পুরশুড়া, 26 নভেম্বর: যন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়ায় উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারার টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ আপাতত কিছুটা ধীরগতিতে চলছে ৷ উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ার ফলে দিন যত এগোচ্ছে, উদ্বেগ তত বাড়ছে টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের মধ্যে ৷ এ রাজ্যের পুরশুড়ার দুই যুবকও রয়েছেন ওই সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে ৷ ফলে উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পুরশুড়ার হরিণখোলার বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক ও সৌভিক পাখিরার পরিবারের ৷ ক্রমেই অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁরা ৷ উঠছে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিও ৷ ধীর গতির উদ্ধারকাজ নিয়ে স্বভাবতই হতাশ জয়দেব ও সৌভিকের পরিবার ৷
রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই এই দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । রবিবার আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সৌভিকের মায়ের সঙ্গে দেখা করেন রবিবার ৷ তাঁকে সান্ত্বনাও দেন সাংসদ। অপরূপা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর আছে এই বিষয়টির উপর ৷ তিনি বলেন, "আমাদের পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিও সকলেই যোগাযোগ রাখছেন। ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফে এই পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিচ্ছেন। আমরা এই পরিবারের পাশে আছি। যা সরকারি সাহায্য লাগবে রেশন থেকে খাবার-দাবার সব কিছুই পৌঁছে দেব।"
সাংসদের তরফে রেশনও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সৌভিকের বাড়িতে ৷ যদিও সৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরা ছেলে এখনও না-ফেরায় কার্যত নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে নির্বাক হয়ে রয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, যত দ্রুত সম্ভব ছেলেকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দিক সরকার ৷
শীঘ্রই বাড়ির ছেলেকে উদ্ধার করার আবেদন জানিয়েছেন জয়দেব প্রামাণিকের বাবা তাপস প্রামাণিকও। উদ্ধারকার্যে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন। বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করেছেন । কিন্তু তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপ চাই । তা না হলে উদ্ধারের কাজ শীঘ্র হবে না।"
অপরদিকে,উত্তর কাশীতে আটকে থাকা শ্রমিকদের সুস্থতা কামনায় পুলবাতপুর কালি মন্দিরে রবিবার যজ্ঞ করেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। তিনি জানান, বিধায়ক হিসেবে তিনি দুই পরিবারের পাশে আছেন ৷ দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে লিখিত অনুরোধ করবেন বলেও জানান ৷
আরও পড়ুন: