আরামবাগ, 18 জানুয়ারি: ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল হুগলি আরামবাগের খুদে সঞ্জনা নন্দী (Sanjana Nandi Wins India Book of Records) ৷ আরামবাগের পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডের সতীতলার বাসিন্দা সঞ্জয় নন্দী এবং ঝরনা কোটাল নন্দীর মেয়ে সঞ্জনা ৷ 2 বছর 9 মাসের মেধাবী সঞ্জনা অসাধারণ একটি প্রতিভার অধিকারী ৷ 2 মিনিটের মধ্যে 29টি রাজ্যের রাজধানীর নাম, মানুষের শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, কবিতা, 10টি যানবাহন, রাজ্যের 23টি জেলা-সহ আর নানান বিষয় সবচেয়ে কমসময়ের মধ্যে বলে দিতে পারে সে ৷ আর এই অনন্য প্রতিভার কারণেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস জিতেছে সঞ্জনা নন্দী ৷
সঞ্জনা নন্দীর বাবা সঞ্জয় নন্দী শপিংমলে কাজ করেন ৷ তার মা ঝরনা কোটাল নন্দী গৃহবধূ ৷ সঞ্জয় এবং ঝরনা জানাচ্ছেন, তাঁরা খেলার ছলে মেয়েকে পশু-পাখি, দেশ-বিদেশের ও রাজ্যের রাজধানীর নাম শিখিয়েছেন ৷ সেগুলি শুনে মনেও রেখেছে ছোট্ট সঞ্জনা ৷ আর এর পিছনে অনেকটা কৃতিত্বই সঞ্জনার মায়ের বলে, জানাচ্ছেন সঞ্জীব নন্দী ৷ তিনিই সারাদিন আশেপাশের বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মেয়ের পরিচয় করান ৷ সেগুলিই মনে রেখে দেয় সে ৷ সেগুলি বলতে বলতে বর্তমানে এতটাই পারদর্শী হয়ে উঠেছে যে, নিমেষের মধ্যে 29টি দেশের রাজধানীর নাম বলে দিতে পারে সঞ্জনা ৷
আরও পড়ুন: দু'বছর বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড গড়ল হরিপালের অরণ্য
তাঁরা জানিয়েছেন, সঞ্জনার এই সব প্রতিভার একটি ভিডিয়ো করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছিল ৷ তার মধ্যে অনেক জায়গা থেকেই পুরস্কার পেয়েছে সে ৷ তেমনি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম পাঠিয়েছিলেন সঞ্জয় নন্দী এবং ঝরনা কোটাল নন্দী ৷ সেই ভিডিয়ো দেখে সংস্থার তরফে যোগাযোগ করা হয় সঞ্জয় নন্দীর সঙ্গে ৷ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের তরফে সঞ্জনার পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, সম্প্রতি তাঁদের বাড়িতে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের সংশাপত্র এবং মেডেল এসে পৌঁছায় ৷ মেয়ের এই সাফল্যে খুশি সঞ্জয় নন্দী এবং ঝরনা কোটাল নন্দী ৷ আগামী দিনে সঞ্জনা যাতে আরও অনেক সাফল্য অর্জন করতে পারে, তার চেষ্টাই করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা ৷