বালি , 3 ডিসেম্বর : "এরা(তৃণমূলের একাংশ) তো দেশের প্রধানমন্ত্রীকেই বহিরাগত বলেন । জানেনই না প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান । বাইরের রাজ্য থেকে কেউ এলে তাঁকে বহিরাগত বলা হচ্ছে । ভারতবর্ষ যে একটি দেশ , সেটাই মানতে চান না । যখন প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলা হচ্ছে , তখন আমি তো কোন ছাড় !" বহিরাগত ইশুতে এই ভাষাতেই নিজের দলের কর্মীদের বিঁধলেন বালির বিধায়ক বৈশালি ডালমিয়া ।
দুই দিন আগে বালি এলাকার বাদমতলা মোড়ে ছেয়ে গিয়েছিল পোস্টার । সেই পোস্টারে দলের সুপ্রিমোকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল , এবার আর কোনও বহিরাগত নয় । বরং বালির মানুষকেই প্রার্থী করতে হবে । পোস্টারের নিচে লেখা ছিল, প্রচারে সক্রিয় তৃণমূল কর্মীরা । এই পোস্টার জনসমক্ষে আসতেই জেলা রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয় । এর ঠিক দু'দিন পর সেই বিষয়ে মুখ খুললেন বালির বিধায়ক বৈশালি ডালমিয়া । তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নিজের দলকেই বিঁধলেন তিনি এবং তাঁর গলায় শোনা গেল অন্য সুর যা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে । বৈশালি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি বহিরাগত নন । বালিতে তাঁর নিজের বাড়ি আছে । বিষয়-সম্পত্তি আছে । বিধায়কের মন্তব্যকে গেরুয়া শিবির ঘেঁষা মন্তব্য বলেও মনে করছেন অনেকে ।
সম্প্রতি বৈশালি ডালমিয়াকে উদ্দেশ্য করে স্থানীয় প্রাক্তন পৌর প্রতিনিধি বিস্তর অভিযোগ জানান । 2016 সালের পর তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন বালি এলাকার শাসক দলের কয়েকজন নেতা । তাঁরা অভিযোগ করেন, শীর্ষ নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে সমান্তরাল সংগঠন চালাচ্ছেন । যদিও সেই অভিযোগের গুরুত্ব না দিয়ে সম্প্রতি তাঁকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ হিসাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় । তার পরেই এই পোস্টারের ঘটনা ঘটে । এর পিছনে দলের মধ্যেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর মদত রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রীরা যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , অমিত শাহ-সহ BJP-র একাধিক নেতা-নেত্রীদের "বহিরাগত" বলে আক্রমণ করছেন , তখন বৈশালি ডালমিয়ার এই মন্তব্যে অন্য ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।