ETV Bharat / state

Woman Toto Driver : শেওড়াফুলির সুচিত্রা দাসের টোটো বিশ্ব শান্তির বার্তা বাহক - শেওড়াফুলির সুচিত্রা দাসের টোটো বিশ্ব শান্তির বার্তা বাহক

শেওড়াফুলির বাসিন্দা সুচিত্রা দাস ৷ প্রথম লকডাউনের আগেই তাঁর স্বামীর চাকরি চলে গিয়েছিল ৷ সেই থেকে টোটো চালিয়ে সংসার টানছেন ৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সেই সুচিত্রা দাস এ বার শান্তির বার্তা বাহক (Toto Driver of Sheoraphuli Suchitra Das is World Peace Messenger) ৷ শেওড়াফুলি থেকে শ্রীরামপুর এমনকি উত্তরপাড়া যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই শান্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন ৷ তাই তাঁর টোটোতেও জায়গা করে নিয়েছে ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ স্লোগান ৷

Toto Driver of Sheoraphuli Suchitra Das is World Peace Messenger
Toto Driver of Sheoraphuli Suchitra Das is World Peace Messenger
author img

By

Published : Mar 23, 2022, 6:12 PM IST

শেওড়াফুলি, 23 মার্চ : প্রথাগত শিক্ষা তাঁর নেই ৷ যদিও মানবতার প্রচার করেছেন শেওড়াফুলির মহিলা টোটো চালক সুচিত্রা দাস । সংসার চালাতে এই পেশায় আসা 47 বছরের সুচিত্রার । টোটো নিয়ে শেওড়াফুলি থেকে শ্রীরামপুর এমনকি উত্তরপাড়া পর্যন্ত অবাধ বিচরণ তাঁর ৷ পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে এভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন । চারিদিকে শুধুই শুনছেন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ৷ সংবাদ মাধ্যমে বারবার শুনছেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথা ৷ তাই তিনি মানুষের কাছে বার্তা দিতে টোটোতে পোস্টার লাগিয়েছেন ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ (Toto Driver of Sheoraphuli Suchitra Das is World Peace Messenger) ৷

শেওড়াফুলির সরকার পাড়ায় বাড়ি সুচিত্রা দাসের । বাপের বাড়ি শ্রীরামপুর ৷ শেওড়াফুলির নিমাই কোলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর । শোনপাপড়ির কারখানায় কাজ করতেন নিমাই কোলে ৷ লকডাউনের আগে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । সেই সময় সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে ওঠে তাঁর কাছে । স্বামীর পাশে দাঁড়াতে টোটো চালানোর সিদ্ধান্ত নেন সুচিত্রা দাস ৷ ব্যাঙ্কের জমানো কিছু টাকা থেকে একটি টোটো কেনেন । একসময় অ্যাথলিট হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন সুচিত্রা ৷ 2004 সালে রাজ্য স্তরের ওয়েট লিফটিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন ৷ কিন্তু সংসার ও আর্থিক সঙ্কটে খেলাধুলো চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি ৷ আর পড়াশোনা শিখতে পারেনি বলে, সরকারি চাকরিও পাননি ৷

শেওড়াফুলির সুচিত্রা দাসের টোটো বিশ্ব শান্তির বার্তা বাহক

বর্তমানে সুচিত্রা দাসের স্বামী টুকটাক ব্যবসা করেন ৷ একমাত্র ছেলে, তাঁরও লকডাউনে কাজ চলে গিয়েছে ৷ ছেলেকেও তাই একটি পুরনো টোটো কিনে দিয়েছেন । ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সুচিত্রা দাস । লোকে নানা কথা বলেন ৷ তার মধ্যেও কাজ করে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন ৷ তবে নিজের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে টোটোর বয়স হচ্ছে । টোটো ছাদ ভেঙে যাচ্ছে । সারাইয়ের প্রয়োজন । কিন্তু দুবেলা দুটো খেতে গিয়ে টোটো সারানো মতো পয়সা জুটছে না । তাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক সকলে । টোটো সারানো গেলেই তিনি নতুন উদ্যোমে কাজ করতে পারবেন ।

আরও পড়ুন : Dol Utsav 2022 : গুটিয়ে লাল করে দেব, রংয়ের উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ অনুব্রতের ‘অনুপ্রেরণা’র গেঞ্জি

টোটো চালক সুচিত্রা দাস বলেন, "স্বামীর কাজ বন্ধ হতেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল সংসারে । তাই টোটো চালাতে শুরু করি । এটা কোনও কাজ ছোট নয় । আমি লেখাপড়া জানি না বলে অন্য কোনও কাজ করতে পারি না । তাই টোটো চালাই । 50 টাকা 100 টাকা যে যেমন ভাড়া দেয় তাতেই চলে আমার । বয়স হচ্ছে, জানি না কতদিন টোটো চালাতে পারব । ব্যাংকে দেনাও কিছু আছে । সেটাও শোধ করছি ।" টোটোয় শান্তির বার্তা নিয়ে তিনি বলেন, "আমি চাই সকলে শান্তিতে থাকুক । যুদ্ধ নিয়ে আমি বেশি কিছু জানি না । তবু আমি চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক ।"

শেওড়াফুলি, 23 মার্চ : প্রথাগত শিক্ষা তাঁর নেই ৷ যদিও মানবতার প্রচার করেছেন শেওড়াফুলির মহিলা টোটো চালক সুচিত্রা দাস । সংসার চালাতে এই পেশায় আসা 47 বছরের সুচিত্রার । টোটো নিয়ে শেওড়াফুলি থেকে শ্রীরামপুর এমনকি উত্তরপাড়া পর্যন্ত অবাধ বিচরণ তাঁর ৷ পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে এভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন । চারিদিকে শুধুই শুনছেন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ৷ সংবাদ মাধ্যমে বারবার শুনছেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথা ৷ তাই তিনি মানুষের কাছে বার্তা দিতে টোটোতে পোস্টার লাগিয়েছেন ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ (Toto Driver of Sheoraphuli Suchitra Das is World Peace Messenger) ৷

শেওড়াফুলির সরকার পাড়ায় বাড়ি সুচিত্রা দাসের । বাপের বাড়ি শ্রীরামপুর ৷ শেওড়াফুলির নিমাই কোলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর । শোনপাপড়ির কারখানায় কাজ করতেন নিমাই কোলে ৷ লকডাউনের আগে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । সেই সময় সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে ওঠে তাঁর কাছে । স্বামীর পাশে দাঁড়াতে টোটো চালানোর সিদ্ধান্ত নেন সুচিত্রা দাস ৷ ব্যাঙ্কের জমানো কিছু টাকা থেকে একটি টোটো কেনেন । একসময় অ্যাথলিট হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন সুচিত্রা ৷ 2004 সালে রাজ্য স্তরের ওয়েট লিফটিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন ৷ কিন্তু সংসার ও আর্থিক সঙ্কটে খেলাধুলো চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি ৷ আর পড়াশোনা শিখতে পারেনি বলে, সরকারি চাকরিও পাননি ৷

শেওড়াফুলির সুচিত্রা দাসের টোটো বিশ্ব শান্তির বার্তা বাহক

বর্তমানে সুচিত্রা দাসের স্বামী টুকটাক ব্যবসা করেন ৷ একমাত্র ছেলে, তাঁরও লকডাউনে কাজ চলে গিয়েছে ৷ ছেলেকেও তাই একটি পুরনো টোটো কিনে দিয়েছেন । ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সুচিত্রা দাস । লোকে নানা কথা বলেন ৷ তার মধ্যেও কাজ করে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন ৷ তবে নিজের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে টোটোর বয়স হচ্ছে । টোটো ছাদ ভেঙে যাচ্ছে । সারাইয়ের প্রয়োজন । কিন্তু দুবেলা দুটো খেতে গিয়ে টোটো সারানো মতো পয়সা জুটছে না । তাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক সকলে । টোটো সারানো গেলেই তিনি নতুন উদ্যোমে কাজ করতে পারবেন ।

আরও পড়ুন : Dol Utsav 2022 : গুটিয়ে লাল করে দেব, রংয়ের উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ অনুব্রতের ‘অনুপ্রেরণা’র গেঞ্জি

টোটো চালক সুচিত্রা দাস বলেন, "স্বামীর কাজ বন্ধ হতেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল সংসারে । তাই টোটো চালাতে শুরু করি । এটা কোনও কাজ ছোট নয় । আমি লেখাপড়া জানি না বলে অন্য কোনও কাজ করতে পারি না । তাই টোটো চালাই । 50 টাকা 100 টাকা যে যেমন ভাড়া দেয় তাতেই চলে আমার । বয়স হচ্ছে, জানি না কতদিন টোটো চালাতে পারব । ব্যাংকে দেনাও কিছু আছে । সেটাও শোধ করছি ।" টোটোয় শান্তির বার্তা নিয়ে তিনি বলেন, "আমি চাই সকলে শান্তিতে থাকুক । যুদ্ধ নিয়ে আমি বেশি কিছু জানি না । তবু আমি চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.