ETV Bharat / state

উত্তরপাড়ার পুজোতে সম্প্রীতির বার্তা, দুর্গাপুজোর আয়োজনে "সর্বেসর্বা" রবিউল

ছোটো থেকেই নিউ কলোনি পুজো কমিটির সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া । পুজোর খুঁটিনাটি তাঁর যেন ঠোঁটের ডগায় । ভিন ধর্মের হলেও পুজো কমিটির সদস্যরা তাঁকে কোনওদিন দূরে ঠেলে দেননি । পুজোর মেলা কোথায় বসবে । ঢাকি থেকে দশকর্মা সবই যে তাঁর দায়িত্ব । পেশায় রঙের মিস্ত্রি । বর্তমানে থাকেন মেদিনীপুরের তমলুকে । কিন্তু পুজোর সময়টা দিনরাত পুজো মণ্ডপই তাঁর ঠিকানা ।

মুসলিম হয়েও দুর্গা পুজোর সর্বেসর্বা রবিউল
মুসলিম হয়েও দুর্গা পুজোর সর্বেসর্বা রবিউল
author img

By

Published : Oct 23, 2020, 7:05 PM IST

উত্তরপাড়া, 23 অক্টোবর : এটা মিলনের উৎসব । সম্প্রীতির উৎসব । কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম নয় । সকল ধর্ম-সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেই এই পুজো আনন্দের-ভালোবাসার ।

হুগলির উত্তরপাড়ার নিউ কলোনি সর্বজনীন দুর্গাপুজো যেন সেই "সবার" পুজোর এক উদাহরণ হয়ে থাকবে । এখানে দুর্গার ঘট বসানো থেকে শুরু করে সমস্ত পুজোর জোগাড় করেন বছর আটচল্লিশের শেখ রবিউল । বাবার কাজের সূত্র থেকেই উত্তরপাড়ায় জন্ম ও এখানেই বড় হওয়া । তাঁর কণ্ঠে চণ্ডীমন্ত্র শুনে চমকে ওঠেন অনেকে ।

ছোটো থেকেই নিউ কলোনি পুজো কমিটির সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া । পুজোর খুঁটিনাটি তাঁর যেন ঠোঁটের ডগায় । ভিন ধর্মের হলেও পুজো কমিটির সদস্যরা তাঁকে কোনওদিন দূরে ঠেলে দেননি । পুজোর মেলা কোথায় বসবে । ঢাকি থেকে দশকর্মা সবই যে তাঁর দায়িত্ব । পেশায় রঙের মিস্ত্রি । বর্তমানে থাকেন মেদিনীপুরের তমলুকে । কিন্তু পুজোর সময়টা দিনরাত পুজো মণ্ডপই তাঁর ঠিকানা ।

উত্তরপাড়ার নিউ কলোনি সর্বজনীন এ-বছরে 83 বছরে পা দিয়েছে । কোরোনায় পুজোর জাঁকজমক কমেছে । তবে পুজোর আনন্দে ভাটা পড়েনি সদস্যদের মধ্যে । নিজেদের মধ্যে সকলকে আপন করে নিয়েছে । বিগত বছরগুলির মতো বিশাল মণ্ডপ না হলেও এবারে কাপড়-বাঁশ-থার্মোকল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ।

উত্তরপাড়ার পুজোতে সম্প্রীতির বার্তা

শেখ রবিউল বলেন, "বাবা-মার সঙ্গে ছোটোবেলা থেকেই এখানেই । খেলার সূত্র ধরেই উত্তরপাড়া সিএ মাঠে আসা । তারপরই দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়া । গঙ্গাজল আনা থেকে বেদি তৈরি, হোমের কাঠ আনা সব কিছুই করি । আমি অন্য সম্প্রদায় বলে ভাবি না । হিন্দু-মুসলিম বিষয়টা কী গুরুত্ব দিই না ।" কথাগুলো এক নিশ্বাসে বলে গেলেন তিনি । পুজো-ধর্ম-সম্প্রদায়ের কথা উঠতেই রবিউলের সরল স্বীকারোক্তি, "এই পুজোর মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই । সেই টানেই এখানে আসা । তাই হাজার কাজের মধ্যে বেশি টাকা দিলেও পুজোর সময় আমি এখানেই থাকব ।" তিনি আরও বলেন, প্রায় সাড়ে তিন দশক এই পুজোর সঙ্গে জড়িত ৷ এর মধ্যে একবারই পুজো আর ইদ একসঙ্গে হয়েছিল । সেই সময় নবমীর দিন এসেছিলেন ।

পুজো কমিটির এক সদস্য কুশল চৌধুরি বলেন, "উনি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও আমাদের এই পুজো কমিটির সর্বেসর্বা । কলা বউ আনা থেকে নিয়মকানুন সবই তিনি জানেন । আমাদের কমিটির ছোটো বড় সকলের প্রিয় । উনি যেখানেই থাকুন নিউ কলোনির দুর্গাপুজোতে থাকবেনই ।"

উত্তরপাড়া, 23 অক্টোবর : এটা মিলনের উৎসব । সম্প্রীতির উৎসব । কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম নয় । সকল ধর্ম-সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেই এই পুজো আনন্দের-ভালোবাসার ।

হুগলির উত্তরপাড়ার নিউ কলোনি সর্বজনীন দুর্গাপুজো যেন সেই "সবার" পুজোর এক উদাহরণ হয়ে থাকবে । এখানে দুর্গার ঘট বসানো থেকে শুরু করে সমস্ত পুজোর জোগাড় করেন বছর আটচল্লিশের শেখ রবিউল । বাবার কাজের সূত্র থেকেই উত্তরপাড়ায় জন্ম ও এখানেই বড় হওয়া । তাঁর কণ্ঠে চণ্ডীমন্ত্র শুনে চমকে ওঠেন অনেকে ।

ছোটো থেকেই নিউ কলোনি পুজো কমিটির সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া । পুজোর খুঁটিনাটি তাঁর যেন ঠোঁটের ডগায় । ভিন ধর্মের হলেও পুজো কমিটির সদস্যরা তাঁকে কোনওদিন দূরে ঠেলে দেননি । পুজোর মেলা কোথায় বসবে । ঢাকি থেকে দশকর্মা সবই যে তাঁর দায়িত্ব । পেশায় রঙের মিস্ত্রি । বর্তমানে থাকেন মেদিনীপুরের তমলুকে । কিন্তু পুজোর সময়টা দিনরাত পুজো মণ্ডপই তাঁর ঠিকানা ।

উত্তরপাড়ার নিউ কলোনি সর্বজনীন এ-বছরে 83 বছরে পা দিয়েছে । কোরোনায় পুজোর জাঁকজমক কমেছে । তবে পুজোর আনন্দে ভাটা পড়েনি সদস্যদের মধ্যে । নিজেদের মধ্যে সকলকে আপন করে নিয়েছে । বিগত বছরগুলির মতো বিশাল মণ্ডপ না হলেও এবারে কাপড়-বাঁশ-থার্মোকল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ।

উত্তরপাড়ার পুজোতে সম্প্রীতির বার্তা

শেখ রবিউল বলেন, "বাবা-মার সঙ্গে ছোটোবেলা থেকেই এখানেই । খেলার সূত্র ধরেই উত্তরপাড়া সিএ মাঠে আসা । তারপরই দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়া । গঙ্গাজল আনা থেকে বেদি তৈরি, হোমের কাঠ আনা সব কিছুই করি । আমি অন্য সম্প্রদায় বলে ভাবি না । হিন্দু-মুসলিম বিষয়টা কী গুরুত্ব দিই না ।" কথাগুলো এক নিশ্বাসে বলে গেলেন তিনি । পুজো-ধর্ম-সম্প্রদায়ের কথা উঠতেই রবিউলের সরল স্বীকারোক্তি, "এই পুজোর মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই । সেই টানেই এখানে আসা । তাই হাজার কাজের মধ্যে বেশি টাকা দিলেও পুজোর সময় আমি এখানেই থাকব ।" তিনি আরও বলেন, প্রায় সাড়ে তিন দশক এই পুজোর সঙ্গে জড়িত ৷ এর মধ্যে একবারই পুজো আর ইদ একসঙ্গে হয়েছিল । সেই সময় নবমীর দিন এসেছিলেন ।

পুজো কমিটির এক সদস্য কুশল চৌধুরি বলেন, "উনি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও আমাদের এই পুজো কমিটির সর্বেসর্বা । কলা বউ আনা থেকে নিয়মকানুন সবই তিনি জানেন । আমাদের কমিটির ছোটো বড় সকলের প্রিয় । উনি যেখানেই থাকুন নিউ কলোনির দুর্গাপুজোতে থাকবেনই ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.