বালি, 30 সেপ্টেম্বর : "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর", এই প্রবাদ আজও একই রকম ভাবে প্রচলিত ৷ আর এই প্রবাদেরই নিদর্শন পাওয়া গেল বালির বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজোয় । নদীমাত্রেই তা মাতৃসম এই বিশ্বাস থেকেই গঙ্গাজলের সঙ্গে লন্ডনের টেমস, মিশরের নীলনদ, ব্রাজ়িলের আমাজ়নের মত একাধিক নদীর জলে বালির বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজোর নবপত্রিকা স্নান করানো হয়৷
154 বছরের পুরোনো বালি বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজো ৷ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজো দেখতে বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষ আসতেন । সত্যেন্দ্রনাথ বোস থেকে শুরু করে প্রেমেন্দ্র মিত্রের মত গুণী মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছে এই বাড়ি । সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মাঝেমধ্যেই আসেন এই বাড়িতে । পুজোর সময়ে বরাবরই এই বাড়িতে চাঁদের হাট বসে ।
ব্যতিক্রমী এই আচার প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্য অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নদী মানেই পবিত্রতা । নদী মানেই ইতিহাস । যেমন মিশরকে বলা হয় নীলনদের দান । আমাদের গঙ্গাই হোক কী লন্ডনের টেমস কিংবা ব্রাজ়িলের আমাজ়ন, সব নদ-নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে সভ্যতা ৷ বলা যায় নদ-নদী হল জীবন-সংসারের স্রষ্টা ৷ এই বিশ্বাস থেকেই ভাবনা । পৃথিবীর বড় বড় নদ-নদীর জল ইতিমধ্যে আনা হয়েছে ৷ নবপত্রিকা স্নানের সময় সেই জল এক ফোঁটা করে মেশানো হবে গঙ্গা জলের সঙ্গে ৷"