হুগলি, 2 জুন : ধান গবেষণা কেন্দ্রে বাড়ছে চুরি ও অসামাজিক কাজ । হেলদোল নেই প্রশাসনের । ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পরীক্ষার ধান এই গবেষণা কেন্দ্র থেকেই ধান উৎপাদন হয় । সরকারি সম্পত্তি এভাবে চুরি হয়ে গেল প্রবল ক্ষতির মুখে পড়বে এই ধান্য গবেষণা কেন্দ্র । ইতিমধ্যেই চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা পুলিশ প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে । আলোচনা মাধ্যমে যাতে বিশাল এই গবেষণা কেন্দ্রের মধ্যে পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হোক ।
রাতের অন্ধকারে গোডাউনের তালা ভেঙে সাবমার্সেবল পাম্প, ট্রাকটরের ফলা, ধান ঝাড়ার মেশিন থেকে শুরু করে কৃষি যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন । গতকাল রাতেও একটি গোডাউনের তালা ভেঙে ও জাল কেটে কৃষি যন্ত্রপাতি চুরি হয়েছে । দিনের বেলায় কৃষি খামারে শ্রমিকরা কাজ করে । সেসময় বহিরাগতরা গবেষণা কেন্দ্রে ঢুকে মদের আসর জমায় বলে অভিযোগ । জমির আলের পাশে যত্রতত্র মদের ভাঙা বোতল পড়ে থাকে । কেউ কিছু বলার নেই । পূর্ব ভারতের এই ধান্য গবেষণা কেন্দ্র বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে । বেশিভাগটাই চাষের জমি । বেশ কিছু জায়গায় পাঁচিল ভাঙা । সেই কারণেই অবাধে চলছে এই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ।
এই এলাকায় কৃষি ভবন, উদ্যানপালন দফতর, ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, কিছু পরিত্যক্ত কোয়ার্টার আর খামার । নিদিষ্ট অফিসগুলি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও এতবড় এলাকায় কোন সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী না থাকার কারণেই দুষ্কৃতিদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে । রীতিমতো ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গবেষণা কেন্দ্র ।
আরও পড়ুন : শুভেন্দু ডাকাত সর্দার,কটাক্ষ মদনের
ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা পার্থ রায় চৌধুরী বলেন, "এই গবেষণা কেন্দ্র জনসাধারণের জায়গা হওয়া উচিত নয় । এখানে অপ্রয়োজনীয় লোকের প্রবেশাধিকার থাকার প্রয়োজন নেই । বোর্ড লাগানো হয়েছে এবং প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে । তাসত্ত্বেও আমাদের বাউন্ডারির মধ্যে বেশকিছু ভাঙা পাঁচিল দিয়ে বাইরের লোক ডুকছে । আমাদের বেশকিছু সিকিউরিটি গার্ড আছে তারা সশস্ত্র নয় । সেই কারণে বাইরের কিছু দুষ্কৃতী এসে এইসব চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে । আমরা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছি । এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এই বৈঠকের মাধ্যমে এখানে যাতে পুলিশ ক্যাম্প বসানো যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে । এই ধান্য গবেষণা কেন্দ্র যদি চলে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় ,তা শুধুমাত্র রাজ্যের নয় গোটা দেশের ক্ষতি হবে । এই ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের উৎপাদন এর উপর ভারতের পূর্বাঞ্চল নির্ভরশীল ।"