Crime : চন্দননগরের রানিঘাটে পুলিশ ক্যাম্পে মোবাইল চোর সন্দেহে দুই যুবককে মারধর, ভাইরাল ভিডিয়ো - চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো
তাঁরা নাকি মোবাইল চোর আর চুরি করতে গিয়ে পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলেছে ৷ ভিডিয়োয় দেখা গেল অভিযুক্তদের পুলিশ ক্যাম্পে এনে বেধড়ক মারধর করছেন স্থানীয় সিভিক কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষী ৷ যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
চন্দননগর, 16 নভেম্বর : চারধার প্যান্ডেল করে ঘিরে থাকা একটি জায়গায় দু'জনকে নির্মমভাবে মারধর করা হচ্ছে ৷ আর তা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পুজো দেখতে আসা সাধারণ মানুষ ৷ এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ গতকাল জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমী ছিল ৷ অভিযোগ, চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে দশমীর রাতে দু'জন যুবক মোবাইল চুরি করার চেষ্টা করছিল ৷ সেই সময় তাঁদের হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ ৷ তারপর শুরু হয় অমানবিক মারধর ৷ যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক স্বেচ্ছাসেবক ও জলপাই রঙের পোশাক পরা এক নিরাপত্তারক্ষী ক্রমান্বয়ে লাঠি দিয়ে মারছে মোবাইল চোর সন্দেহে আটক করা অভিযুক্তদের বুকে, পেটে ৷ আর সঙ্গে চলছে নিরাপত্তারক্ষীর বুটের লাথি ৷ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'আর মেরো না, মরে যাবে' বা 'মাথায় মেরো না' ৷ আবার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে তার উল্টোটাও ৷ কিন্তু কোনও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না স্বেচ্ছাসেবক আর নিরাপত্তারক্ষীকে ৷ স্থানীয় লোকজন চন্দননগর রানিঘাটের পাশে পুলিশ ক্যাম্পে এই দৃশ্য দেখে চলেছেন বহু মানুষ ৷ চোখের সামনে এমন নির্মম ঘটনা ঘটলেও কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না ৷ উল্টে পাশ থেকে কখনও কখনও ভেসে আসছে 'আরও মারো' ৷ ভিড়ের মধ্যে থেকেই কেউ এই ঘটনার ভিডিয়ো তুলে আপলোড করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷
আরও পড়ুন : Mass Beating : গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু একজনের, গ্রেফতার চার
এবিষয়ে পুলিশের বক্তব্য, এনিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ৷ পুলিশ এই ঘটনার কিছু জানেও না । তবে ঘটনাটি যে চন্দননগরের তা স্পষ্ট হচ্ছে 36 সেকেন্ডের ভিডিয়োয় চন্দননগর পুরনিগমের তরফে বিসর্জনের মাইকিংয়ে ঘোষণায় । চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশের এক আধিকারিক আশ্বাস দিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে । তাঁর দাবি, "আমাদের পুলিশ অফিসাররা এর সঙ্গে যুক্ত নয় । আমরা তদন্ত করছি আসলে কী ঘটেছিল ।" কিন্তু এই মারধরের ভিডিয়োয় যে স্বেচ্ছাসেবক এবং জলপাই পোশাকের নিরাপত্তারক্ষীকে দেখা গিয়েছে, তারা কেউই সিভিক বা অস্থায়ী হোমগার্ড নয় বলে জানিয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট ৷