উদয়নারায়ণপুর (হাওড়া), 1 অগস্ট : তিনদিনের একটানা বৃষ্টিতে মাঠের ফসল আগেই ডুবেছিল । এবারে মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘাঁ ডিভিসির (DVC) জল ছাড়া ৷ কাল থেকে 1 লক্ষ 35 হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি, জানিয়েছেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা । ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে মাইকিংয়ে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ দামোদরের নিম্ন অববাহিকা এলাকা যেমন হোদল, হরিহরপুরে জল ঢুকছে । আতঙ্কে রয়েছেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকাবাসী ।
ডিভিসির ছাড়া জল প্রতি বছর দামোদরে জমা হয় । এর ফলে প্লাবিত হয় দামোদরের পশ্চিম পাড় । এবারেও একই ভাবে ডিভিসির ছাড়া জলে দামোদরের বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে উদয়নারায়ণপুরে । জলমগ্ন হয়ে রয়েছে হরিহরপুর, মুচিপাড়া-সহ বেশ কিছু এলাকা । পাশাপাশি ডুবছে কুরচি-সহ নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি ।
আরও পডু়ন : Durgapur Barrage : দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হচ্ছে জল, 3 জেলায় বন্যার আশঙ্কা
যদিও এই অবস্থার জন্য উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন ৷ কয়েক বছর ধরে নদীর নাব্যতা বেড়ে গিয়েছে ৷ নদীর বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ হত না ৷ এর জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন ৷ তবে সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, "রাজ্য কোষাগার ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় বিগত এক বছর যাবৎ নিম্ন দামোদর এলাকার কাজকর্ম চলছে ৷ বন্যা প্রতিরোধের কাজ চলছে ৷" কিন্তু অতিমারির জন্য বারে বারে কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে ৷
তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, "আগামী বছর চিরতরে বন্যার হাত থেকে মানুষকে রিলিভ দিতে পারব ৷" কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টিতে মাইথন, পাঞ্চেত ড্যাম ভর্তি হয়ে যায় ৷ তারা একসঙ্গে জল ছেড়ে ডিভিসিকে পাঠায় ৷ সেই জন্যই দুর্গাপুরে বিপুল পরিমাণ জল জমা হয় ৷ তবে তিনি দাবি করেছেন যদি "কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকে", তাহলে "মাঝারি ধরনে প্লাবিত হবে এলাকা" ৷ কিন্তু "1 লক্ষ 35 হাজারের নাম করে 2 লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ে, তাহলে বন্যা হয়ে যাবে গোটা উদয়নারায়ণপুর আর আমতা-2 নং-এ ৷" জল ছাড়ার আগে সচেতন করে জানাচ্ছে রাজ্য সরকারের সেচ দফতর ৷ নিচু এলাকার বাসিন্দাদের পাকা স্কুলবাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে আর নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে ৷ সেখানে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি, পুলিশ প্রশাসন যৌথ ভাবে কাজ শুরু করেছে ৷