পাণ্ডুয়া , 26 ডিসেম্বর : শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগ । গ্রেপ্তার বাবা-মা । শুক্রবার মৃত শিশুর বাবা নারায়ণ টুডু ও মা পূর্ণিমা টুডুকে পাণ্ডুয়ার বৈঁচিগ্রামের মানসমারি থেকে গ্রেপ্তার করে বৈঁচি ফাঁড়ির পুলিশ । গতকাল তাদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে 5 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঁচিগ্রাম মানসমারি পুকুরের পাড়ে স্নান করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরের জলে ইট বাঁধা কাপড় জড়ানো অবস্থায় মৃতদেহ ভাসতে দেখেন । এরপরই পুলিশে খবর দেন তাঁরা । প্রতিবেশী এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থানে এসে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ তদন্তে নামে । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুর শরীরে পচন ধরায় চুঁচুড়া হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি । তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় । গতকাল ওই এলাকা থেকেই মৃত সাতদিনের শিশুকন্যার বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে খুনের কথা অস্বীকার করে দুজনেই । তারা জানায়, মৃত শিশু জন্ম দিয়েছে পূর্ণিমা । তবে তাদের কথায় অসংগতি পায় পুলিশ । সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে যায়নি পূর্ণিমা । এবং কোনও আশা কর্মীর সাথে যোগাযোগ করেননি । আরও জেরায় ভেঙে পড়ে দু'জনে খুনের কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
17 ডিসেম্বর শিশুকন্যার জন্ম দেয় পূর্ণিমা টুডু । এরপর 24 ডিসেম্বর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরের জলে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । পেশায় দিনমজুর নারায়ণ টুডুর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে । পূর্ণিমা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পরিবারের অজানা ছিল বলে জানায় তাদের মেয়ে । এলাকার আশা কর্মীদেরও পূর্ণিমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর অজানা ছিল ।
আরও পড়ুন : জোড়া খুনে চার দোষীকে যাবজ্জীবন
পুলিশ অভিযুক্ত বাবা-মার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে । এমন ঘটনায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও । পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জিত ব্যানার্জি বলেন , "যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা হতবাক এবং দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি চাই । "