হাওড়া, 1 এপ্রিল : মেয়েকে অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে খুন সৎ বাবা ৷ অভিযোগ, হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা এক মহিলা তাঁর মেয়ের সাহায্য নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে খুন করেন (Domjur Murder) ৷ ঘটনাটি হাওড়ার ডোমজুড়ের পার্বতীপুরের । মেয়েকে অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতেই এই খুন, এমনটাই দাবি মহিলার । মৃতের নাম মালিক শেখ সালাম (55) ৷ ডোমজুড় থানার পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও তার সৎ মেয়েকে গ্রেফতার করেছে ।
জানা গিয়েছে, শেখ সালাম আগে মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও কয়েক বছর ধরে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও সৎ মেয়ের সঙ্গে ডোমজুড়ে থাকছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার রাতে সোনার দোকানের মালিক শেখ সালামের স্ত্রী সুলতানা বেগম হঠাৎই তাঁর প্রতিবেশীদের ঘরে ডেকে আনেন । তাঁরা ঘরে ঢুকে দেখেন শেখ সালাম বিছানার মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন । তাঁর গলায় ছিল কালো দাগ । জিভ বাইরে বেরিয়ে এসেছে ৷ যা দেখে প্রতিবেশীদের অনুমান শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে ৷ প্রতিবেশীদের সুলতানা জানায়, সন্ধ্যাবেলায় দু'জন লোক তাদের বাড়িতে আসার কথা ছিল। তাই আগে থেকেই শেখ সালাম তাঁদের বাড়ির বাইরে যেতে বলেন । এরপর তাঁরা এক নিকট আত্মীয়ের বাড়ি চলে যান । আধঘন্টা পর তাঁরা যখন ঘরে ফেরেন তখন দেখেন মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে তার স্বামী !
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ । মৃতদেহ উদ্ধারের পর মা এবং মেয়েকে আটক করে পুলিশ ৷ দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদের ৷ লাগাতার পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়েন তাঁরা । দু'জনেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, শেখ সালামকে শ্বাসরোধ করে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন ৷ সুলতানা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মেয়ের উপর শারীরিক নিগ্রহ করত শেখ সালাম । সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে খুন করার পরিকল্পনা করেন । এরপরই তাঁদের গ্রেফতার করে ডোমজুড় থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : Old Woman Killed : ঠাকুমাকে আছড়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল নাতজামাইয়ের বিরুদ্ধে
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মঈনুদ্দিন জানান, ওইদিন রাতে ঠিক কি ঘটেছিল তা নিয়ে রহস্য রয়েছে । তবে সাংসারিক বিবাদ ছিল । সম্পত্তির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় । যদিও সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে ডোমজুড় থানার পুলিশ । খুনের নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷