হাওড়া, 17 অক্টোবর : কালীপুজো মানেই ঘর ভরতি আলো ৷ কোথাও টুনি বাল্বের চেইন, তো কোথাও প্লাস্টিকের প্রদীপ ৷ এসবের মাঝে কোথাও যেন হারাতে বসেছে মোমবাতি ও মাটির প্রদীপ ৷ দীপাবলিতে যখন সবার বাড়িতে আলো ঝলমলিয়ে ওঠে, তখন অন্ধকারে শিশুলাল প্রামাণিক, শংকর মাইতিদের বাড়ি ৷
শিশুলাল, শংকর মোমবাতি বানান ৷ চায়না আলোর বাজারে মোমবাতির চাহিদা কমে যাচ্ছে ৷ আজকাল অর্ডারও আসে না সেভাবে ৷ ফলে অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত তাঁরা ৷
আর কয়েকদিন পরই শুরু হতে চলেছে কালীপুজো, দীপাবলি ৷ বাড়ি সাজাতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে কেনাকাটা ৷ আর ক্রেতাদের মন কাড়তে এবারেও বাজার ছেয়েছে রকমারি চায়না আলো ৷ কলকাতার চাঁদনী মার্কেট হোক বা হাওড়া ময়দান, বা পাড়ায় পাড়ায় ছোটো ছোটো দোকানগুলোতেও নতুন ধরনের আলোর খোঁজ করছেন ক্রেতারা ৷ তাই তাঁদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের আলোর সম্ভার নিয়ে এসেছে আলোর বাজারগুলিও ৷
এই চায়না আলোর ঝলকানিতেই নিষ্প্রভ মোমবাতির শিখা ৷ বাজারে পাল্লা দিতে না পেরে অনেকদিন আগেই নিজেদের আধিপত্য হারিয়েছে মাটির প্রদীপ৷ পরিবর্ত হিসেবে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের তৈরি টুনি বাল্ব লাগানো প্রদীপও ৷
নিজেদের বাজার ধরে রাখতে বিভিন্ন সাজে মাটির প্রদীপগুলিকে তৈরি করে বাজারজাত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল ৷ কিন্তু তা একপ্রকার বিফলে গেছে ৷ মানুষের কাছে মাটির প্রদীপ, মোমবাতি কোনওটারই চাহিদা নেই ৷
শিশুপালবাবু বলেন, "কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মোমবাতির চাহিদা প্রচুর ছিল ৷ কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা, তা খুব একটা সুবিধের নয় ৷ বর্তমানে আমাদের রাজ্যে চায়না আলোর আধিপত্য এতটাই বেড়ে গেছে যে, মোমবাতির প্রতি মানুষের আকর্ষণটাই হারিয়ে যেতে বসেছে ৷"