হুগলি, 4 মে: নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এলাকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷ শুধু তাই নয়, পরিবারকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ৷ দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে হুগলির ত্রিবেণী কালীতলায় অবরোধ করলেন স্থানীয়রা । অভিযুক্তের ভাইকে পুলিশ আটক করতে গেলে, পুলিশের হাত থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করেন উত্তেজিত জনতা ।
বুধবার রাতে মগড়ার পলাশপুর এলাকায় দশ বছরের এক বালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে নান্টু ধরের বিরুদ্ধে । তিন বছর ধরে নান্টুর মেয়ের কাছে পড়ে সেই বালিকা । অভিযোগ, শিক্ষিকার বিয়ের নিমন্ত্রণ থাকায় নাবালিকাকে পড়তে বলে বিয়ে বাড়ি চলে যান তিনি ৷ তাঁর বাবা নান্টুকে তিনি নাকি বলে যান, পড়া শেষ হলে যেন তিনি ওই শিশুকে বাড়ি পৌঁছে দেন ৷ অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নান্টু লজেন্সের লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করেন ওই বালিকাকে ।
বালিকা ভয়ে পরিবারের লোকজনকে কিছু বলতে পারেনি । পরদিন সে কান্নাকাটি শুরু করে । গোটা বিষয়টি ঠাকুমাকে জানায় ওই বালিকা । এই ঘটনা জানাজানি হওয়ায় অভিযুক্তের ভাই পিন্টু এসে পরিবারের লোকজনকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ । এরপরই এলাকাবাসীরা দোষীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন ।
পিন্টু ও নান্টুকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ পরিস্থিতি সামলাতে মগড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । পিন্টুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে উত্তেজিত জনতা । অভিযুক্ত নান্টু ধরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পিন্টু ধরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ৷
বিজেপির জয়রাজ পাল অভিযোগ করেন, "নান্টু ও পিন্টু তৃণমূল নেতা । নান্টু ধর বুথ সভাপতি । পিন্টু ধরও তৃণমূলের যুব নেতা । তাঁরা বালিকার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে । আমরা চাই এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ । একটি নাবালিকাকে যেভাবে নির্যাতন করেছে তার শাস্তি হোক ৷"
নান্টু ধরের মেয়ে অন্তরা ধর যদিও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি বলেন, "আমি পড়াতে সেই রাতে সাড়ে সাতটার সময় যাই ৷ বিয়ে বাড়ি যাই বাবাকে বলে । ওকে ছেড়ে দিয়েছিলাম । আমার কাছে ও তিন বছর ধরে পড়াশোনা করছে ৷ এর আগে এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি । গতকাল রাতে মেয়েটির পরিবার আমার বাড়িতে এসে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখায় ।"
আরও পড়ুন: মাদক সেবন করিয়ে তেলেঙ্গানায় মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ