ETV Bharat / state

তাপসী মালিকের মূর্তি ঘিরে আগাছার জঙ্গল, বিতর্ক সিঙ্গুরে - DYFI

আগাছার জঙ্গলে তাপসী মালিকের মূর্তি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দায় সরব DYFI রাজ্য সভানেত্রী ৷

সিঙ্গুর
author img

By

Published : Aug 26, 2019, 6:00 AM IST

Updated : Aug 26, 2019, 7:19 AM IST

সিঙ্গুর, 26 অগাস্ট : 2006 সালের 18 ডিসেম্বর ৷ স্থান সিঙ্গুর ৷ বাজেমেলিয়ার মাঠে মেলে 14 বছরের নাবালিকার দগ্ধ দেহ ৷ নাম তাপসী মালিক ৷ পরে শহিদের মর্যাদা দিয়ে মূর্তি স্থাপন করা হয় তাপসীর ৷ সেই মূর্তিই আজ আগাছার জঙ্গলে ঘেরা ৷ বেশ কিছু দিন ধরেই এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে । উঠেছে নিন্দার ঝড় ।

2006 সালে টাটা ন্যানো গাড়ি কারখানা গড়তে বামফ্রন্ট সরকার সিঙ্গুরে কৃষি জমি অধিগ্রহণ শুরু করে । বামফ্রন্টের সরকারের এই করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সিঙ্গুরে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তার অন্যতম এবং প্রধান সৈনিক ছিলেন তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক৷ বাবার সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল তাপসীও ৷ তাপসীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বাম নেতাদের বিরুদ্ধে ।

এর পরই তীব্র হয়ে ওঠে সিঙ্গুর আন্দোলন ৷ সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যায় টাটারা ৷ পতন হয় বামফ্রন্ট সরকারের ৷ 2011 সালে বিধান সভা ভোটে জয়লাভ করে তৃণমুল কংগ্রেস ৷ মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দোপাধ্যায় ৷ সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রধান দুই মুখ তাপসী মালিক ও রাজকুমার ভুলেকে শহিদের মর্যাদা দিয়ে বাজেমেলিয়া এলাকায় মূর্তি বসানো হয় ৷

অভিযোগ, আগাছা ঘিরে ফেলেছে তাপসী মালিক এবং রাজকুমার ভুলের আবক্ষ মূর্তিকে ৷ নেতারা এখন ভুলে গেছেন তাপসীকে ৷ নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে সিঙ্গুরে এসে DYFI রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি অভিযোগ করেন, " শহিদ পরিবারটাকে দাবার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন । এখন শহিদের আর কোনও প্রয়োজন নেই তাঁর । টাটা কারখানা হটিয়ে দিয়ে রাজ্যে শিল্পের দরজা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন৷ "

তাঁর কথায় , " যাঁর তাপসীকে আঁকড়ে ধরে থাকার কথা ছিল তিনি আজ চেয়ার আঁকড়ে পরে আছেন নবান্নে । তাপসী মালিককে আঁকড়ে আছে লতা পাতা আগাছা জঙ্গল আর পোকামাকড় ।

ভিডিয়োয় শুনুন

সিঙ্গুরের যুব তৃণমূল নেতা তথা সেই সময়ের জমি বাঁচাও আন্দোলনকারী কৃষিজীবী মহাদেব দাস এই প্রসঙ্গে বলেন," শহিদের প্রয়োজন কোনওদিন ফুরোয় না, প্রয়োজন আজও আছে, আগামীদিনেও থাকবে । ওই মূর্তিগুলোর আশপাশে বর্ষাকালে আগাছা জন্মায় আবার সাফাই করা হয় ৷ আগামী 26 সেপ্টেম্বর বিশেষ প্রতীকী দিন ৷ তার আগেই পরিষ্কার করা হবে ৷ এছাড়া 18 ডিসেম্বর তাপসী মালিকের মৃত্যু দিন ৷ ওদিনও কর্মসূচী চলবে ।''

সিঙ্গুর, 26 অগাস্ট : 2006 সালের 18 ডিসেম্বর ৷ স্থান সিঙ্গুর ৷ বাজেমেলিয়ার মাঠে মেলে 14 বছরের নাবালিকার দগ্ধ দেহ ৷ নাম তাপসী মালিক ৷ পরে শহিদের মর্যাদা দিয়ে মূর্তি স্থাপন করা হয় তাপসীর ৷ সেই মূর্তিই আজ আগাছার জঙ্গলে ঘেরা ৷ বেশ কিছু দিন ধরেই এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে । উঠেছে নিন্দার ঝড় ।

2006 সালে টাটা ন্যানো গাড়ি কারখানা গড়তে বামফ্রন্ট সরকার সিঙ্গুরে কৃষি জমি অধিগ্রহণ শুরু করে । বামফ্রন্টের সরকারের এই করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সিঙ্গুরে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তার অন্যতম এবং প্রধান সৈনিক ছিলেন তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক৷ বাবার সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল তাপসীও ৷ তাপসীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বাম নেতাদের বিরুদ্ধে ।

এর পরই তীব্র হয়ে ওঠে সিঙ্গুর আন্দোলন ৷ সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যায় টাটারা ৷ পতন হয় বামফ্রন্ট সরকারের ৷ 2011 সালে বিধান সভা ভোটে জয়লাভ করে তৃণমুল কংগ্রেস ৷ মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দোপাধ্যায় ৷ সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রধান দুই মুখ তাপসী মালিক ও রাজকুমার ভুলেকে শহিদের মর্যাদা দিয়ে বাজেমেলিয়া এলাকায় মূর্তি বসানো হয় ৷

অভিযোগ, আগাছা ঘিরে ফেলেছে তাপসী মালিক এবং রাজকুমার ভুলের আবক্ষ মূর্তিকে ৷ নেতারা এখন ভুলে গেছেন তাপসীকে ৷ নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে সিঙ্গুরে এসে DYFI রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি অভিযোগ করেন, " শহিদ পরিবারটাকে দাবার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন । এখন শহিদের আর কোনও প্রয়োজন নেই তাঁর । টাটা কারখানা হটিয়ে দিয়ে রাজ্যে শিল্পের দরজা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন৷ "

তাঁর কথায় , " যাঁর তাপসীকে আঁকড়ে ধরে থাকার কথা ছিল তিনি আজ চেয়ার আঁকড়ে পরে আছেন নবান্নে । তাপসী মালিককে আঁকড়ে আছে লতা পাতা আগাছা জঙ্গল আর পোকামাকড় ।

ভিডিয়োয় শুনুন

সিঙ্গুরের যুব তৃণমূল নেতা তথা সেই সময়ের জমি বাঁচাও আন্দোলনকারী কৃষিজীবী মহাদেব দাস এই প্রসঙ্গে বলেন," শহিদের প্রয়োজন কোনওদিন ফুরোয় না, প্রয়োজন আজও আছে, আগামীদিনেও থাকবে । ওই মূর্তিগুলোর আশপাশে বর্ষাকালে আগাছা জন্মায় আবার সাফাই করা হয় ৷ আগামী 26 সেপ্টেম্বর বিশেষ প্রতীকী দিন ৷ তার আগেই পরিষ্কার করা হবে ৷ এছাড়া 18 ডিসেম্বর তাপসী মালিকের মৃত্যু দিন ৷ ওদিনও কর্মসূচী চলবে ।''

Intro:Body:যাদের আঁকড়ে ধরে থাকার কথা ছিল তিনি আজ চেয়ার আকড়ে পরে আছেন নবান্নে।আর সিঙ্গুরের আন্দোলনের শহীদ তথা তাপসী মালিক কে আঁকড়ে আছে লতা পাতা আগাছা জঙ্গল আর পোকা মাকর।বললেন DYFI রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি

বেশ কিছু দিন ধরেই আগাছা ঘেরা তাপসী মালিক এবং রাজকুমার ভুলের আবক্ষ মূর্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ।উঠে নিন্দার ঝড়।

উল্লেখ্য টাটা নেনো গাড়ি তৈরির কারখানা গড়তে সেইসময় বামফ্রন্ট সরকার সিঙ্গুরে জোর করে কৃষি জমি অধিগ্রহণ শুরু করে। বামফ্রন্টের এই জোর করে জমি অধিগ্রহণ নীতির বিরুদ্ধে সিঙ্গুরে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তার অন্যতম এবং প্রধান সৈনিক ছিলেন তাপসী মালিক।তৈরি হয় সিঙ্গুর কৃষিজমি বাঁচাও কমিটি।কৃষি জমি বাঁচাও কমিটির সদস্যও ছিলেন তাপসী মালিক।

২০০৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে বামেদের বিরুদ্ধে।
এর পরেই আন্দোলের তীব্রতা ব্যাপক আকারে ধারণ করে।আন্দোলন চলাকলিন ২১ জানুয়ারি ২০০৭ সালে টাটা কারখানার কাজ শুরু করে।ফলে আন্দোলনের তীব্রতা প্রবল আকার ধারণ করে। তীব্র আন্দোলনের জেরে ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় টাটা গোষ্ঠী।

পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রধান দুই মুখ তাপসী মালিক ও রাজকুমার ভুলেকে শহীদের মর্যাদা দিয়ে তাঁর বাড়ির পাশেই বাজেমেলিয়া এলাকায় শহীদ মূর্তি স্থাপন করে।তার পর থেকে প্রতিবছর তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাপসী মালিক দিবস পালন করা হয়।

বর্তমানে দুই মূর্তিকে ঢেকেছে আগাছায়।পরিষ্কার করার জন্য কারো কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।তবে কি তৃণমূলীরা ভুলতে বসেছে তাপসী মালিকের ইতিহাস নাকি অন্য রহস্য।

১২সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে সিঙ্গুরে এসে DYFI রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন যার হাত ধরে মূখ্যমন্ত্রী নবান্নে ঢুকলেন সেই শহীদের প্রতি কোন সন্মান রাখলেন না।আজকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আমার নিজেরও গিয়ে দেখছি লতা পাতা গাছে জঙ্গলে পোকা মাকড়ে শহীদের স্মৃতি কে আঁকড়ে আছে।আর যাদ আকঁড়ে ধরে থাকার কথা ছিল সাধারণ মানুষ কে সঙ্গে নিয়ে তিনি আজ নিজের চেয়ার আকঁড়ে ধরে আছেন নবান্নে।
শদীদের প্রতি এতো উদাসীনতার কারণ টাটা কারখানা হটিয়ে দিয়ে রাজ্যে শিল্পের দরজা বন্ধ করে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে হবে।
শহীদ পরিবারটাকে দাবার ঘুটি হিসাবে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।শহীদের আর কোনো প্রয়োজন নেই তাঁর।

যদিও এব্যাপারে সিঙ্গুরের যুব তৃনমুল নেতা তথা সেই সময়ের জমি বাঁচাও আন্দোলনকারী কৃষক মহাদেব দাস বলেন শহীদের প্রয়োজন কোনো ডিন ফুরায় না,প্রয়োজন আজও আছে আগামী দিনেও থাকবে।ওই মূর্তি গুলো বর্ষাকালে মাঝে মধ্যেই আগাছা জন্মায় আবার পরিষ্কার করা হয় এবং পরিষ্কার করা হবে।আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর তাপসী মালিকের পতিকী দিন তারা আগেও পরিষ্কার করা হবে পরেও করা হবে।এছাড়া ১৮ ই ডিসেম্বর তাপসী মালিকের মৃত্যু দিন সেই দিনটাও আমরা স্বরণ করি।আমাদের কর্মসূচি চলবে।

wb_hgl_01_singur_tapasi malik_copi_10007

B_1_মীনাক্ষী মুখার্জি(DYFI রাজ্য সভানেত্রী)
B_2_মহাদেব দাস(যুব তৃনমুল নেতা)
Conclusion:
Last Updated : Aug 26, 2019, 7:19 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.