চন্দননগর, 4 মে : তৃণমূল নেতা সহ তিন জন কোরোনা আক্রান্ত হতেই কড়া নজরদারি শুরু উর্দি বাজার চত্বরে। সংক্রমণের আশঙ্কায় চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ড বন্ধের সঙ্গে একটি ওয়ার্ডে রোগী ভরতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য কর্মীদের হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে। উর্দি বাজারের 50 জনের সোয়াব টেস্ট করা হচ্ছে ।
চন্দননগর উর্দি বাজার এলাকাতে এক ড্রাইভার ও তাঁর স্ত্রীর কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। সেই সঙ্গে দিন কয়েক আগে ওই এলাকার তৃণমূল নেতাও অসুস্থতা নিয়ে চন্দননগর হাসপাতালে ভরতি হন। পরে সোয়াব টেস্টে তাঁর কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। এরপরই কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে পুরো এলাকায় । রেশন দোকান ছাড়া কিছুই খোলা নেই। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে গোটা উর্দি বাজার চত্বর ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে । এলাকার প্রায় 50 জনকে সোয়াব টেস্টের জন্য পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভরতির কাজ চলছে । উপযুক্ত পরিকাঠামো সহ দুটি টিমে সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে । প্রশাসনের তরফে জানা গেছে, পুলিশের সাহায্যেই প্রত্যেককে এনে সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকে পরীক্ষা চলবে । সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সেজন্য গঞ্জের বাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা যেহেতু চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। সেজন্য আজ থেকে পুরোপুরি বন্ধ থাকছে চন্দননগর হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা দুটি ওয়ার্ড।
এবিষয়ে হাসপাতালে সুপার জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, "জীবাণুনাশক স্প্রে করার কয়েকদিন পরই ওয়ার্ড দুটি আবার খোলা হবে। এই ওয়ার্ড দুটিতে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। প্রতিদিন হাসপাতাল ও চন্দননগর কোয়ারানটিন সেন্টারে সোয়াব টেস্ট চলছে । পজ়িটিভ কোনও খবর পেলেই রোগীদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।"
হুগলির জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, "ইতিমধ্যে 70 জনকে কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি পরিবারকে বিভিন্ন কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। যাঁদের পজ়িটিভ আসছে, তাঁদের বেলেঘাটা ID-তে ভরতি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।"