হুগলি,14 মার্চ: পাট শিল্প ৷ হুগলি নদীর দু-তীর বরাবার এই শিল্প ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে ৷ স্বাধীনতার আগে থেকে শুরু হওয়া শিল্প ক্ষেত্রের প্রসার ও প্রচার বেড়েছে প্রতিনিয়ত ৷ বেড়েছে খ্যাতি ৷ কিন্তু,হঠাৎই ঘটল ছন্দপতন । করোনা এক লহমায় ছাড়খার করে দিয়েছে সব কিছুকে ৷ শুধু শিল্প নয়, বন্ধ হতে শুরু করেছে শিল্প-শ্রমিকদের রুজিরুটিও ৷ বেকারত্ব আর ক্ষুধাই যেন নিত্য সঙ্গী হতে শুরু করেছে তাঁদের জীবনে ৷
শ্রমিকদের অভিযোগ, লকডাউনের সময় মিল কতৃপক্ষ বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পাননি তাও । তারা কাজ করলেও পাচ্ছেন না সঠিক পারিশ্রমিক । অর্থকষ্ট চরমে উঠেছে । বার বার মিল কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি ।
আরও পড়ুন : কমিশন কি বিজেপির সাইড পার্টি অফিস, প্রশ্ন কল্যাণের
শুধু যে পেটে টান পড়েছে তাই নয় । মাথার উপর ছাদটাও যেন আলগা হয়ে গিয়েছে ৷ স্যাঁতস্যাতে কুঁড়ে ঘর, নোংরা শৌচালয় সঙ্গে করে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা ৷ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে তাদের পক্ষে ।
হুগলি জুটমিলের আইএনটিটিইউসি-র যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, " মূলত কাঁচামালের অভাবে কাজ করতে পারছেন না শ্রমিকরা । পর্যাপ্ত কাঁচামাল নেই,তাই শ্রমিকদের দিয়ে দিনে দু-তিন ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাচ্ছে না । ফলে সম্পূর্ন বেতন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা । মিল কতৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ।"
আরও পড়ুন : বহিরাগত শব্দটি আরএসএসের আমদানি, ছাড়েনি সোনিয়াকেও : সেলিম
মিলের এক শ্রমিক শঙ্কর মাঝির কথায়, ভোটের আগে রাজনৈতিক দল গুলি নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিলেও, ভোট মিটে যেতেই আর দেখা মেলেনা তাদেরও । মিলের পরিস্থিতি সেই একই থেকে যায় । সামনেই আসন্ন বিধান সভা ভোট । রাজনৈতিক দল গুলির পক্ষ থেকে এবারেও মিলেছে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি । একুশের ভোট কী কোনও বদল আনতে পারবে এই জুটমিল শ্রমিকদের জীবনে ?