সিঙ্গুর , 17 ডিসেম্বর : সিঙ্গুরের বিজেপির কিষাণ মোর্চার ধর্না শেষে হতেই সেই জায়গা গোবর, গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল । মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না ও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে শুক্রবার সকালে করা হয় এই কর্মসূচি ( TMC minister Becharam Manna and others organizes a purification program Singur Where BJP agitated with the farmers) । সিঙ্গুরের দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে গত তিনদিন ধরে চলা বিজেপির ধর্নামঞ্চের স্থানে গোবর জল দিয়ে ধুয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে 21টা লেবু 21টা লঙ্কা দিয়ে করা হয় শুদ্ধিকরণ ।
সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিঙ্গুরের গোপালনগর, বেরাবেরি, খাসের ভেড়ি, সিংহের ভেড়ি, দলুইগাছা, বাজেমেলিয়া গ্রাম থেকে মহিলারা গোবর জল ঝাঁটা নিয়ে হাজির হন এবং চলে শুদ্ধিকরণের কাজ । সিঙ্গুর কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "সিঙ্গুরের আন্দোলন ছিল প্রকৃত আন্দোলন । তৃণমূলের আন্দোলন ছিল কৃষকের স্বার্থে । সিঙ্গুরে বিজেপির ধর্নায় কৃষকদের সমর্থন ছিল না । কলকাতা পৌর নির্বাচনের আগে মানুষের মন ঘোরাতে কৃষকদের জন্য দরদী আন্দোলন করছে বিজেপি । সিঙ্গুরের পিতৃভূমিকে অশুদ্ধ করে গেছে । সেই কারণেই কৃষক আন্দোলনের মহিলারা গোবর ও গঙ্গা জল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করল ।"
সিঙ্গুরের স্থানীয় কৃষকদের বক্তব্য, "আমাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তাতে এ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কৃষক আজ উপকৃত । এসবের পাশাপাশি আমাদের চাষ করার জন্য যে অনুদান দেওয়া হচ্ছে তাও সারা দেশের মধ্যে নজিরবিহীন ।"
আরও পড়ুন : বিজেপি-র ‘কৃষক আন্দোলন’কে পাত্তা দিতে নারাজ সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম
অন্যদিকে তৃণমূলের এই শুদ্ধিকরণ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ৷ বিজেপির পক্ষ থেকে সুরেশ সাউ বলেন, "বেচারামবাবুর শুদ্ধিকরণের দরকার হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে সর্ষে ছড়িয়েছিলেন, সেখানে শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন । ওখানে না কারখানা হল না চাষ হল । সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল জমি চাষযোগ্য করার কথা, সে জায়গায় কাশ বন হয়ে আছে । এতই যদি কৃষক দরদী হয় তাহলে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিক না সরকার ।"