গোঘাট, 21 মার্চ: দিদির সুরক্ষাকবচে (Didir Suraksha Kawach) গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান । এমনকী বিক্ষুব্ধ এক মহিলার পায়ে ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি । হুগলি জেলার গোঘাটের মান্দারণ পঞ্চায়েতের তারাহাট এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মেহেবুব রহমানকে । মঙ্গলবার ওই এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যোগ দেন সভাধিপতি । দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তারাহাট গ্রামে যেতেই ক্ষোভের মুখে পড়ে তারা । গ্রামের বেশ কয়েকজন মহিলা ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁদের সামনে ।
মূলত তাদের অভিযোগ, ভোট এলেই গ্রামে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ নিতে আসেন । কিন্তু এলাকার উন্নয়ন ও আবাসের বাড়ি উপযুক্ত প্রাপকদের দেওয়া হয়নি । সেই অভিযোগ নিয়েই সভাধিপতি ও বাকি নেতৃত্বদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন । সেই ঘটনা বেগতিক দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে এক বিক্ষুব্ধ মহিলার পায়েও ধরতে যান সভাধিপতি । পাশাপাশি তাদের অভিযোগগুলির দ্রুত সমাধান করার আশ্বাসও দেন তিনি । এই বিষয়ে ওই এলাকার এক গৃহবধূ সভাধিপতির উদ্দেশ্য করে বলেন, "ভোট এলেই খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয় । তারপর আর কাউকে দেখা যায়নি । কেউ কাউকে চিনবে না । গরীব লোকেদের অনেক কিছু অসুবিধা আছে । কাকে বলবে । প্রত্যেক বারে আসে বলি । কিন্তু কোনও সামাধান হয় না ৷ আমাদের কেবল ঘরগুলিই আছে । লোকের বাড়িতে কাজ করে খাই । একটু সাহায্য করলে ভালো হয় ।"
অপরদিকে আরেক গৃহবধূ সভাধিপতিতে কাজে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, একটা ছোট ঘরের মধ্যে তিনটি পরিবারকে থাকতে হচ্ছে । একটা ত্রিপল পযন্ত পায়নি তাঁরা । তাঁদের মতো একদল লোক এসেছিলেন । ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কিছুই তাঁরা পায়নি বলে অভিযোগ । গরীব বলে কী তাঁরা কিছুই পাবে না বলে প্রশ্ন তোলেন । যদিও ঘটনার পর আর কেউ মুখ খুলতে চাননি ।
অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান ঘটনার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, "কিছু ক্ষোভ থাকতে পারে ৷ তবে উন্নয়ন হয়েছে ।" পাশাপাশি বিগত সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের উপর দায় চাপিয়েছেন তিনি । যদিও এবিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও । দুর্নীতির কারণেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সাধারণ মানুষের বলে পুড়শুড়া বিধায়ক বিমান ঘোষ তোপ দাগেন ।
আরও পড়ুন: বাড়ছে নদীভাঙন, দিদির সুরক্ষা কবচে এসে ক্ষোভের মুখে মন্ত্রী বুলু চিক