হুগলি, 9 মে: ফিল্মি কায়দায় আড়াই বছরের শিশুকে অপহরণ । কয়েকঘণ্টার পর পুলিশ বৈঁচির একটি পেট্রোল পাম্প থেকে উদ্ধার করেছে শিশুটিকে । মঙ্গলবার ঘটনাটি পাণ্ডুয়া এলাকায় ঘটেছে ৷ মুক্তিপণ চেয়ে আসা ফোনের সূত্র ধরেই শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ তবে অভিযুক্তরা এখনও অধারা ৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পাণ্ডুয়া এলাকায় পরিচিত ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন সাহা । তাঁর একটি কম্পিউটারের দোকান রয়েছে । এদিন তাঁর শিশু পুত্রকে নিয়ে বাড়ির কাছেই বাইকে চাপিয়ে ঘুরতে নিয়ে যান সুমন নামে ব্যবসায়ীর এক কর্মী । অভিযোগ, সেই সময় মুখে রুমাল বাঁধা অবস্থায় দুই দুষ্কৃতী এসে সুমনকে মারধর করে ৷ তারপর শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় । আহত অবস্থায় সুমন খবর দেয় মনোরঞ্জন বাবুর স্ত্রীকে । সমস্ত বিষয়টি ফোন করে পান্ডুয়া থানার পুলিশকে জানান হয় । তড়িঘড়ি পান্ডুয়া থানার পুলিশ চলে আসে ব্যবসায়ীর কম্পিউটার সেন্টারে । সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ ।
ঘটনার কয়েকঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দুপুর দু’টো বেজে 10 মিনিট নাগাদ অপহরণকারীরা মনোরঞ্জন সাহাকে ফোন করে লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপণ দাবি করে । পুলিশ সেই মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে অনুসন্ধান শুরু করে ৷ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে । শিশুটিকে নিয়ে দুষ্কৃতীরা গুরাপের দিকে চম্পট দেয় বলে খবর পুলিশ সূত্রে । বেগতিক বুঝে পাণ্ডুয়া থেকে প্রায় 10 কিলোমিটার দূরে বৈঁচি বাসুদেবপুরের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা । পুলিশ সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে পরিবারের হাতে তুলে দেয় । তবে পরিবারের তরফে পাণ্ডুয়া থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি ।
স্থানীয় বাসিন্দা শিব শংকর সাহা বলেন, "দিনে দুপুরে এভাবে অপহরণের ঘটনায় আগে শুনিনি । শোনার পর আমরা সকলেই অবাক হয়ে যাই । শিশুটিকে উদ্ধার হয়েছে এটাই ভালো পুলিশকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন সকলে ।"
পান্ডুয়া থানার পুলিশ জানায়, একটি শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । কি উদ্দেশ্যে কেন শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার তদন্ত চলছে । ঘটনাটি সম্পর্কে মুখ খুলতে চায়নি ব্যবসায়ীর পরিবার । শিশুটি অপহরণের পর মু্ক্তিপন চেয়েও কেন তাকে রেখে দিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ । অ পহরনের উদ্দেশ্য মু্ক্তিপন ছিল না অন্য কিছু তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীকে অপহরণ, 33 লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারকে ফোন