ETV Bharat / state

Hooghly waterlogging : ভাঙা লকগেট, খালের সংস্কার না হওয়ায় বৈদ্যবাটীতে জলযন্ত্রণায় ঘরবন্দি এলাকাবাসী - বৈদ্যবাটীতে ভাঙা লকগেট

এমনিতেই বৃষ্টিতে জল জমেছে ৷ তার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে খালের সংস্কার হয়নি, ভাঙা লকগেট বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ ফলে গঙ্গার জোয়ারের জল ঢুকছে এলাকায় ৷ তাই প্রায় 4 মাস ধরে জলমগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৈদ্যবাটীর বেশ কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৷ পুরসভা নিচু এলাকা বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ৷

জলমগ্ন বৈদ্যবাটীর বেশ কিছু এলাকা
জলমগ্ন বৈদ্যবাটীর বেশ কিছু এলাকা
author img

By

Published : Oct 23, 2021, 10:24 PM IST

বৈদ্যবাটী, 23 অক্টোবর : গঙ্গার জোয়ারের জলে জলমগ্ন বৈদ্যবাটী পৌরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড । জলের তলায় 8 ও 14 নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ জায়গা । বাধ্য হয়ে ত্রাণ শিবির করা হয়েছিল । একে তো করোনা, তার উপর ডেঙ্গুর উপদ্রবও বাড়ছে এই এলাকায় ।

বৈদ্যবাটী খালের লকগেট ভাঙার ফলে বাড়ছে জোয়ারের জল । তাতে জল যন্ত্রণায় ভুগছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ । 3-4 মাস ধরে চলছে এই ভোগান্তি । বার বার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও প্রতিকার হয়নি । যদিও বৈদ্যবাটি পৌরনিগমের প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন অবিলম্বে লকগেট সারাই হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ।

হুগলি বৈদ্যবাটী পুরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের সোনালি পার্ক ও 14 নম্বর ওয়ার্ডের খড়পাড়া নিচু মাঠ এবং ইউআরসি ঢিপির মাঠ এলাকার কয়েকশো পরিবার কার্যত বানভাসি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে । একদিকে ডিভিসির ছাড়া জল, নিম্নচাপের টানা বৃষ্টি, তার সঙ্গে গঙ্গায় জোয়ারের জল ঢুকছে শহরে । এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নিচু মাঠে কোনও নিকাশি ছাড়াই বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে । এতে সব মিলিয়ে জলের মধ্যে বাস করছেন এলাকাবাসী । বড়রা তো আছেনই, এমনকি ছোটদেরও এক কোমর জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে । মানুষ পুরোপুরি ঘরবন্দি ।

আরও পড়ুন : Jalpaiguri Flood : তিস্তা নদীতে জলস্ফীতি, জলমগ্ন জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা

দিল্লি রোড সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলি নিচু হওয়ায় দিনে দিনে সমস্যা বেড়ে চলেছে । ওই এলাকা দিয়ে দু'টি খাল গিয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে খালের কোনও সংস্কার হয়নি, পাড় বা সীমানা বলেও কিছু নেই । সেই সঙ্গে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে বসতি । খাল মজে যাওয়ার কারণেও প্লাবিত হচ্ছে এই এলাকাগুলি । তার উপর প্রায় দু'বছর যাবৎ বৈদ্যবাটী খালের উপরে থাকা লকগেটটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে । ফলত অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জমা জল ও তার সঙ্গে দু'বেলা গঙ্গার জোয়ারের জল ঢুকছে এলাকায় । জমা জল সরতে না সরতেই আবার জলে ভরে যাচ্ছে অঞ্চল ।

এলাকাবাসী সৌখেন সাহা বলেন, "4 মাস হয়ে গেল জলমগ্ন অবস্থায় পড়ে আছি আমরা । গরমকালে খবর দেখতে আসে । এখানে জল জমে কি না, কিন্তু এখন পৌরসভার কারও দেখা নেই । অন্য সময় ডেঙ্গি নিয়ে এত প্রচার করে, অথচ এই পরিস্থিতিতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই ।" তিনিও জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালের কোনও সংস্কার হয়নি, পৌরনিগম আবর্জনা পরিষ্কার করে না । তাঁর অভিযোগ ভোটের সময় মনে থাকে না যে এটা নিচু জায়গা । খালের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করা প্রয়োজন । তিনি বলেন, "আমরা চাই খালের সংস্কার করে জল বের করার ব্যবস্থা করা হোক । এখন কোনও কাউন্সিলর আমাদের কাছে আসছে না ৷"

প্রায় 4 মাস ধরে এ ভাবে জলের মধ্যে দিন-রাত কাটছে বৈদ্যবাটী পৌরনিগমের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের

আরেক বাসিন্দা মহম্মদ লালবাবুও জানান, 3 বছর ধরে এরকম ভাবে খালে জল ভর্তি হয়ে জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে গোটা এলাকা । পৌরনিগমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনিও বলেন, "পৌরসভা সব কিছু দেখে যাচ্ছে, কিন্তু কোনও প্রতিকার করছে না । পৌরসভার প্ল্যানে এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছে । তারপরও যদি বলে নিচু এলাকা, তাহলে কিছু করার নেই । " তাঁর প্রশ্ন, "তাহলে আমরা কোথায় যাব ?"

আরও পড়ুন : Cooch Behar : তোর্ষা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের সরতে মাইকে সতর্ক বার্তা প্রশাসনের

পৌরসভার প্রশাসক ও বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, "ঐ এলাকা নিচু, তাই এই সমস্যা হচ্ছে । তার উপর লকগেট ভাঙা । আমরাও জানিয়েছি । 8 এবং 14 নম্বর ওয়ার্ডে এমনিতেই ধান জমি রয়েছে । তার উপর রেলের জল ড্রেন করে ফেলার কথা ছিল, সেটা মাঠে ছেড়ে দেওয়ার কারণে সমস্যা বেড়েছে ।" তিনি জানান ডানকুনি ও বৈদ্যবাটী খালের সংস্কার না হলে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব নয় । পৌরপ্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, অবিলম্বে এর বিহিত হবে ।

বৈদ্যবাটী, 23 অক্টোবর : গঙ্গার জোয়ারের জলে জলমগ্ন বৈদ্যবাটী পৌরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড । জলের তলায় 8 ও 14 নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ জায়গা । বাধ্য হয়ে ত্রাণ শিবির করা হয়েছিল । একে তো করোনা, তার উপর ডেঙ্গুর উপদ্রবও বাড়ছে এই এলাকায় ।

বৈদ্যবাটী খালের লকগেট ভাঙার ফলে বাড়ছে জোয়ারের জল । তাতে জল যন্ত্রণায় ভুগছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ । 3-4 মাস ধরে চলছে এই ভোগান্তি । বার বার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও প্রতিকার হয়নি । যদিও বৈদ্যবাটি পৌরনিগমের প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন অবিলম্বে লকগেট সারাই হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ।

হুগলি বৈদ্যবাটী পুরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের সোনালি পার্ক ও 14 নম্বর ওয়ার্ডের খড়পাড়া নিচু মাঠ এবং ইউআরসি ঢিপির মাঠ এলাকার কয়েকশো পরিবার কার্যত বানভাসি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে । একদিকে ডিভিসির ছাড়া জল, নিম্নচাপের টানা বৃষ্টি, তার সঙ্গে গঙ্গায় জোয়ারের জল ঢুকছে শহরে । এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নিচু মাঠে কোনও নিকাশি ছাড়াই বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে । এতে সব মিলিয়ে জলের মধ্যে বাস করছেন এলাকাবাসী । বড়রা তো আছেনই, এমনকি ছোটদেরও এক কোমর জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে । মানুষ পুরোপুরি ঘরবন্দি ।

আরও পড়ুন : Jalpaiguri Flood : তিস্তা নদীতে জলস্ফীতি, জলমগ্ন জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা

দিল্লি রোড সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলি নিচু হওয়ায় দিনে দিনে সমস্যা বেড়ে চলেছে । ওই এলাকা দিয়ে দু'টি খাল গিয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে খালের কোনও সংস্কার হয়নি, পাড় বা সীমানা বলেও কিছু নেই । সেই সঙ্গে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে বসতি । খাল মজে যাওয়ার কারণেও প্লাবিত হচ্ছে এই এলাকাগুলি । তার উপর প্রায় দু'বছর যাবৎ বৈদ্যবাটী খালের উপরে থাকা লকগেটটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে । ফলত অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জমা জল ও তার সঙ্গে দু'বেলা গঙ্গার জোয়ারের জল ঢুকছে এলাকায় । জমা জল সরতে না সরতেই আবার জলে ভরে যাচ্ছে অঞ্চল ।

এলাকাবাসী সৌখেন সাহা বলেন, "4 মাস হয়ে গেল জলমগ্ন অবস্থায় পড়ে আছি আমরা । গরমকালে খবর দেখতে আসে । এখানে জল জমে কি না, কিন্তু এখন পৌরসভার কারও দেখা নেই । অন্য সময় ডেঙ্গি নিয়ে এত প্রচার করে, অথচ এই পরিস্থিতিতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই ।" তিনিও জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালের কোনও সংস্কার হয়নি, পৌরনিগম আবর্জনা পরিষ্কার করে না । তাঁর অভিযোগ ভোটের সময় মনে থাকে না যে এটা নিচু জায়গা । খালের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করা প্রয়োজন । তিনি বলেন, "আমরা চাই খালের সংস্কার করে জল বের করার ব্যবস্থা করা হোক । এখন কোনও কাউন্সিলর আমাদের কাছে আসছে না ৷"

প্রায় 4 মাস ধরে এ ভাবে জলের মধ্যে দিন-রাত কাটছে বৈদ্যবাটী পৌরনিগমের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের

আরেক বাসিন্দা মহম্মদ লালবাবুও জানান, 3 বছর ধরে এরকম ভাবে খালে জল ভর্তি হয়ে জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে গোটা এলাকা । পৌরনিগমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনিও বলেন, "পৌরসভা সব কিছু দেখে যাচ্ছে, কিন্তু কোনও প্রতিকার করছে না । পৌরসভার প্ল্যানে এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছে । তারপরও যদি বলে নিচু এলাকা, তাহলে কিছু করার নেই । " তাঁর প্রশ্ন, "তাহলে আমরা কোথায় যাব ?"

আরও পড়ুন : Cooch Behar : তোর্ষা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের সরতে মাইকে সতর্ক বার্তা প্রশাসনের

পৌরসভার প্রশাসক ও বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, "ঐ এলাকা নিচু, তাই এই সমস্যা হচ্ছে । তার উপর লকগেট ভাঙা । আমরাও জানিয়েছি । 8 এবং 14 নম্বর ওয়ার্ডে এমনিতেই ধান জমি রয়েছে । তার উপর রেলের জল ড্রেন করে ফেলার কথা ছিল, সেটা মাঠে ছেড়ে দেওয়ার কারণে সমস্যা বেড়েছে ।" তিনি জানান ডানকুনি ও বৈদ্যবাটী খালের সংস্কার না হলে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব নয় । পৌরপ্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, অবিলম্বে এর বিহিত হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.