27 মে,বৈদ্যবাটি: ওষুধের দোকানের মালিক পার্থ ঘোষের স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েও হুগলির বৈদ্যবাটি চকে দোকান খুলে ব্যবসা করছিলেন । মঙ্গলবার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যবাটি পৌরসভার সাফাই কর্মী মদন ঘোষ ও 17 নম্বর ওয়ার্ডের সুপারভাইজার তাঁকে করোনা বিধি মেনে দোকান বন্ধ করতে বলেন । এসব কিছুর তোয়াক্কা না করেই পার্থবাবু তাঁদের সঙ্গে রীতিমতো বচসা শুরু করে দেন ও মারধর করেন । ঘটনাটি প্রশাসনের কাছে গেলে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে দোকান বন্ধ করে পার্থবাবুকে আটক করে । দোকান মালিককে পড়ে ছেড়ে দিলে স্থানীয় তৃনমূলের নেতারা মদন ঘোষের বাড়ি গিয়ে চাপ দিয় অভিযোগ তুলে নেওয়ার কথা বলে । সেই কারণেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈদ্যবাটি পুরসভার সাফাই কর্মীরা কাজ বন্ধ করে বৈদ্যবাটি চকে হাজির হয়ে পার্থ ঘোষের বাড়িতে চড়াও হন । ঘটনার জন্য পার্থবাবুকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করা হয় । এরপর শতাধিক সাফাই কর্মী শেওড়াফুলি জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান । তাঁদের অভিযোগ, কেন তৃণমূলের নেতারা মদন ঘোষের বাড়ি গিয়ে চড়াও হয়েছেন । পাল্টা পার্থবাবুর অভিযোগ, সাফাই কর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে হেনস্থা করে ও তাঁকে মারধর করে । তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ।
পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘আজ সাফাই কর্মীরা আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে আমার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় । আমার স্ত্রী 14 মে করোনা পজেটিভ হয় । ওরা 25 তারিখ এসে দোকান বন্ধ করতে পারে না ।
তৃণমূল নেত্রী অঞ্জনা মিত্র বলেন, ‘‘মঙ্গলবার পার্থ ও মদনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। মদনের বাড়িতে আমরা নাকি গিয়ে শাসানি দিয়ে এসেছি ৷ কিন্তু ওর বাড়িতে কেউই যায়নি । সেই অভিযোগে আমাদের গালিগালাজ করে সাফাই কর্মীরা । পার্থর বাড়িতে সাফাই কর্মীরা হামলা চালায় । আমি ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যানকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি । প্রশাসনও ব্যবস্থা নিক।’’