ডানকুনি, 6 জুন : ডানকুনি পৌরসভা এলাকায় এক বৃদ্ধের বাড়ির পাঁচিল দেওয়া নিয়ে গন্ডগোল প্রতিবেশীর সঙ্গে । সেই পাঁচিলকে কেন্দ্র করে বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ ডানকুনি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে (TMC councilor accused of threatening to kill old man in Dankuni)। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
ডানকুনি পুরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্র নগর এলাকার বাসিন্দা বছর বাষট্টির কালাচাঁদ সেনগুপ্ত । তাঁর প্রতিবেশীর সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে গন্ডগোল । মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত হয়েছে । কালাচাঁদবাবুর অভিযোগ, তিনি কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর জমির সীমানা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেন । এতেই ক্ষেপে ওঠেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ লোকজন নিয়ে গিয়ে কালাচাঁদবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়ে কাঁটাতার সরিয়ে ফেলতে বলেন ।
আরও পড়ুন : Allegation of Extortion : ঠিকাদারের কাছে তোলা ! অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দিকে
কালাচাঁদবাবু জানান, আদালতের রায় আছে তাঁর পক্ষে । সে কথায় কর্ণপাত না করে কাউন্সিলর তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ । বৃদ্ধের মেয়ে দীপা সেনগুপ্তের দাবি, এই ঘটনার পর তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । বাইরে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন । ঘটনার ডানকুনি থানায় ও চন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে অভিযোগ জানান । পুলিশের পক্ষে ডানকুনি থানা থেকে একজন অফিসার তাঁদের ফোন করে জানান বিষয়টি দেখা হবে বলে ।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কাউন্সিলর কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি কোনও হুমকি দেননি । যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে কথা বলেছেন । বৃদ্ধই প্রতিবেশীদের সঙ্গে অশান্তি করেন । আর সবার বিরুদ্ধে মামলা করেন । গোটা বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছেন । একটা ক্যামেরা অন্যের বাথরুমের দিকে । এসব করতে বারণ করতে গিয়েছি বলে দাবি কাউন্সিলরের । পাড়ায় অশান্তি না করে আপোসে মিটিয়ে নিতে বলেছি । কিন্তু উনি শুনবেন না । আমার ওয়ার্ডে কোনও ঝামেলা হলে আমি যাব । পুলিশ বলেছে তাই বিষয়টি দেখতে গিয়েছি ।
আরও পড়ুন : '১৫ দিনের মধ্যে চেয়ার ছাড়া করতে পারি', পৌরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি জিতেন্দ্র পত্নী চৈতালির
ঘটনায় বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, "এদেরকেই তৃণমূল কাউন্সিলরের টিকিট দিয়েছে । এরাই সরকার এরাই আইন আদালত ।" তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক দিলীপ যাদব বলেন, "ওই কাউন্সিলরকে ডেকে বলব । যদি কোন ভুল করে থাকে তা সংশোধন করে নিতে । আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা । দলের কর্মী, নেতাদের জন্য মানুষ কষ্ট পাবে এটা ঠিক নয় । বৃদ্ধ এবং তাঁর পরিবারকে বলব ভয় পাওয়ার কিছু নেই ।"