হুগলি, 1 মার্চ: রাজ্যে শিক্ষা পরিকাঠামোর এক করুণ ছবি ধরা পড়ল হুগলির গোঘাটে। স্কুল আছে, আছে হাতে গোনা ছাত্র-ছাত্রী ৷ অথচ স্থায়ী শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মী, কেউ নেই। ঘটনাটি হুগলির গোঘাট 2 নং ব্লকের পাণ্ডুগ্রাম বেনেপুকুর শিবতলা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Pandugram Benepukur Shibtala upper primary school) ৷ পড়ুয়া থাকলেও শিক্ষকের অভাবে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ওই স্কুলে।
স্কুলে গিয়ে দেখা গেল কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই। দু'জন মাত্র অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে স্কুল। নেই কোনও শিক্ষাকর্মীও। পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে বর্তমানে খাতায়-কলমে মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা 23 জন। এককথায় বলা যায় চরম অব্যস্থার মধ্য দিয়ে চলছে স্কুল। অভিযোগ, শিক্ষকের অভাবে পড়াশোনা প্রায় লাটে উঠতে বসছে। স্কুলে একজন শিক্ষক রয়েছেন, যার বয়স 65 বছর। আর একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নিযুক্ত থাকলেও দেখা মেলেনি তাঁর । পঠন-পাঠন কার্যত বন্ধ। খাতায়-কলমে 23 জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও একজন ছাত্র এবং 4 জন ছাত্রী বাদে অনুপস্থিত বাকিরা ৷ দেখা নেই মিড-ডে মিলেরও। অশিক্ষক কর্মী না-থাকায় স্কুলের পড়াশোনার বদলে ঝাঁট দেওয়া থেকে শুরু করে স্কুল রুম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও পানীয় জল বয়ে আনা সবই করতে হয় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের । ফলে পড়াশোনা যে স্কুলে একবারেই তলানিতে ঠেকেছে, তা বলাই বাহল্য। আর এই কারণেই ধীরে-ধীরে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের দায়িত্বে থাকা অভয়পদ নন্দী ।
আরও পড়ুন: মর্জিমতো স্কুলে আসেন শিক্ষক, ক্লাস নেন মিড-ডে মিল রাঁধুনি
অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধান্ত শঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ''2012 সাল থেকে নানা সমস্যার মধ্যে চলছে স্কুলটি । সরকারকে দুই থেকে চারজন শিক্ষকের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক পায়নি। অতিথি শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালাতে হচ্ছে। শিক্ষার পরিকাঠামো একেবারে ভেঙে গিয়েছে । সবমিলিয়ে এখন দেখার ওই স্কুলের শিক্ষার হাল ফেরাতে কবে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হয় ৷ স্কুল বাঁচাতে প্রশাসনই বা কি পদক্ষেপ নেয় ।