ETV Bharat / state

ফি বকেয়া, পরীক্ষায় বসতে দিল না স্কুল ! - ঙুগলি

স্কুলের ফি দিতে না পারায় পরীক্ষায় বসতে পারল না ক্লাস থ্রি'র ছাত্রী সিলভি চক্রবর্তী ৷ মগরার খেজুরিয়ায় একটি বেসরকারি ইংরেজ মাধ্যম স্কুলের ঘটনা ৷

স্কুলের সামনে অভিভাবক
author img

By

Published : Sep 16, 2019, 10:12 PM IST

Updated : Sep 16, 2019, 11:42 PM IST

আদিসপ্তগ্রাম, 16 সেপ্টেম্বর : স্কুলের ফি দিতে না পারায় পরীক্ষায় বসতে পারল না ক্লাস থ্রি'র ছাত্রী সিলভি চক্রবর্তী ৷ মগরার খেজুরিয়ায় একটি বেসরকারি ইংরেজ মাধ্যম স্কুলের ঘটনা ৷ গত এপ্রিল থেকে স্কুলের ফি দিতে পারেননি সিলভির মা ৷ তাই সিলভিকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ জেলাশাসক, DI-কে অভিযোগ জানিয়েছেন তার মা ৷

ওই ছাত্রীর মা কাবেরী প্রামাণিক চক্রবর্তী বলেন, "আমি মেয়েকে এই স্কুলে যবে ভরতি করি, তার কিছুদিনের মধ্যেই আমার স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে যান ৷ আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ । মিসিং ডায়েরি করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা জানিয়েছিলাম ৷ স্কুল আমাকে কিছুদিন সময় দিয়েছিল ঠিকই ৷ যতটা পেরেছি স্কুল-ফি দিয়েছি ৷ বর্তমানে স্কুলের ফি ও অন্যান্য খরচ বহন করতে পারছি না ৷ রাইট টু এডুকেশনের আওতায় শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু ছাড় পাওয়া যায় ৷ সে কারণেই DI অফিস, জেলাশাসকের দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছিলাম ৷ DI অফিসের চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করলেও ফোনে আমাকে বলা হয় মেয়েকে TC দেওয়া হবে ৷ আজকের পরীক্ষাতেও বসতে দেওয়া হয়নি ৷ NCPCR-এ বিষয়টি জানাব ৷ শিক্ষামন্ত্রীকেও এই বিষয়টা জানিয়েছি ৷" তিনি আরও জানান, রাইট টু এডুকেশন আক্টের আওতায় সমাজে পিছিয়ে থাকা আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের জন্য 25 শতাংশ সংরক্ষণ দিতে হয় ৷ কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করে ৷ পাশাপাশি খারাপ ব্যবহারও করে ৷

আরও পড়ুন : কোচের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, প্রমাণ রাখতে ভিডিয়ো তুলল নাবালিকা সাঁতারু

ওই বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল নূপুর দে সরকার বলেন, "এই স্কুল সরকারি আওতাভুক্ত নয় ৷ একটা বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে ৷ যে টিচার রয়েছেন বা স্কুলে যে বৃত্তিমূলক কোর্সগুলো চালু রয়েছে, সেজন্য খরচ হয় ৷ ওই অভিভাবক যে ছাড়ের দাবি করছেন, সেটা কেবল মাত্র সরকারি অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৷ স্কুল এখনও পর্যন্ত CBSE বা পশ্চিমবঙ্গ কোনও বোর্ডেরই অধীন নয় ৷ তাই ছাড় দেওয়া সম্ভব নয় ৷ তাছাড়া, উনি যখন ওঁর মেয়েকে ভরতি করেছিলেন, তখন চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছিলেন ৷ ওঁর ক্ষেত্রে ছাড় দিলে অন্যান্য পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও ছাড়ের বিষয়টি উঠবে ৷" হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রদীপ আচার্য জানান, অভিযোগ পেয়েছি ৷ সংশ্লিষ্ট স্কুলকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে ৷ ওই ছাত্রী সরকারি কোনও স্কুলে ভরতি হতে চাইলে, তার ব্যবস্থা করা হবে ৷

আদিসপ্তগ্রাম, 16 সেপ্টেম্বর : স্কুলের ফি দিতে না পারায় পরীক্ষায় বসতে পারল না ক্লাস থ্রি'র ছাত্রী সিলভি চক্রবর্তী ৷ মগরার খেজুরিয়ায় একটি বেসরকারি ইংরেজ মাধ্যম স্কুলের ঘটনা ৷ গত এপ্রিল থেকে স্কুলের ফি দিতে পারেননি সিলভির মা ৷ তাই সিলভিকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ জেলাশাসক, DI-কে অভিযোগ জানিয়েছেন তার মা ৷

ওই ছাত্রীর মা কাবেরী প্রামাণিক চক্রবর্তী বলেন, "আমি মেয়েকে এই স্কুলে যবে ভরতি করি, তার কিছুদিনের মধ্যেই আমার স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে যান ৷ আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ । মিসিং ডায়েরি করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা জানিয়েছিলাম ৷ স্কুল আমাকে কিছুদিন সময় দিয়েছিল ঠিকই ৷ যতটা পেরেছি স্কুল-ফি দিয়েছি ৷ বর্তমানে স্কুলের ফি ও অন্যান্য খরচ বহন করতে পারছি না ৷ রাইট টু এডুকেশনের আওতায় শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু ছাড় পাওয়া যায় ৷ সে কারণেই DI অফিস, জেলাশাসকের দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছিলাম ৷ DI অফিসের চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করলেও ফোনে আমাকে বলা হয় মেয়েকে TC দেওয়া হবে ৷ আজকের পরীক্ষাতেও বসতে দেওয়া হয়নি ৷ NCPCR-এ বিষয়টি জানাব ৷ শিক্ষামন্ত্রীকেও এই বিষয়টা জানিয়েছি ৷" তিনি আরও জানান, রাইট টু এডুকেশন আক্টের আওতায় সমাজে পিছিয়ে থাকা আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের জন্য 25 শতাংশ সংরক্ষণ দিতে হয় ৷ কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করে ৷ পাশাপাশি খারাপ ব্যবহারও করে ৷

আরও পড়ুন : কোচের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, প্রমাণ রাখতে ভিডিয়ো তুলল নাবালিকা সাঁতারু

ওই বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল নূপুর দে সরকার বলেন, "এই স্কুল সরকারি আওতাভুক্ত নয় ৷ একটা বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে ৷ যে টিচার রয়েছেন বা স্কুলে যে বৃত্তিমূলক কোর্সগুলো চালু রয়েছে, সেজন্য খরচ হয় ৷ ওই অভিভাবক যে ছাড়ের দাবি করছেন, সেটা কেবল মাত্র সরকারি অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৷ স্কুল এখনও পর্যন্ত CBSE বা পশ্চিমবঙ্গ কোনও বোর্ডেরই অধীন নয় ৷ তাই ছাড় দেওয়া সম্ভব নয় ৷ তাছাড়া, উনি যখন ওঁর মেয়েকে ভরতি করেছিলেন, তখন চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছিলেন ৷ ওঁর ক্ষেত্রে ছাড় দিলে অন্যান্য পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও ছাড়ের বিষয়টি উঠবে ৷" হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রদীপ আচার্য জানান, অভিযোগ পেয়েছি ৷ সংশ্লিষ্ট স্কুলকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে ৷ ওই ছাত্রী সরকারি কোনও স্কুলে ভরতি হতে চাইলে, তার ব্যবস্থা করা হবে ৷

Intro:টাকা না দেওয়া পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে।ঘটনাটি মগড়ার খেজুরিয়ায় বেসরকারী একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের।ছাত্রী নাম সিলভি চক্রবর্তী।এপ্রিল মাসে থেকে স্কুলের ফিজ জমা না দিতে পারায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হলো না ছোটো সিলভি কে।গত বছর তাকে ওই স্কুলে ভর্তি করে তার মা বাবা।হঠাৎই বাবা মিসিং হওয়ার ফলে তাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়।মা কাবেরী বহু বার স্কুল কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ঐ ছাত্রী কে এডমিড কার্ড না দেওয়া পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।তাই বছরের মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধের ফলে অন্ধকারে ছাত্রীর স্কুলের ভবিষ্যৎ।সিলভির অনেক বন্ধু আছে এই স্কুলে।তাই এই স্কুলে সে পড়তে চায়।বছরের মাঝপথে কোথায় যাবে বুঝে উঠতে পারেন না ছাত্রীর মাও।স্কুলকে অনুরোধ করেন মেয়েকে স্কুলে পড়তে দেওয়ার জন্য।মানবিকতার খাতিরেও বিষয়টি দেখছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।তাই ছাত্রীটির মা কাজ না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাইট টু এডুকেশান এর কথা স্মরণ করিয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে।যেখানে বলা আছে সমাজে পিছিয়ে থাকা আর্থিক ভাবে দূর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে হবে।কিন্তু স্কুল জানিয়ে দেয় সেসব মানার প্রশ্ন নেই।প্রয়োজনে কোর্টে গিয়ে অর্ডার নিয়ে আসতেও বলা হয় কাবেরী দেবীকে।এরপরই জেলা শাসক,ডিআই এমনকি শিক্ষামন্ত্রীকেও অভিযোগ জানান তিনি।হুগলি অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রদীপ আচার্য জানান,বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি।স্কুলকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হবে।ওই ছাত্রী সরকারী কোনো ভর্তি হতে চাইলে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

ছাত্রীর মা কাবেরী প্রামানিক চক্রবর্তী বলেন যবে থেকে আমি ভর্তি করেছি তার কিছুদিনের মধ্যে কি আমার স্বামী মিসিং হয়েছেন।মিসিং ডায়েরি করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কেও আমি বিষয়টা জানিয়েছি।সে ক্ষেত্রে আমাদের আমার পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। স্কুল কে বিষয়টা জানাই। স্কুলে আমাকে কিছুদিন সময় দিয়েছিল ঠিকই। ধরে আমি যতটা পেরেছি স্কুলের ফ্রিজ দিয়েছি। বর্তমানে স্কুলের ফ্রিজ এবং অন্যান্য খরচ বহন করতে পারছিনা। সুপ্রিম কোর্টের একটা নিয়ম আছে রাইট টু এডুকেশনে। শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু ছাড় পাওয়া যায় সেই কারণেই ডিআই অফিস ডিএম অফিস বিষয়টি আমি জানিয়েছিলাম।স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিত চিঠি গ্রহণ করলেও ফোনে আমাকে বলা হচ্ছে আমার মেয়েকে টিসি দিয়ে দেবে এবং আজ 16 তারিখ পরীক্ষায় বসতে দেয়নি আজ হাফেআর্লি পরীক্ষাতেও। শিক্ষা সংস্থা প্রথমে দাতব্য তারপর ব্যবসা
কিন্তু স্কুল প্রিন্সিপাল এবং স্কুলের ম্যানেজমেন্ট থেকে বাচ্চারা কি শিক্ষা পাবে এই ঘটনায়।এখানে টাকাটাই বড়। বর্তমানে আমি বা আমার মত যারা অসহায় তারা টাকা দিতে পারছিনা বলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবং পরীক্ষায় বসতে দেয়া হচ্ছে না।এক্ষেত্রে এই আইন যারা বানিয়েছেন তারা কি বিষয়টা জানেন না। বেসরকারি স্কুল যদি 25 শতাংশ কম ইনকাম বাচ্চাদের বাচ্চাদের পড়ায় তাহলে স্কুল কি করে চলবে। তারা জেনে বুঝেই তো এই আইনটা বানিয়েছে। সমস্ত জায়গায় চিঠি করেছি লিখিতভাবে জানিয়েছি আবারও যাব। ডিএম এবং ডিআই অফিসে জানিয়েছি ।NCPCR বিষয়টি জানাব। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে ও এ বিষয়টা জানিয়েছি।

প্রিন্সিপাল নুপুর দে সরকার বলে এই স্কুল আমাদের গভমেন্ট অ্যাপ্লিকেটর স্কুল নয়। আমরা একটা প্রাইভেট সংস্থার মাধ্যমে চালাচ্ছি ।দু'বছর হয়নি চলছে এই স্কুল আমাদের। যে টিচার আছেন বা ভোকেশনাল কোর্স গুলো চলছে।তার জন্য খরচ হয়।ওই ছাত্রীর গার্জেন যে দাবি করছেন তাকে ছাড় দেয়া হোক।এই স্কুল কেবলমাত্র সরকারি অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।এটাতো এখন ও অনুমোদন হয়নি ।এখনো এই স্কুলে দুশ ছাত্রই বেশি ভর্তি হয়নি।যখন সরকারি বোর্ডের অনুমোদন হবে ।তখন মাইনের ক্ষেত্রে ছাড়ের বিষয়টা আসবে। ওই অভিভাবক যখন ভর্তি করেছিলেন তখন এগ্রিমেন্ট সাইন করেছিলেন ।ওনার ক্ষেত্রে যদি ছাড়ের বিষয়টা আনা হয় তাহলে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের ছাড় দিতে হবে ।আর যারা এই স্কুলের টাকা পয়সার দিতে পারছে। তারা এখানে পড়ছেন কিন্তু যারা পারছেন না তারা তো অনেকেই চলে যাচ্ছে।পাশাপাশি প্রতিটা স্কুল এই এই ধরনের করা হয়। যারা বেসরকারি শিক্ষা সংস্থা আমরা তো সরকারি কোন সংস্থা নই ।আমরা তো আর নিজের পকেট থেকে দিতে পারছি না। আমাদের নিয়ম-কানুন অনুযায়ী সমস্ত মাইনে টাকা পয়সা মিটিয়ে দেন। তাহলে অবশ্যই বাচ্চাটি পড়তে পারবে। মাইনে না দিলে স্কুলে পড়া সম্ভব না। সেটা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রিন্সিপাল। ওই বাচ্চাটি যদি শিক্ষায় ভালো থাকে ।তাহলে গভমেন্ট স্কুলে ভর্তি করে দিক। প্রিন্সিপালের বক্তব্য আমরা যে এতগুলো শিক্ষক রেখেছি ও কর্মচারী রেখেছি তাদের আমরা কোথা থেকে টাকা দেব।Body:WB_HGL _BANDEL SCHOOL PROBLEM_7203418Conclusion:
Last Updated : Sep 16, 2019, 11:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.