হরিপাল, 13 জুলাই : পুলিশের গুলিতে নাকি হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে, কীভাবে মৃত্যু হল মহিলার ? এই নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা । মুকুল রায়ের দাবি, পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন ওই মহিলা । কিন্তু, ফিরহাদ হাকিমের দাবি, মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই সব কথা বলছে BJP । পুলিশ গুলিই চালায়নি ।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল দুপুরে । গতকাল দুপুরে জেজুর পঞ্চায়েতের রাজবল্লভবাটি গ্ৰামে কাটমানি ফেরতের দাবিতে উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী ও সুপারভাইজ়ারের বাড়ি ঘেরাও করে BJP কর্মীরা । বাড়িও ভাঙচুর করা হয় । গতরাতে ফের ওই কর্মীরা উপপ্রধানের বাড়িতে হামলা চালায় । তারা গোপালবাবুর একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় হরিপাল থানার পুলিশ । এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় টহল দিতে শুরু করে পুলিশ । সেই সময় ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই গ্রামেরই স্থানীয় বাসিন্দা বাসন্তী কোলের(৪৫)।
এরপরেই তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা । বাসন্তীর মৃতদেহকে ঘিরে চলে রাজনৈতিক স্লোগান । স্থানীয় BJP নেতা অশোক ঘোষ বলেন, "সকালে গ্রামে পুলিশ লাঠিচার্জ করার সময় বাসন্তী কোলের উপর লাঠিচার্জ করা হয় । তারপরই তাঁর মৃত্যু হয় ।" BJP নেতা মুকুল রায় বলেন, "হরিপালে পুলিশের গুলিতে মারা যায় বাসন্তী কোলে । রাজ্যে এক অরাজকতা শুরু হয়েছে ।"
এর পরিপ্রেক্ষিতে হরিপালে তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় এসে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "হৃদরোগে মারা গেছেন বাসন্তী কোলে । গুলি চালানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি । মুকুলদা বাংলাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন । এই অসত্য বলে তাতিয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে । তাই ওঁকে আমি মিথ্যাবাদী বলতে বাধ্য হচ্ছি ।"
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, "গুলি চালানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি । যেখানে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটি ওই মহিলার বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে । পুলিশ ওঁর বাড়ির কাছে
তল্লাশিতে যায়নি ।" বাসন্তী কোলের বউমা সঞ্চিতা কোলে বলেন, "আমার শাশুড়ি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন । ওঁর ভয় ছিল আমরা স্বামীকে যদি পুলিশ তুলে নিয়ে যায় ! গ্রামে পুলিশ আসতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ।"