শ্রীরামপুর, 25 নভেম্বর: রথযাত্রা এলেই মনে পড়ে হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশের রথ ৷ 1396 সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই রথযাত্রার ৷ তারপর থেকে সাড়ম্বরে চলে আসছে এই রথযাত্রা ৷ পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা বলা হয় মাহেশকে । এই রথকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে এবার উদ্যোগী ডাক বিভাগ ৷ মাহেশের রথের কভার পোস্ট কার্ড (ডাকখাম) ও স্পেশাল স্ট্যাম্পের আত্নপ্রকাশ করল ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফে। শ্রীরামপুর ডাকঘর এবং পৌরসভার উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৷
রাজ্য সরকার মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও রথকে হেরিটেজ পর্যটনের আওতায় এনেছে। মাহেশের রথের এই ঐতিহ্যকে দেশ বিদেশে পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ। এই স্ট্যাম্প এবং স্পেশাল কভার পোস্টকার্ডে শ্রীরামপুর মাহেশের জগন্নাথের রথ, মন্দির ও প্রবেশ দ্বারের ছবি দেওয়া হয়েছে ৷ এদিন মাহেশ মন্দিরে আয়োজিত স্ট্যাম্প ও স্পেশাল কভার পোস্টকার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল সাউথ বেঙ্গল রিজিয়নের ডাকবিভাগের পোস্টমাস্টার শশী সালিনি কুজুর, শ্রীরামপুর ডাকঘরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তপন চক্রবর্তী, মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী, শ্রীরামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা, চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন-সহ অন্যান্যরা। মাহেশ মন্দিরে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই স্পেশাল কভার পোস্ট কার্ড ও স্ট্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: কোচবিহার রাসমেলা আরও 7 দিন বাড়ানোর আবেদন ব্যবসায়ীদের
এই প্রসঙ্গেই মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী জানান, মাহেশ মন্দির, জগন্নাথ দেব ও রথের স্পেশাল কভার পোস্টকার্ড ও স্টাম্প উদ্বোধন হয়েছে, যেটা এটা খুবই গর্বের। এছড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রীরামপুর ডাকঘরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ডাক বিভাগ বিভিন্ন বিষয়, দ্রষ্টব্য স্থানের উপর ডাক টিকিট তৈরি করে। মাহেশের রথ এবং এই জগন্নাথ মন্দির বহু প্রাচীন। অথচ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সেরকম ভাবে মানুষ জানে না। ডাক বিভাগের উদ্দেশ্য হল দেশ-বিদেশে মাহেশকে আরও পরিচিত করানো। অনেকে আছেন যারা ডাক টিকিট সংগ্রহ করেন। তারা এটা সংগ্রহ করবেন আবার তার পরিচিতদের মধ্যেও জানাবেন। এভাবেই প্রচার হবে।’’