হুগলি, 6 নভেম্বর : ফড়েদের ফসল বিক্রি না করায় বাজার থেকে মারধর করে কৃষকদের হটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে । তারকেশ্বরের আমতলা বাজার এলাকার ঘটনা । এর জেরে এলাকার কৃষকদের নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান BJP-র নেতা ও কর্মীরা ।
আজ সকালে তারকেশ্বরের রেল স্টেশন সংলগ্ন আমতলা বাজারে এলাকার 10-12 জন কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য বাজারে বসতে যান । অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের মারধর করে জোর করে হটিয়ে দেওয়া হয় । গোটা ঘটনায় আঙুল উঠেছে স্থানীয় টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম কুণ্ডুর দাদা রতন কুণ্ডুর বিরুদ্ধে।
রতন কুণ্ডুও তৃণমূল কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত । ঘটনার জেরে আজ সকালে তারকেশ্বর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় BJP । BJP -র অভিযোগ, সবজির দালালি করার জন্যই কৃষকদের আমতলা বাজারে বসতে দেয়নি তৃণমূল । দীর্ঘদিন ধরে এই বাজার দখল করে রেখেছে । কৃষকদের সবজি কম দামে কিনে দালালি রাজ চালিয়ে চড়া দামে বিক্রিতে মদত দেওয়ারও অভিযোগ উঠছে তৃণমূল । BJP-র দাবি, পরিবর্তে মোটা টাকা দালালির ভাগ পায় তৃণমূল নেতারা ।
কৃষকদের মারধরের প্রতিবাদে এবং তারকেশ্বর আমতলা বাজারে তৃণমূলের দালালি-রাজ বন্ধ করার দাবি তোলে BJP । সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কৃষকদের একাংশও । থানার সামনেই ফসল নিয়ে বসে পড়েন কৃষকরা ।
কৃষকদের অভিযোগ, ফড়েদের ফসল বিক্রি করার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে । নাহলে, বাজারে বসতে দেওয়া হচ্ছে না । আজ তৃণমূল নেতা উত্তম কুণ্ডুর দাদা রতন কুণ্ডু এই কৃষকদের মারধর করে বাজার থেকে হটিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা ।
BJP-র আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি গণেশ চক্রবর্তী বলেন, "কৃষি আইনের বিরোধিতাকারী তৃণমূল কৃষকদের ফসল বিক্রি করতে না দিয়ে ফড়েদের বিক্রি করতে বাধ্য করছে । কৃষকদের মারধর করছে । আজ সকালে তারকেশ্বর আমতলা বাজারে কৃষকদের মারধর করেছেন তৃণমূল নেতা উত্তম কুণ্ডুর দাদা রতন কুণ্ডু ।" তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের ফসল ফড়েদের বিক্রি করে দালালির টাকার ভাগ নেন তৃণমূল নেতার দাদা ।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতার দাদা রতন কুণ্ডু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তাঁর দাবি, "BJP ঘৃণ্য রাজনীতি করছে । এখানে বহু কৃষক তাদের ফসল বিক্রি করে । আমরা কোনও দিন বাঁধা দিইনি । কৃষকদের একটা সংগঠন আছে । সেখানে 82 জন সদস্য আছেন । তাই অন্য যে কেউ এসে ফসল বিক্রি করতে পারেন না । তার উপর এলাকায় প্রচুর যানজট হতে পারে । সে কারণেই কয়েকজনকে বারণ করা হয়েছে মাত্র ।"