চণ্ডীতলা (হুগলি), 19 জুলাই: হুগলিতে ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল লক্ষাধিক টাকা ৷ নাকা চেকিং চলাকালীন ট্রলি ব্যাগ ভরতি টাকাগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। এই ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলার ভগবতীপুর পোলধার এলাকায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার যাওয়ার সময় চেকিংয়ে জন্য দুই বাইক আরোহীকে আটকায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ । এরপর তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হয় ৷ সেসময় তাঁদের কথায় অসঙ্গতি মেলে পুলিশের ৷ কথায় অসঙ্গতি মেলায় পুলিশ ট্রাভেল ব্যাগ খুলে দেখাতে বলে । এরপরই ব্যাগ খুলতেই তাতে ভরতি টাকা দেখে অবাক পুলিশ আধিকারিকরা । ব্যাগ থেকে নগদ 43 লক্ষ 80 হাজার টাকা উদ্ধার হয়। সবই পাঁচশো টাকার নোট । এই বিপুল পরিমাণে টাকা নিয়ে তারা কোথায় এবং কেন যাচ্ছিল তার সদূত্তর দিতে পারেননি ওই দু'জন ।
এরপরেই পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চণ্ডীতলা থানায় নিয়ে আসে। প্রথমে পুলিশকে দুই ব্যক্তি কিছু বলতে চায়নি। পরবর্তীতে পুলিশি জেরায় জানা যায়, দুই ব্যক্তির নাম সমীর মল্লিক ও সামিউল্লা। তাঁদের বাড়ি ভগবতীপুরে। তাঁরা কানপুর ও বেনারস থেকে ওই টাকা নিয়ে ফিরছিলেন বলে খবর। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দু'জনই সোনা কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। তবে বিপুল পরিমাণ টাকার উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না-থাকায় দু'জনকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে 379 ও 411 ধারায় চুরি ও চোরাই মাল কেনাবেচার মামলা রুজু করা হয়েছে । আজ শ্রীরামপুর আদালতে তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নেওয়ার আর্জি জানানো হবে । যাতে এই বিপুল পরিমাণের টাকার মূল উৎস্ জানতে পারে পুলিশ ৷ তাই তাঁদের হেফাজতে নিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধে লোপাট লক্ষাধিক টাকা, ফেরৎ এনে দিল পুলিশ
হুগলি জেলা গ্রামীণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত দু'জন সোনা কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত । এদের দু'জনের বাড়ি চণ্ডীতলা থানা এলাকায়। তাঁরা কানপুরে সোনা কেনাবেচা করেছে। কয়েকদিন আগেই তাঁরা এখানে আসে। কিন্তু টাকার কী আইনি উৎস আছে তার যথোপযুক্ত কাগজ তারা দেখাতে পারেনি। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তকর তথ্য পুলিশকে তাঁরা বলছে। তাই তাদেরকে আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ।"