ETV Bharat / state

শিক্ষককে জুতোপেটা করেছিলেন কোন্নগর কলেজের প্রহৃত অধ্যাপক !

১৯৯৭ সালের 26 জানুয়ারি । বাহিরখণ্ড স্টেশনের দিক থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রামনগর নটু বিহারী পাল চৌধুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনসারাম ঘোষ ৷ তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কোন্নগরের হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 27, 2019, 6:42 PM IST

Updated : Jul 28, 2019, 3:00 PM IST

কোন্নগর, 27 জুলাই : কোন্নগরের একটি কলেজের অধ্যাপককে নিগ্রহের ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এল ৷ অভিযোগ, 22 বছর আগে তিনিও নাকি এক শিক্ষককে নিগ্রহ করেছিলেন ৷ যদিও তা অস্বীকার করে তাঁর বক্তব্য, এটা মিথ্যা অভিযোগ ৷

কয়েকদিন আগে কোন্নগরের হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চ্যাটার্জিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে TMCP সদস্যদের বিরুদ্ধে । নাম জড়ায় স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরেরও ৷ নিন্দায় সরব হন অনেকেই । এরপর তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কলেজে গিয়ে ক্ষমা চান জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব ৷ কিন্তু সুব্রতবাবু বলেন, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি স্বস্তি পাবেন না ৷ আর এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক পেটানোর অভিযোগ উঠল । অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন শিক্ষক মনসারাম ঘোষ ৷ যিনি আগে কংগ্রেস করলেও এখন তৃণমূল সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত ৷

ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে ? ১৯৯৭ সালের 26 জানুয়ারি বাহিরখণ্ড স্টেশনের দিক থেকে বাড়ি ফেরার সময় রামনগর নটু বিহারী পাল চৌধুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনসারাম ঘোষ ও তাঁর ছেলেকে মারধর করেন সুব্রতবাবু ও বেশ কয়েকজন CPI(M) সমর্থক ৷ বাইকও ভাঙচুর করা হয় ৷ পরে হাসপাতালে ভরতি করতে হয় মনসারামবাবুকে । এই বিষয়ে তৎকালীন কংগ্রেস কর্মী তথা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুর্গাপদ ঘোষ বলেন, "সেই সময় কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার সমস্ত সরকারি জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা ঘোষণা করে ৷ সেই মতো স্থানীয় কংগ্রেস সমর্থকরা 23 জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে নারায়ণপুর পাঠাগারে পতাকা তুলতে যায় । তখন ওই পাঠাগারের সম্পাদক ছিলেন সুব্রত চ্যাটার্জি ৷ তিনি ও আরও কয়েকজন পতাকা তুলতে বাধা দেন৷ কেন জিজ্ঞাসা করা হলে সুব্রত বলেন, নেতাজি কে? আমরা পতাকা তুলতে দেব না ৷ 26 জানুয়ারি আবার পতাকা তুলতে গেলে সুব্রতর নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করা হয় । জুতোপেটা করা হয় মনসারামবাবুকেও ৷ এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ আমার এক ভাইকেও মারা হয়েছিল ।"

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে সুব্রতবাবু বলেন, "আমার যা মনে পড়ছে গ্রামে একটা বিবাদ হয়েছিল । তৎকালীন কংগ্রেস কর্মীরা বলেছিল জাতীয় পতাকা তুলতে দেবে না । সেই সময় কংগ্রেস নেতা অশোক ঘোষ আমার দাদা বাণীব্রত চ্যাটার্জিকে বেধড়ক মারধর করে । হরিপাল হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । আমি পাঠাগারের সম্পাদক ছিলাম । এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ ছিল না ৷ এমনকী ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না ৷ আমি অপরাধী ছিলাম কি না তা কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করুক । " ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমরা সঙ্গে ন্যায় বিচার হবে । এটা ন্যায় বিচারের নমুনা । 22 বছরের পুরোনো একটি কেস নতুন করে সাজানো হচ্ছে । তার পুনর্নির্মাণ হচ্ছে ৷ এটাই তৃণমূলের চরিত্র । কলেজে তৃণমূলের কয়েকজন চেষ্টা করেছিল এক ছাত্রীকে দিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনার । পারেনি । তাই পুরোনো একটি গ্রাম্য বিবাদের ঘটনায় আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে । তারা সেই ঘটনার কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারবে না । কুৎসা রটানো ছাড়া ওদের কিছু করার নেই । তৃণমূল যদি মনে করে রাজ্যজুড়ে যে ভাবাবেগ তৈরি হয়েছে, সেটার ড্যামেজ কন্ট্রোল করবে তা কখনও হবে না । মানুষ বিরুদ্ধে যাবে । মিথ্যাপ্রচার কখনও কোনও রাজনৈতিক দলকে লাভ দেয় না । "

সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে যাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই প্রাক্তন শিক্ষক মনসারাম ঘোষ বলেন, "সুব্রত চ্যাটার্জি মিথ্যা কথা বলছেন । যদিও আমি শিক্ষককে মারধরের ঘটনা সমর্থন করি না । এটা সম্পূর্ণ অন্যায় । কিন্তু 26 জানুয়ারি সুব্রতর নেতৃত্বে আমাকে মারা হয়েছিল । এখন মুখ্যমন্ত্রী ওঁকে ফোন করেছেন । তখন কিন্তু আমার কাছে জ্যোতি বসু দুঃখপ্রকাশ করেননি । পরে 12 বছর কেস চলার পর সুব্রতর দাদা এসে ক্ষমা চাইলে কেস তুলে নেওয়া হয় । কিন্তু সুব্রত আজ পর্যন্ত ক্ষমা চাননি । সেই কেসের কাগজপত্র আর আমার কাছে নেই । তবে খোঁজ করলে কাগজপত্র পাওয়া যেতে পারে ৷"

অনেকেই বলছেন, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ করাতেই 22 বছর আগের একটি ঘটনাকে সামনে আনা হয়েছে ৷ তাঁর ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।

কোন্নগর, 27 জুলাই : কোন্নগরের একটি কলেজের অধ্যাপককে নিগ্রহের ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এল ৷ অভিযোগ, 22 বছর আগে তিনিও নাকি এক শিক্ষককে নিগ্রহ করেছিলেন ৷ যদিও তা অস্বীকার করে তাঁর বক্তব্য, এটা মিথ্যা অভিযোগ ৷

কয়েকদিন আগে কোন্নগরের হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চ্যাটার্জিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে TMCP সদস্যদের বিরুদ্ধে । নাম জড়ায় স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরেরও ৷ নিন্দায় সরব হন অনেকেই । এরপর তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কলেজে গিয়ে ক্ষমা চান জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব ৷ কিন্তু সুব্রতবাবু বলেন, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি স্বস্তি পাবেন না ৷ আর এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক পেটানোর অভিযোগ উঠল । অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন শিক্ষক মনসারাম ঘোষ ৷ যিনি আগে কংগ্রেস করলেও এখন তৃণমূল সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত ৷

ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে ? ১৯৯৭ সালের 26 জানুয়ারি বাহিরখণ্ড স্টেশনের দিক থেকে বাড়ি ফেরার সময় রামনগর নটু বিহারী পাল চৌধুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনসারাম ঘোষ ও তাঁর ছেলেকে মারধর করেন সুব্রতবাবু ও বেশ কয়েকজন CPI(M) সমর্থক ৷ বাইকও ভাঙচুর করা হয় ৷ পরে হাসপাতালে ভরতি করতে হয় মনসারামবাবুকে । এই বিষয়ে তৎকালীন কংগ্রেস কর্মী তথা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুর্গাপদ ঘোষ বলেন, "সেই সময় কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার সমস্ত সরকারি জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা ঘোষণা করে ৷ সেই মতো স্থানীয় কংগ্রেস সমর্থকরা 23 জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে নারায়ণপুর পাঠাগারে পতাকা তুলতে যায় । তখন ওই পাঠাগারের সম্পাদক ছিলেন সুব্রত চ্যাটার্জি ৷ তিনি ও আরও কয়েকজন পতাকা তুলতে বাধা দেন৷ কেন জিজ্ঞাসা করা হলে সুব্রত বলেন, নেতাজি কে? আমরা পতাকা তুলতে দেব না ৷ 26 জানুয়ারি আবার পতাকা তুলতে গেলে সুব্রতর নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করা হয় । জুতোপেটা করা হয় মনসারামবাবুকেও ৷ এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ আমার এক ভাইকেও মারা হয়েছিল ।"

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে সুব্রতবাবু বলেন, "আমার যা মনে পড়ছে গ্রামে একটা বিবাদ হয়েছিল । তৎকালীন কংগ্রেস কর্মীরা বলেছিল জাতীয় পতাকা তুলতে দেবে না । সেই সময় কংগ্রেস নেতা অশোক ঘোষ আমার দাদা বাণীব্রত চ্যাটার্জিকে বেধড়ক মারধর করে । হরিপাল হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । আমি পাঠাগারের সম্পাদক ছিলাম । এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ ছিল না ৷ এমনকী ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না ৷ আমি অপরাধী ছিলাম কি না তা কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করুক । " ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমরা সঙ্গে ন্যায় বিচার হবে । এটা ন্যায় বিচারের নমুনা । 22 বছরের পুরোনো একটি কেস নতুন করে সাজানো হচ্ছে । তার পুনর্নির্মাণ হচ্ছে ৷ এটাই তৃণমূলের চরিত্র । কলেজে তৃণমূলের কয়েকজন চেষ্টা করেছিল এক ছাত্রীকে দিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনার । পারেনি । তাই পুরোনো একটি গ্রাম্য বিবাদের ঘটনায় আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে । তারা সেই ঘটনার কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারবে না । কুৎসা রটানো ছাড়া ওদের কিছু করার নেই । তৃণমূল যদি মনে করে রাজ্যজুড়ে যে ভাবাবেগ তৈরি হয়েছে, সেটার ড্যামেজ কন্ট্রোল করবে তা কখনও হবে না । মানুষ বিরুদ্ধে যাবে । মিথ্যাপ্রচার কখনও কোনও রাজনৈতিক দলকে লাভ দেয় না । "

সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে যাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই প্রাক্তন শিক্ষক মনসারাম ঘোষ বলেন, "সুব্রত চ্যাটার্জি মিথ্যা কথা বলছেন । যদিও আমি শিক্ষককে মারধরের ঘটনা সমর্থন করি না । এটা সম্পূর্ণ অন্যায় । কিন্তু 26 জানুয়ারি সুব্রতর নেতৃত্বে আমাকে মারা হয়েছিল । এখন মুখ্যমন্ত্রী ওঁকে ফোন করেছেন । তখন কিন্তু আমার কাছে জ্যোতি বসু দুঃখপ্রকাশ করেননি । পরে 12 বছর কেস চলার পর সুব্রতর দাদা এসে ক্ষমা চাইলে কেস তুলে নেওয়া হয় । কিন্তু সুব্রত আজ পর্যন্ত ক্ষমা চাননি । সেই কেসের কাগজপত্র আর আমার কাছে নেই । তবে খোঁজ করলে কাগজপত্র পাওয়া যেতে পারে ৷"

অনেকেই বলছেন, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ করাতেই 22 বছর আগের একটি ঘটনাকে সামনে আনা হয়েছে ৷ তাঁর ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।

Intro:অধ্যাপক মারধরের ঘটনা নয়া বিতর্ক। কোন্নগর কলেজের অধ্যাপকই নাকি শিক্ষক নিগ্রহের অভিযুক্ত।তিনি অতীতে নারায়নপুরের এক শিক্ষককে জুতো পেটা করেন বলে অভিযোগ।এই ঘটনা তোলপাড় হতেই পুরানো ঘটনা উস্কে দিয়েছেন সেই নিগৃহত প্রাক্তন শিক্ষক মনসারাম ঘোষ।তবে এটা মিথ্যা অভিযোগ ।এর সঙ্গে তৃণমূলই জড়িত বলে দাবি হিরালাল পাল কলেজের অধ্যাপকের।সুব্রত চ্যাটার্জীকে মারধরে রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।কিন্তু এই সুব্রত বাবুই আজ থেকে 22 বছর আগে বাহিরখণ্ডে এক শিক্ষকে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ।থানায় অভিযোগ ও দায়ের করা হয়েছিল।তবে অধ্যাপক অবশ্য তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তৃণমূলের সাজানো ঘটনা বলে দাবি করেছেন তিনি।সময়টা ১৯৯৭ সাল 26 শে জানুয়ারি বাহিরখন্ড স্টেশনে দিক থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মনসারাম ঘোষ।তিনি ছিলেন রামনগর নটু বিহারী পাল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।বাইক করে ফেরার পথে সুব্রত চ্যাটার্জী ও CPIM বেশ কিছু সমর্থক তাকে ও তার ছেলেকে মারধর করে।বাইক ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিক্ষক মনসারাম ঘোষকে।তিনি সেই সময় কংগ্রেস করতেন।কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করে সমস্ত সরকারি জায়গায় জাতীয় পতাকা তোলার।সেই মতো তিনি ও স্থানীয় একটি ক্লাবের কংগ্রেস সমর্থকরা বিভিন্ন মনীষী বা বিশেষ দিনে পতাকা তুলতে উদ্যোগী হন।ঘটনার সূত্রপাত 23 জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে নারায়ণপুর পাঠাগারে পতাকা তুলতে যাওয়া হয়।সেই সময় পাঠাগারের সম্পাদক ছিলেন সুব্রত চ্যাটার্জী।তিনি ও বেশ কয়েকজন পতাকা তুলতে বাঁধা দেন।ফের 26 জানুয়ারি আবার পাঠাগারে পতাকা তুলতে গেলে মারধর করা হয় সুব্রত বাবুর নেতৃত্বে।এমনকি এই পতাকা তোলা ঘটনায় জড়িয়ে মনসারাম বাবুকে বেধড়ক জুতো পেটা করে বলে দাবি করেন মনসারাম ঘোষ।অপর দিকে এই পুরো মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন বর্তমান অধ্যাপক সুব্রত চ্যাটার্জী।তিনি উল্টে বলেন এটা একটি গ্রাম্য বিবাদ।তৎকালীন কংগ্রেসীরা জাতীয় পতাকা তুলতে দেবে না।সেই সময় কংগ্রেস নেতা অশোক ঘোষ আমার দাদা বাণী ব্রত চ্যাটার্জী কে বেধড়ক প্রহার করে।হরিপাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।সেই প্রতিক্রিয়ায় কিছু কংগ্রেসী নেতা মারধর খায়।আমি পাঠাগারের সম্পাদক ছিলাম।সেই ঘটনায় আমি ছিলাম না।ঐ ঘটনায় কেস চলে 12 ও 13 সাল পর্যন্ত ।আমি অপরাধী ছিলাম তার কাগজ পত্র দিয়ে প্রমান করুক তারা।এর সঙ্গে বিন্দু মাত্র যোগ ছিল না আমার।মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমরা সঙ্গে ন্যায় বিচার হবে।এটা ন্যায় বিচারের নমুনা।22 বছরের একটি কেস নতুন করে সাজানো হচ্ছে ।তার পুনঃনির্মাণ হচ্ছে এটাই তৃণমূলের চরিত্র।কলেজে তৃণমূলের কয়েকজন চেষ্টা করেছিল একটি ছাত্রীকে দিয়ে শীলতা হানির অভিযোগ আনার।ছবি ছিল বলে সেটা পারিনি।তাই পুরোনো একটি গ্রাম্য বিবাদ কে দিয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।তারা সেই ঘটনার কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারবে না। মিথ্যা কিছু কুৎসা ছাড়া ওদের কিছু করার নেই।তৃণমূল যদি মনে করে রাজ্য জুড়ে যে ভাবা বেগ তৈরি হয়েছে।সেটার ড্যামেজ কন্ট্রল করবে তা কখনও হবে না।তা বিরুদ্ধে যাবে তাদের।মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার তা কখন ও কোন রাজনৈতিক দলকে লাভ দেয় না।

এদিকে নিগৃহত প্রাক্তন শিক্ষক মনসারাম ঘোষ বলেন সুব্রত চ্যাটার্জী মিথ্যা কথা বলছেন।যদিও আমি শিক্ষককে মারধরের ঘটনা সমর্থন করি না।এটা সম্পূর্ণ অন্যায়।কিন্তু 26 শে জানুয়ারি আমি না থাকা সত্বেও সুব্রতের নেতৃত্বে আমাকে মারা হয়েছিল।এখন যেমন মুখ্যমন্ত্রী ওনাকে ফোন করেছিলেন।তখন কিন্তু আমার কাছে জ্যোতি বসু দুঃখ প্রকাশ করেননি।পরে12 বছর কেস চলার পর সুব্রতের দাদা এসে ক্ষমা চাইলে আমি সকলেই কেস তুলে নেওয়া হয়।কিন্ত সুব্রত আজ অবধি কোন ক্ষমা চাননি।কিন্তু সেই কেসের কাগজ পত্র আর আমার কাছে নেই।তবে খোঁজ করলে কাগজপত্র পাওয়া যেতে পারে
১৯৯৭ সালের কেসের সঙ্গে জড়িত বা গ্রাম বাসীরা শিক্ষক মনসারামকে মারের ঘটনা স্বীকার করেছেন।তাদের দাবি সুব্রত বাবু এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।জুতো পেটা করা হয় তাকে।
Body:WB_HGL_KONNAGAR COLLAGE FOLLOW UP_7203418Conclusion:
Last Updated : Jul 28, 2019, 3:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.