ETV Bharat / state

রকমারি চায়না আলোর দাপাদাপিতে বাজার হারাচ্ছে মোমবাতি - howrah

চায়না আলোর বাজারে মোমবাতির চাহিদা কমে যাচ্ছে ৷ আজকাল অর্ডারও আসে না সেভাবে ৷ ফলে অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত মোমবাতি প্রস্তুতকারীরা ৷

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Oct 17, 2019, 5:02 PM IST

Updated : Oct 17, 2019, 10:22 PM IST

হাওড়া, 17 অক্টোবর : কালীপুজো মানেই ঘর ভরতি আলো ৷ কোথাও টুনি বাল্বের চেইন, তো কোথাও প্লাস্টিকের প্রদীপ ৷ এসবের মাঝে কোথাও যেন হারাতে বসেছে মোমবাতি ও মাটির প্রদীপ ৷ দীপাবলিতে যখন সবার বাড়িতে আলো ঝলমলিয়ে ওঠে, তখন অন্ধকারে শিশুলাল প্রামাণিক, শংকর মাইতিদের বাড়ি ৷

শিশুলাল, শংকর মোমবাতি বানান ৷ চায়না আলোর বাজারে মোমবাতির চাহিদা কমে যাচ্ছে ৷ আজকাল অর্ডারও আসে না সেভাবে ৷ ফলে অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত তাঁরা ৷

আর কয়েকদিন পরই শুরু হতে চলেছে কালীপুজো, দীপাবলি ৷ বাড়ি সাজাতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে কেনাকাটা ৷ আর ক্রেতাদের মন কাড়তে এবারেও বাজার ছেয়েছে রকমারি চায়না আলো ৷ কলকাতার চাঁদনী মার্কেট হোক বা হাওড়া ময়দান, বা পাড়ায় পাড়ায় ছোটো ছোটো দোকানগুলোতেও নতুন ধরনের আলোর খোঁজ করছেন ক্রেতারা ৷ তাই তাঁদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের আলোর সম্ভার নিয়ে এসেছে আলোর বাজারগুলিও ৷

দেখুন ভিডিয়োয়

এই চায়না আলোর ঝলকানিতেই নিষ্প্রভ মোমবাতির শিখা ৷ বাজারে পাল্লা দিতে না পেরে অনেকদিন আগেই নিজেদের আধিপত্য হারিয়েছে মাটির প্রদীপ৷ পরিবর্ত হিসেবে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের তৈরি টুনি বাল্ব লাগানো প্রদীপও ৷

নিজেদের বাজার ধরে রাখতে বিভিন্ন সাজে মাটির প্রদীপগুলিকে তৈরি করে বাজারজাত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল ৷ কিন্তু তা একপ্রকার বিফলে গেছে ৷ মানুষের কাছে মাটির প্রদীপ, মোমবাতি কোনওটারই চাহিদা নেই ৷

শিশুপালবাবু বলেন, "কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মোমবাতির চাহিদা প্রচুর ছিল ৷ কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা, তা খুব একটা সুবিধের নয় ৷ বর্তমানে আমাদের রাজ্যে চায়না আলোর আধিপত্য এতটাই বেড়ে গেছে যে, মোমবাতির প্রতি মানুষের আকর্ষণটাই হারিয়ে যেতে বসেছে ৷"

হাওড়া, 17 অক্টোবর : কালীপুজো মানেই ঘর ভরতি আলো ৷ কোথাও টুনি বাল্বের চেইন, তো কোথাও প্লাস্টিকের প্রদীপ ৷ এসবের মাঝে কোথাও যেন হারাতে বসেছে মোমবাতি ও মাটির প্রদীপ ৷ দীপাবলিতে যখন সবার বাড়িতে আলো ঝলমলিয়ে ওঠে, তখন অন্ধকারে শিশুলাল প্রামাণিক, শংকর মাইতিদের বাড়ি ৷

শিশুলাল, শংকর মোমবাতি বানান ৷ চায়না আলোর বাজারে মোমবাতির চাহিদা কমে যাচ্ছে ৷ আজকাল অর্ডারও আসে না সেভাবে ৷ ফলে অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত তাঁরা ৷

আর কয়েকদিন পরই শুরু হতে চলেছে কালীপুজো, দীপাবলি ৷ বাড়ি সাজাতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে কেনাকাটা ৷ আর ক্রেতাদের মন কাড়তে এবারেও বাজার ছেয়েছে রকমারি চায়না আলো ৷ কলকাতার চাঁদনী মার্কেট হোক বা হাওড়া ময়দান, বা পাড়ায় পাড়ায় ছোটো ছোটো দোকানগুলোতেও নতুন ধরনের আলোর খোঁজ করছেন ক্রেতারা ৷ তাই তাঁদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের আলোর সম্ভার নিয়ে এসেছে আলোর বাজারগুলিও ৷

দেখুন ভিডিয়োয়

এই চায়না আলোর ঝলকানিতেই নিষ্প্রভ মোমবাতির শিখা ৷ বাজারে পাল্লা দিতে না পেরে অনেকদিন আগেই নিজেদের আধিপত্য হারিয়েছে মাটির প্রদীপ৷ পরিবর্ত হিসেবে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের তৈরি টুনি বাল্ব লাগানো প্রদীপও ৷

নিজেদের বাজার ধরে রাখতে বিভিন্ন সাজে মাটির প্রদীপগুলিকে তৈরি করে বাজারজাত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল ৷ কিন্তু তা একপ্রকার বিফলে গেছে ৷ মানুষের কাছে মাটির প্রদীপ, মোমবাতি কোনওটারই চাহিদা নেই ৷

শিশুপালবাবু বলেন, "কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মোমবাতির চাহিদা প্রচুর ছিল ৷ কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা, তা খুব একটা সুবিধের নয় ৷ বর্তমানে আমাদের রাজ্যে চায়না আলোর আধিপত্য এতটাই বেড়ে গেছে যে, মোমবাতির প্রতি মানুষের আকর্ষণটাই হারিয়ে যেতে বসেছে ৷"

Intro:কালীপুজোয় বাড়ি সাজাতে ইতিমধ্যেই কেনাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আর তাই চাহিদা মেটাতে বাজার ছেয়েছে রকমারি চায়না আলো। কলকাতার চাঁদনী মার্কেট হোক কিংবা হাওড়া ময়দান, সর্বত্রই আধুনিক থেকে আধুনিকতর চায়না আলোর খোঁজে মানুষ। দেখলে চোখ ফেরানো যাবে না এমন আলোর সাজে সেজেও উঠেছে আলোর মার্কেট গুলি। রমরমিয়ে চলছে বিক্রিবাটা। কোন আলো ছেড়ে কোন আলো কেনা হবে তা বাঁচতেই কপালে ভাঁজ পড়ছে ক্রেতাদের। কিন্তু চায়না আলোর এই ঝলকানিতেই নিষ্প্রভ মোমবাতির শিখা। কালের নিয়মে পাল্লা দিতে না পেরে অনেকদিন আগেই বাজারে নিজেদের আধিপত্য হারিয়েছে মাটির প্রদীপ। Body:পরিবর্ত হিসাবে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের তৈরি টুনি লাগানো প্রদীপ। যদিও প্লাস্টিকের ইলেকট্রনিক প্রদীপকে টেক্কা দিতে মাটির প্রদীপগুলিকে বিভিন্ন শৈল্পিক সাজে সাজিয়ে বাজারজাত করার প্রচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা একপ্রকার বিফলে গিয়েছে। অবলুপ্তির পথেই হাঁটতে হয়েছে মাটির প্রদীপ কে। এখন সেই একই পথের পথিক মোমবাতিও। বছরখানেক আগেও যেখানে বাড়ি সাজাতে মোমবাতি ছিল গৃহস্থের একমাত্র পছন্দ, সেখানে আজ মোমবাতির চাহিদা তলানিতে বললেও খুব ভুল বলা হয় না।
মোমবাতির চাহিদার এহেন পরিস্থিতি দেখে প্রমাদ গুনছেন মোমবাতি প্রস্তুতকারীরা। বছর বছর কমছে চাহিদা। আর তাই অর্ডার আসছে না সেরকমভাবে। ফলে অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভারাক্রান্ত মোমবাতি প্রস্তুতকারীদের মন। আলোর উৎসবে যেখানে ঝলমলিয়ে ওঠে গোটা ভারত। সেখানে এই সমস্ত কারিগরদের ঘর যেন অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। আলোর উৎসবে সামান্য হলেও আলোর সন্ধানী তারা। কি বলছেন মোমবাতি প্রস্তুতকারীরা?
শিশুপাল প্রামানিক নামে এক মোমবাতি প্রস্তুতকারীর বক্তব্য, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মালের চাহিদা প্রচুর ছিল। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা খুব একটা সুবিধের নয়। বর্তমানে আমাদের রাজ্যে চায়না আলোর আধিপত্য এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে মোমবাতির প্রতি মানুষের আকর্ষণ টাই হারিয়ে গিয়েছে। Conclusion:
Last Updated : Oct 17, 2019, 10:22 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.