিন ধরে চলে একাধিক টোটো । এই রুটেই টোটো চালান গৌতম কুমার রায় । দীর্ঘদিন টোটো চালানোর অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় গরমে কষ্ট হয় যাত্রীদের । গরমে ঘামতে ঘামতে অনেকে টোটো থেকে নেমেও যান ৷

যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে তিনি ঠিক করেন টোটোটিকে অন্যভাবে সাজাবেন ৷ যেমন ভাবা তেমন কাজ । টোটোর পিছন দিকে কুলার বসান । ব্যাটারি চালিত এই কুলার যাত্রীদের ক্লান্তি দূর করে৷ লাগিয়েছেন TV ও ওয়াইফাই৷

গৌতম রায় বলেন, "মহিলারা টোটোতে উঠেই তাড়া দিতে থাকেন ৷ বলেন, তাড়াতাড়ি বাড়ি না পৌঁছালে পছন্দের সিরিয়াল মিস হয়ে যাবে ৷ তাঁদের কথা মাথায় রেখে টোটোতে রঙিন TV-র ব্যবস্থা করেছি । এর পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই তো রয়েছেই । ভাড়া অন্য টোটোগুলির মতোই ৷ এসব পরিষেবার জন্য আলাদা করে ভাড়া নিই না ৷"

অর্থাৎঅত্যন্ত স্বল্পমূল্যে টোটোয় বসে যে কেউ পাবেন কুলার, TV ও ওয়াইফাইয়ের সুবিধা । গৌতম রায় জানান, ক্যাশলেস পেমেন্টের সুবিধাও রয়েছে ৷ ভবিষ্যতে তিনি কার্ডে পেমেন্ট চালু করবেন ৷ তাঁর ইচ্ছে টোটোতেই POS মেশিন রাখার ৷ এখানেই শেষ নয়, যাত্রীদের ঠান্ডা জল দিতে খুব শিগগিরই টোটোতে ফ্রিজও রাখবেন তিনি ৷

শিবপুর, 2 অগাস্ট : ক্যালেন্ডারে বর্ষা এলেও শহর ও শহরতলিতে দেখা নেই বৃষ্টির । রাস্তায় বেরিয়ে ঘেমে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । টোটো বা অটোতে তো আরও খারাপ অবস্থা ৷ একসাথে একাধিক যাত্রী নিয়ে টোটো বা অটো যদি রাস্তায় জ্যামে আটকে যায় তাহলে তো কথাই নেই । যাত্রীদের অবস্থা তখন তথৈবচ ৷ না পারেন নামতে না পারেন বসে থাকতে ৷ তবে শিবপুরে অবশ্য সে যন্ত্রণা নেই ৷ সেখানে শুধু গৌতম রায়ের টোটো খুঁজে উঠে পড়ুন ব্যাস ৷ টোটো তো নয় যেন বিলাসবহুল কোনও গাড়ি ৷ কী নেই সেখানে ৷ যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে টোটোতে কুলার লাগিয়েছেন গৌতম রায় ৷ যাত্রীদের পথক্লান্তি দূর করতে টোটোতেই লাগানো হয়েছে রঙিন TV ও ওয়াইফাইও ৷ ক্যাশলেস পেমেন্টের ব্যবস্থাও রেখেছেন । অর্থাৎগৌতম রায়ের এই টোটোতে রয়েছে একগুচ্ছ চমক ।

হাওড়া শহরের দক্ষিণে অবস্থিত শিবপুর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ৷ শিবপুরের অবনি মল সংলগ্ন আপার ফরশোর রোডে সারাদিন ধরে চলে একাধিক টোটো । এই রুটেই টোটো চালান গৌতম কুমার রায় । দীর্ঘদিন টোটো চালানোর অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় গরমে কষ্ট হয় যাত্রীদের । গরমে ঘামতে ঘামতে অনেকে টোটো থেকে নেমেও যান ৷

যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে তিনি ঠিক করেন টোটোটিকে অন্যভাবে সাজাবেন ৷ যেমন ভাবা তেমন কাজ । টোটোর পিছন দিকে কুলার বসান । ব্যাটারি চালিত এই কুলার যাত্রীদের ক্লান্তি দূর করে৷ লাগিয়েছেন TV ও ওয়াইফাই৷

গৌতম রায় বলেন, "মহিলারা টোটোতে উঠেই তাড়া দিতে থাকেন ৷ বলেন, তাড়াতাড়ি বাড়ি না পৌঁছালে পছন্দের সিরিয়াল মিস হয়ে যাবে ৷ তাঁদের কথা মাথায় রেখে টোটোতে রঙিন TV-র ব্যবস্থা করেছি । এর পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই তো রয়েছেই । ভাড়া অন্য টোটোগুলির মতোই ৷ এসব পরিষেবার জন্য আলাদা করে ভাড়া নিই না ৷"

অর্থাৎঅত্যন্ত স্বল্পমূল্যে টোটোয় বসে যে কেউ পাবেন কুলার, TV ও ওয়াইফাইয়ের সুবিধা । গৌতম রায় জানান, ক্যাশলেস পেমেন্টের সুবিধাও রয়েছে ৷ ভবিষ্যতে তিনি কার্ডে পেমেন্ট চালু করবেন ৷ তাঁর ইচ্ছে টোটোতেই POS মেশিন রাখার ৷ এখানেই শেষ নয়, যাত্রীদের ঠান্ডা জল দিতে খুব শিগগিরই টোটোতে ফ্রিজও রাখবেন তিনি ৷

Intro:ক্যালেন্ডারে বর্ষা এলেও শহর এবং শহরতলিতে দেখা নেই বৃষ্টির। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে কার্যত গলদঘর্ম হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। টোটো কিংবা অটো হলে তো কথাই নেই। কিন্তু যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে টোটোই কুলার লাগিয়ে নজির গড়লেন এক হাওড়া শহরের এক টোটো চালক। শুধু তাই নয়, যাত্রীদের এক ঘেয়েমি কাটাতে টোটোচালক গৌতম কুমার রায় টোটোতে বসিয়েছেন টিভি এবং ফ্রি ওয়াইফাইও। অর্থাৎ যাত্রীরা টোটোতে বসেই ফ্রিতে করতে পারবেন ফেসবুক কিংবা whatsapp মেসেজ। এর পাশাপাশি ক্যাশলেস পেমেন্ট সিস্টেম তো রয়েছেই। অর্থাৎ শহরের টোটোতে এক গুচ্ছ চমক।


Body:দক্ষিণ হাওড়া শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা শিবপুর অবনিমল সংলগ্ন অপার ফরশোর রোড। বলা চলে শহরের অন্যতম লাইফ লাইন। সেই রাস্তাতেই চলে একাধিক টোটো। তার মধ্যেই টোটো চালান গৌতম কুমার রায়। কিন্তু দীর্ঘদিন টোটো চালানোর অভিজ্ঞতা য় তিনি দেখেন সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় গরমে কষ্ট হয় যাত্রীদের। অনেকে নেমেও যান এই একই কারণে। এই ছবি দেখার পরই তিনি ঠিক করেন অন্যদের থেকে টোটোটিকে একটি অন্যভাবে তৈরি করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বাজার থেকে টিনের শিট নিয়ে এসে ঘাস আর জলের পাইপলাইন দিয়ে মটরের সাহায্যে তৈরি করেন কুলার। ব্যাটারি চালিত এই কুলার অন হলেই পিছনের শুকনো ঘাস ভিজে ঠান্ডা হাওড়া বেরিয়ে আসবে । যা যাত্রীদের গরম থেকে মুক্তি দেবে। এর পাশাপাশি তবে টিভি এবং ওয়াইফাই কেন? চালক ETV ভারতকে জানান, অনেকেই গাড়িতে বসে তাকে তাড়া দেন। বিশেষত মহিলারা। তাদের বক্তব্য তাড়াতাড়ি বাড়ি না পৌঁছালে পছন্দের সিরিয়াল তারা দেখতে পাবেন না। এই বিষয়টিও নাড়া দেয় তাকে। যাত্রীদের পছন্দের যেকোনও শো যাতে কোনোভাবেই মিস না হয় সেজন্য তিনি তার টোটোতে ব্যবস্থা করেন টিভিও। এর পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই তো রয়েছেই। অথচ ভাড়া অন্য টোটোগুলির মতোই সস্তা। অর্থাৎ অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে টোটোয় বসে যে কেউ পাবেন কুলার টিভি এবং ওয়াইফাই এর সুবিধা। এছাড়া ক্যাশলেস পেমেন্ট ও কার্ড পেমেন্ট মেশিন তো থাকছেই। ফলে একথা বলাই চলে ভারত এখনো ডিজিটাল না হলেও হাওড়া শহরের এই টোটো ১০০% ডিজিট্যাল। সবশেষে গৌতমবাবু ইটিভি ভারতকে জানান, খুব শীঘ্রই যাত্রীদের ঠান্ডা জল পরিষেবা দিতে টোটোতে রাখবেন রেফ্রিজারেটরও।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.