চন্দননগর, 11 মে: গোষ্ঠী সংঘর্ষের জের ৷ চন্দননগরে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল ছাত্র নেতা সোমবুদ্ধ দত্তকে ৷ চন্দননগর গভর্মেন্ট কলেজে বুধবার তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল বাঁধে । কলেজে সোশাল কারা করবে সেই নিয়ে গত কয়েক কয়েকদিন ধরে অশান্তি চলছিল । এদিন তৃণমূল ছাত্র নেতা সোমবুদ্ধ দত্ত গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে চন্দননগর থানায় ডেপুটেশন দেয় । এরপর কলেজের সামনে ফিরতেই দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি হয় । পুলিশ গিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে । রাতে সেই ঘটনায় ছাত্রনেতা সোমবুদ্ধ দত্ত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় ।
বৃহস্পতিবার ধৃতদের চন্দননগর আদালতে পেশ করা হয় । ধৃতরা হলেন অলীক সামন্ত, অর্ণব ঘোষ ও সোমবুদ্ধ দত্ত । বিভিন্ন ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সোমবুদ্ধ বলেন, "গতকাল চন্দননগর থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই ডেপুটেশনে আমাকে আহ্বান জানানো হয় । বহিরাগতদেরকে দিয়ে উত্তপ্ত করা হচ্ছে । নতুন প্রজন্মকে এখানে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে । বুক দিয়ে যারা দলকে আগলে রেখেছে তাদেরকেই বুকে লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে চন্দননগর থেকে ।" চন্দননগর পুলিশের ডিসি ভিদিত রাজ বুন্দেশ জানান, কলেজের বাইরে অশান্তি হয়েছে । নির্দিষ্ট অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, চন্দননগর কলেজে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ কার দখলে থাকবে, সে নিয়ে এমনিতেই ঠান্ডা লড়াই চলছিল । তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছিল । সেখানে মেয়েদের কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে একপক্ষের বিরুদ্ধে । তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ কার দখলে থাকবে সে নিয়ে ফের বুধবার চন্দননগর স্ট্যান্ডে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল বাঁধে । সম্প্রতি হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সোমবুদ্ধ দত্তকে । গত 20 মার্চ সোমবুদ্ধকে সরিয়ে হুগলি-শ্রীরামপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হয় উত্তরপাড়ার শুভদীপ মুখোপাধ্যায়কে । সোমবুদ্ধর গোষ্ঠী যদিও কলেজে সক্রিয় রয়েছে । টিএমসিপির এই গোষ্ঠী সোশাল নিয়ে সক্রিয়তা দেখানোয় সোমবুদ্ধর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর ছাত্ররা তা মেনে নিতে পারেনি ।
কলেজের অবজারভার সুইটি কোলের অভিযোগ, বহিরাগত কয়েকজন এসে তাদের উপর আক্রমণ করে । যারা গত কয়েকদিন ধরে কলেজের বাইরে তাদের উত্যক্ত করছিল । বুধবার চন্দননগর থানায় মিছিল করে ডেপুটেশন দিয়ে কলেজে ফেরার সময় তাদের মারধর করা হয় । ওই ঘটনায় দুই ছাত্রী আহত হন । পুলিশ গিয়ে কলেজের সামনে থেকে দু'পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আটক করে । প্রাক্তন সভাপতিকেও আটক করা হয় । খবর পেয়ে তার অনুগামীরা থানার সামনে জড়ো হয় ।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকে চোর চোর স্লোগান, অস্বস্তিতে শাসকদল