চুঁচুড়া, 31 অগস্ট: চুঁচুড়ায় মিছিল বামপন্থী সংগঠনগুলির ৷ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ মিছিলে একাধিক বিষয়ে শাসকদলের ওপর আঙুল তোলেন তিনি ৷ কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Sujan Slams Mamata) ৷
সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন,পার্থ বাবু জামিনের আবেদন করবেন এটা স্বাভাবিক। এখন উনি বলবেন অপা ইউটিলিটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন, অর্পিতাকে (Arpita Mukherjee) আমি চিনি না। ক'দিন পরে তৃণমূলের বাকি নেতারা হয়তো বলবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনি না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee) হয়তো বলতে পারেন আমি তৃণমূলের কেউ না। মাঝখান থেকে মানুষের টাকা লুট হয়ে গিয়েছে। সেই লুটের ভাগিদার পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের নেতারা।
তিনি আরও বলেন, "কালিঘাটে কতটা ভাগ গিয়েছে এটা দ্রুত বলে দিন। লোকে যা ভাবছিল আমরা যা ভাবছিলাম দেখলাম গুষ্টিশুদ্ধ চোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়ে বাঁয়ে যারা রয়েছেন সবাই চোর। মমতার হাত যাদের মাথায় তাঁদের হাত যাঁদের উপর তাঁরা সবাই চোর। ফলে অনুব্রতর মেয়ে, সিকিউরিটি, ড্রাইভার, সবাই সুবিধাভোগী। এনসিআরবি রিপোর্টটা একটা অদ্ভুত রিপোর্ট হয়েছে। দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে নারীদের নিরাপত্তা ভালো ৷ কিন্তু নারীদের উপর আক্রমণ, অত্যাচার নাকি বেশি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, বিজেপিকে খুশি করতে চাইছে বিজেপিও তৃণমূলকে খুশি করতে চাইছে। তাই চিটফান্ডে সবথেকে বেশি সুবিধা প্রাপ্ত নবান্নে বসে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর কনভয় বারবার কেন দুর্ঘটনার কবলে, সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, ভাইপো স্বাধীনতা দিবসের দিন কেন দুবাইতে গিয়েছিলেন ? কী ব্যবস্থা করার জন্য দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। কেন ঘন ঘন সিঙ্গাপুর, হংকং, দুবাই ইত্যাদি যেতে হয়। ফলে পিসির-ভাইপোর সঙ্গে এখন যোগ দিয়েছেন ভাইপোর শ্যালিকাও। এর আগে তো তাঁর স্ত্রীকেও ডেকেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বলেছিলেন, মানহানির মামলা দেবে আজ পর্যন্ত দেয়নি। আমরা বলছি চোর ধরো জেল ভরো। এই কথাটার বিরোধীতা করার মত কেউ আছে ? তৃণমূল কেন বিরোধীতা করছে। আমরা বলছি চোর ধরো বলিনি তো তৃণমূল ধরো । তৃণমূল নেতারা জানে চোর আর তৃণমূল সমর্থক। তাই তাঁরা ভয় পাচ্ছে।