ETV Bharat / state

কোচের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, প্রমাণ রাখতে ভিডিয়ো তুলল নাবালিকা সাঁতারু - hooghly

নাবালিকা সাঁতারুকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল তাঁর কোচের বিরুদ্ধে । প্রমাণ রাখার জন্য নিজেই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেছিল ওই সাঁতারু ৷

শ্লীলতাহানী
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 10:29 PM IST

Updated : Sep 5, 2019, 2:43 AM IST

রিষড়া, 4 সেপ্টেম্বর : জাতীয়স্তরের সাঁতারুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ কোচের বিরুদ্ধে । অভিযোগ, দিনের পর দিন তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন ওই ব্যক্তি । শেষে বাধ্য হয়ে মোবাইলে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে রাখে । সেই ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে । যা নিয়ে সরগরম ক্রীড়া মহল ।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মোবাইলের রেকর্ডার অন করে একটা জায়গায় রাখছে কিশোরী । তারপর কোচের ডাকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে এগিয়ে যায় দরজার দিকে । পায়ে বাঁধা ক্রেপ ব্যান্ডেজ । কোচ ঘরে ঢোকেন । প্রথমে দেখেন চোটের জায়গা । পায়ে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে দেন । এরপরই শুরু হয় তাঁর 'কুকীর্তি' । ওই কিশোরীকে জড়িয়ে ধরেন । শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেন । এরপর তিনি চলে যান । পরে ভিডিয়ো রেকর্ডার অফ করে দেয় ওই কিশোরী ।

ঘটনার কথা প্রথমে বাবা-মাকে জানাতে পারেনি সে । দিনকয়েক ধরে মনমরা ছিল । সাঁতার শিখতে যেতে চাইছিল না । একদিন বাবা তাকে মারধরও করে । তখনই কাঁদতে কাঁদতে সব কথা খুলে বলে । ভিডিয়োটিও দেখায় । এরপরই গোয়া থেকে রিষড়ার বাড়িতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তার বাবা ।

কিশোরীর বাবা বলেন, "ওই কোচের কাছেই আমার মেয়ে 2015 থেকে সাঁতার শিখছে । কোনওদিন সমস্যা হয়নি । 2017-18 সাল নাগাদ তিনি গোয়া চলে যান । আমার মেয়েও বলে, বাবা, আমি স্যারের কাছেই সাঁতার শিখব । ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি । উনি গোয়া যেতে বলেন । গতবছরই গোয়া যাই । আমি একটি স্কুলে গাড়ি চালাতাম । গাড়ি বিক্রি করে দিই মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে । প্রথম কিছুদিন গোয়াতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল । মেয়েও মনের আনন্দে সাঁতার শিখছিল । সমস্যা শুরু হয় মাস পাঁচ-ছয় আগে থেকে । তখন থেকে মেয়ে মনমরা থাকত । সাঁতার শিখতে যেতে চাইত না । আমি কিছুদিন আগে বকাবকি করি । চড়ও মারি । তখনই ও ভিডিয়ো দেখায় । আমরা অবাক । যে স্যারকে আমরা ভগবান বলে মানতাম, তিনিই কি না মেয়ের সঙ্গে এসব করছেন । তড়িঘড়়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই ।"

সোমবার বাড়ি ফিরে মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা যান রিষড়া থানায় । কিন্তু, সেখানে তাঁদের বলা হয়, গোয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে । সেখানকার কোনও থানাতেই অভিযোগ জানাতে হবে । কিশোরীর বাবা বলেন, "ওই স্যারের নামডাক আছে । গোয়ার বিধায়ক, সাংসদের ছেলে-মেয়েকেও সাঁতার শেখান । তাই, গোয়ায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারব না । ভয় লাগছে । যদি মেয়েটার কিছু করে দেয় ।"

কিশোরী বলে, "স্যার আমার শিক্ষাগুরু । ওঁর হাত ধরেই এত মেডেল পেয়েছি । উনি কী করে এরকম কাজ করলেন জানি না । অনেকদিন ধরে এসব করছেন । আমাকে ভয় দেখাতেন । বলতেন, কাউকে বলবি না । ভবিষ্যৎ রয়েছে । তাই, কাউকে কিছু বলতে পারিনি । পরে আর থাকতে পারছিলাম না । বাধ্য হয়ে ভিডিয়ো তুলেছিলাম । চাই, ওঁর শাস্তি হোক ।"

প্রথমে নিতে না চাইলেও পরে কিশোরীর বাবার অভিযোগ নেয় রিষড়া থানা । ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে ।

এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলার ক্রীড়ামহল । একাধিক প্রাক্তনী জানান, তাঁর বীতশ্রদ্ধ । একই সঙ্গে ওই কোচের শাস্তিও চেয়েছেন ।

বেঙ্গল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব স্বপন আদক বলেন, "আমরা বিষয়টি দেখেছি । অন্যান্য সাঁতারুদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

অভিযুক্ত সাঁতার কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কিশোরীর তোলা ভিডিয়ো ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ।

রিষড়া, 4 সেপ্টেম্বর : জাতীয়স্তরের সাঁতারুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ কোচের বিরুদ্ধে । অভিযোগ, দিনের পর দিন তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন ওই ব্যক্তি । শেষে বাধ্য হয়ে মোবাইলে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে রাখে । সেই ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে । যা নিয়ে সরগরম ক্রীড়া মহল ।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মোবাইলের রেকর্ডার অন করে একটা জায়গায় রাখছে কিশোরী । তারপর কোচের ডাকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে এগিয়ে যায় দরজার দিকে । পায়ে বাঁধা ক্রেপ ব্যান্ডেজ । কোচ ঘরে ঢোকেন । প্রথমে দেখেন চোটের জায়গা । পায়ে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে দেন । এরপরই শুরু হয় তাঁর 'কুকীর্তি' । ওই কিশোরীকে জড়িয়ে ধরেন । শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেন । এরপর তিনি চলে যান । পরে ভিডিয়ো রেকর্ডার অফ করে দেয় ওই কিশোরী ।

ঘটনার কথা প্রথমে বাবা-মাকে জানাতে পারেনি সে । দিনকয়েক ধরে মনমরা ছিল । সাঁতার শিখতে যেতে চাইছিল না । একদিন বাবা তাকে মারধরও করে । তখনই কাঁদতে কাঁদতে সব কথা খুলে বলে । ভিডিয়োটিও দেখায় । এরপরই গোয়া থেকে রিষড়ার বাড়িতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তার বাবা ।

কিশোরীর বাবা বলেন, "ওই কোচের কাছেই আমার মেয়ে 2015 থেকে সাঁতার শিখছে । কোনওদিন সমস্যা হয়নি । 2017-18 সাল নাগাদ তিনি গোয়া চলে যান । আমার মেয়েও বলে, বাবা, আমি স্যারের কাছেই সাঁতার শিখব । ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি । উনি গোয়া যেতে বলেন । গতবছরই গোয়া যাই । আমি একটি স্কুলে গাড়ি চালাতাম । গাড়ি বিক্রি করে দিই মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে । প্রথম কিছুদিন গোয়াতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল । মেয়েও মনের আনন্দে সাঁতার শিখছিল । সমস্যা শুরু হয় মাস পাঁচ-ছয় আগে থেকে । তখন থেকে মেয়ে মনমরা থাকত । সাঁতার শিখতে যেতে চাইত না । আমি কিছুদিন আগে বকাবকি করি । চড়ও মারি । তখনই ও ভিডিয়ো দেখায় । আমরা অবাক । যে স্যারকে আমরা ভগবান বলে মানতাম, তিনিই কি না মেয়ের সঙ্গে এসব করছেন । তড়িঘড়়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই ।"

সোমবার বাড়ি ফিরে মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা যান রিষড়া থানায় । কিন্তু, সেখানে তাঁদের বলা হয়, গোয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে । সেখানকার কোনও থানাতেই অভিযোগ জানাতে হবে । কিশোরীর বাবা বলেন, "ওই স্যারের নামডাক আছে । গোয়ার বিধায়ক, সাংসদের ছেলে-মেয়েকেও সাঁতার শেখান । তাই, গোয়ায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারব না । ভয় লাগছে । যদি মেয়েটার কিছু করে দেয় ।"

কিশোরী বলে, "স্যার আমার শিক্ষাগুরু । ওঁর হাত ধরেই এত মেডেল পেয়েছি । উনি কী করে এরকম কাজ করলেন জানি না । অনেকদিন ধরে এসব করছেন । আমাকে ভয় দেখাতেন । বলতেন, কাউকে বলবি না । ভবিষ্যৎ রয়েছে । তাই, কাউকে কিছু বলতে পারিনি । পরে আর থাকতে পারছিলাম না । বাধ্য হয়ে ভিডিয়ো তুলেছিলাম । চাই, ওঁর শাস্তি হোক ।"

প্রথমে নিতে না চাইলেও পরে কিশোরীর বাবার অভিযোগ নেয় রিষড়া থানা । ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে ।

এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলার ক্রীড়ামহল । একাধিক প্রাক্তনী জানান, তাঁর বীতশ্রদ্ধ । একই সঙ্গে ওই কোচের শাস্তিও চেয়েছেন ।

বেঙ্গল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব স্বপন আদক বলেন, "আমরা বিষয়টি দেখেছি । অন্যান্য সাঁতারুদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

অভিযুক্ত সাঁতার কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কিশোরীর তোলা ভিডিয়ো ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ।

Intro:হুগলির সাঁতারুকে শীলতাহানি র অভিযোগ তার কোচের বিরুদ্ধে।কোচের নাম সুরজিৎ গাঙ্গুলি।গত ছয় মাস আগে গোয়াতে সাঁতারের জন্য যায়।নেহা দাস হাওড়া বালি গ্রামীণ এর হয়ে রাজ্য হয়ে সোনা জিতে ছিল।বাড়ি রিষড়া মেরি পার্কে।গোয়াতে সুরজিৎ গাঙ্গুলি কাছে কোচিং নিত।অভিযোগ তাকে শীলতাহানি করা হয়।রিষড়া থানায় অভিযোগ নেয়নি পুলিশ।
WB_HGL_SWIMER MOLESTATION_7203418Body:WB_HGL_SWIMER MOLESTATION_7203418Conclusion:
Last Updated : Sep 5, 2019, 2:43 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.