ETV Bharat / state

মুম্বইয়ে খুন বাঙালি আর্ট ডিরেক্টর

মুম্বইয়ে খুন বাঙালি আর্ট ডিরেক্টর । নাম কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি (36) ৷ বাড়ি হুগলির কোন্নগরের মাস্টারপাড়ায় ৷ গোরেগাঁও এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ৷ শুক্রবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ ৷

কষ্ণেন্দু চৌধুরি
author img

By

Published : Aug 12, 2019, 2:23 AM IST

Updated : Aug 12, 2019, 3:25 AM IST

কোন্নগর ও গোরেগাঁও, 12 অগাস্ট : মুম্বইয়ে খুন বাঙালি আর্ট ডিরেক্টর ৷ গোরেগাঁও এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ৷ দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয় । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে দু'জনকে ।

কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি (36) ৷ বাড়ি হুগলির কোন্নগরের মাস্টারপাড়ায় ৷ 2008 সালে পাড়ি দেন মু্ম্বই ৷ 2014-15 সালে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে পাশ করেন । 2015 সালে হিন্দি সিনেমা আইল্যান্ড সিটিতে আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজও করেছেন । পরে খোলেন প্রোডাকশন হাউজ় । সেখানে কাজ করতেন পাঁচজন । চালাতেন আর্ট স্কুলও ।

গোরেগাঁওয়ের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন কৃষ্ণেন্দু ৷ গত চারবছর কাজের চাপে বাড়ি যেতে পারেননি । তবে মা ও ভাই দিব্যেন্দুর সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হত ৷ গত বুধবার (7 অগাস্ট) মা ছায়া চৌধুরির সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল । ছায়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে একটা ফোন এসেছিল । কলকাতা থেকে রণজিৎ নামে একজন ফোন করেছিলেন । তিনি কৃষ্ণেন্দুর আর কোনও নম্বর আছে কি না জানতে চাইছিলেন । গতকাল খবরের কাগজ থেকে জানতে পেরেছেন ছেলের মৃত্যুর খবর । ছায়া বলেন, "এত বড় শিল্পী এভাবে খুন হয়ে গেল এর একটা বিহিত হবে না ? পুলিশ কিছু ব্যবস্থা করবে না ? আমার ছেলে যদি অসুখ বা দুর্ঘটনায় মারা যেত, তাহলে কিছু বলার ছিল না । এখন যা অবস্থা আর কিছু করার নেই আমার ।" প্রতিবেশী গৌতম দাস বলেন, "কৃষ্ণেন্দু খুব ভালো ছেলে ছিল । মুম্বইয়ে ভালো কাজ করছিল । কিন্তু হঠাৎ কী হল বুঝতে পারছি না । কাগজে খবরটা দেখলাম । কিন্তু ব্যপারটা বিশ্বাস করতে পারছি না । দাবি একটাই, যে বা যারা জড়িত তারা যেন ধরা পড়ে । বিচার চাই আমরা ।"

কী ঘটেছিল ?

বুধবার সন্ধ্যা 7টা নাগাদ অফিস থেকে বেরিয়ে যান কৃষ্ণেন্দু । মাধে (গোরেগাঁওয়ের এক জায়গা) মহম্মদ ফুকরান নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করেন । ডিজ়াইন সংক্রান্ত বিষয় কথাবার্তাও হয় দু'জনের । ফুকরান বলেন, "রাত 8টা থেকে সাড়ে 8টার মধ্যে ওর কাছে দুটো ফোন এসেছিল । এরমধ্যে একটা ফোন কোনও এক মহিলা করেছিলেন । তারপর আমরা আর কিছুক্ষণ কথা বলি । পরে উনি বেরিয়ে যান । বলেন, আরও একটি মিটিং আছে ।"

কল ডিটেলস বলছে, রাত 9 টা 15 নাগাদ কৃষ্ণেন্দু অফিসের এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন । ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ । তিনি জানান, কৃষ্ণেন্দু তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন অফিসের সবাই বেরিয়েছে কি না । এক ঘণ্টা পর ওই মহিলা ফের কৃষ্ণেন্দুকে ফোন করেন । কিন্তু, তিনি ফোন সুইচড অফ পান । হোয়াটসঅ্যাপেও 9টা 16 পর্যন্ত অ্যাক্টিভ ছিলেন কৃষ্ণেন্দু ।

বুধবার রাত থেকে কৃষ্ণেন্দুর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । শুক্রবার দুপুরে বিরার পূর্বের খনিওয়াড়ে থেকে চাদর মোড়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় । পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে । ঘাড় ও তলপেটের কাছে ছিল ছুরির আঘাতের চিহ্ন । পুলিশের অনুমান, অন্য কোথাও তাঁকে খুন করে মাধে এলাকায় এনে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল । তবে, তাঁর ফোন, ল্যাপটপ, গাড়ির খোঁজ পায়নি পুলিশ ।

কী কারণে খুন হতে হল কৃষ্ণেন্দুকে ?

অফিস কর্মীরা জানাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে কিছুদিন আগেই পেমেন্ট নিয়ে কয়েকজনের ঝামেলা হয়েছিল । ফুকরান বলেন, "দু'সপ্তাহ আগের ঘটনা । আমার কাছে এসেছিলেন । সেসময় ফোনে কারোর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হচ্ছিল ।" মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে পুলিশ কৃষ্ণেন্দুর পুরোনো ও বর্তমান কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে । এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক মহিলাসহ দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদ চলছে । তবে, তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে ।

দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে দিব্যেন্দু গতকাল মুম্বই রওনা দেন । ময়নাতদন্তের পর তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হবে দেহ ।

কোন্নগর ও গোরেগাঁও, 12 অগাস্ট : মুম্বইয়ে খুন বাঙালি আর্ট ডিরেক্টর ৷ গোরেগাঁও এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ৷ দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয় । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে দু'জনকে ।

কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি (36) ৷ বাড়ি হুগলির কোন্নগরের মাস্টারপাড়ায় ৷ 2008 সালে পাড়ি দেন মু্ম্বই ৷ 2014-15 সালে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে পাশ করেন । 2015 সালে হিন্দি সিনেমা আইল্যান্ড সিটিতে আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজও করেছেন । পরে খোলেন প্রোডাকশন হাউজ় । সেখানে কাজ করতেন পাঁচজন । চালাতেন আর্ট স্কুলও ।

গোরেগাঁওয়ের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন কৃষ্ণেন্দু ৷ গত চারবছর কাজের চাপে বাড়ি যেতে পারেননি । তবে মা ও ভাই দিব্যেন্দুর সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হত ৷ গত বুধবার (7 অগাস্ট) মা ছায়া চৌধুরির সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল । ছায়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে একটা ফোন এসেছিল । কলকাতা থেকে রণজিৎ নামে একজন ফোন করেছিলেন । তিনি কৃষ্ণেন্দুর আর কোনও নম্বর আছে কি না জানতে চাইছিলেন । গতকাল খবরের কাগজ থেকে জানতে পেরেছেন ছেলের মৃত্যুর খবর । ছায়া বলেন, "এত বড় শিল্পী এভাবে খুন হয়ে গেল এর একটা বিহিত হবে না ? পুলিশ কিছু ব্যবস্থা করবে না ? আমার ছেলে যদি অসুখ বা দুর্ঘটনায় মারা যেত, তাহলে কিছু বলার ছিল না । এখন যা অবস্থা আর কিছু করার নেই আমার ।" প্রতিবেশী গৌতম দাস বলেন, "কৃষ্ণেন্দু খুব ভালো ছেলে ছিল । মুম্বইয়ে ভালো কাজ করছিল । কিন্তু হঠাৎ কী হল বুঝতে পারছি না । কাগজে খবরটা দেখলাম । কিন্তু ব্যপারটা বিশ্বাস করতে পারছি না । দাবি একটাই, যে বা যারা জড়িত তারা যেন ধরা পড়ে । বিচার চাই আমরা ।"

কী ঘটেছিল ?

বুধবার সন্ধ্যা 7টা নাগাদ অফিস থেকে বেরিয়ে যান কৃষ্ণেন্দু । মাধে (গোরেগাঁওয়ের এক জায়গা) মহম্মদ ফুকরান নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করেন । ডিজ়াইন সংক্রান্ত বিষয় কথাবার্তাও হয় দু'জনের । ফুকরান বলেন, "রাত 8টা থেকে সাড়ে 8টার মধ্যে ওর কাছে দুটো ফোন এসেছিল । এরমধ্যে একটা ফোন কোনও এক মহিলা করেছিলেন । তারপর আমরা আর কিছুক্ষণ কথা বলি । পরে উনি বেরিয়ে যান । বলেন, আরও একটি মিটিং আছে ।"

কল ডিটেলস বলছে, রাত 9 টা 15 নাগাদ কৃষ্ণেন্দু অফিসের এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন । ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ । তিনি জানান, কৃষ্ণেন্দু তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন অফিসের সবাই বেরিয়েছে কি না । এক ঘণ্টা পর ওই মহিলা ফের কৃষ্ণেন্দুকে ফোন করেন । কিন্তু, তিনি ফোন সুইচড অফ পান । হোয়াটসঅ্যাপেও 9টা 16 পর্যন্ত অ্যাক্টিভ ছিলেন কৃষ্ণেন্দু ।

বুধবার রাত থেকে কৃষ্ণেন্দুর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । শুক্রবার দুপুরে বিরার পূর্বের খনিওয়াড়ে থেকে চাদর মোড়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় । পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে । ঘাড় ও তলপেটের কাছে ছিল ছুরির আঘাতের চিহ্ন । পুলিশের অনুমান, অন্য কোথাও তাঁকে খুন করে মাধে এলাকায় এনে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল । তবে, তাঁর ফোন, ল্যাপটপ, গাড়ির খোঁজ পায়নি পুলিশ ।

কী কারণে খুন হতে হল কৃষ্ণেন্দুকে ?

অফিস কর্মীরা জানাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে কিছুদিন আগেই পেমেন্ট নিয়ে কয়েকজনের ঝামেলা হয়েছিল । ফুকরান বলেন, "দু'সপ্তাহ আগের ঘটনা । আমার কাছে এসেছিলেন । সেসময় ফোনে কারোর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হচ্ছিল ।" মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে পুলিশ কৃষ্ণেন্দুর পুরোনো ও বর্তমান কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে । এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক মহিলাসহ দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদ চলছে । তবে, তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে ।

দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে দিব্যেন্দু গতকাল মুম্বই রওনা দেন । ময়নাতদন্তের পর তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হবে দেহ ।

Intro:মুম্বাইতে খুন বাঙালি শিল্পী।বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী 36।মুম্বাই পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।কৃষ্ণেন্দুর বাড়ি হুগলি কোন্নগর মাস্টারপাড়ায়।কোন্নগরের বাড়িতে শোকের ছায়া।২০০৮ সালে থেকে মুম্বাই এ পাড়ি দেন কৃষ্ণেন্দু।গোরে গাঁও ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সেখানেই তার নিজেস্ব আর্ট স্কুল চালাতেন।একটি প্রোডাকশন হাউস খুলেছিলেন তিনি।তিন দিন আগে এক বন্ধু কৃষ্ণেন্দুর তার মাকে ফোন করে জানায় তার আর কোনো নম্বর আছে কিনা।তাকে কোন ভাবেই ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।গত বৃহস্পতিবার ছেলের সঙ্গে মায়ের শেষ কথা হয়েছে।মোবাইলে রিচার্জ করে দেওয়ার কথা বলেন ছায়া দেবী।কোন্নগরে স্কুলে পড়াশোনার পর দমদমে আর্ট কলেজে পড়াশোনা করেন।পরে পাড়ি দেন মুম্বাই,সেখানে একাই থাকতেন।শেষ চার বছর কাজের চাপে বাড়ি আসেননি কৃষ্ণেন্দু।তবে মায়ের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা বলতেন বলে জানা গেছে।আজ সকালে তার পরিবার খবর পায় গুড়গাঁওতে তার ফ্লাটের থেকে কিছুটা দূরে শিল্পীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মুম্বাই পুলিশ।খবর পেয়ে কৃষ্ণেন্দুর মাসতুতো ভাই মুম্বাই রওনা দেন।কি কারনে কৃষ্ণেন্দুর মত একজন ভালো শিল্পীকে খুন হতে হল বুঝে উঠতে পারছেন না মা ছায়া দেবী।কৃষ্ণেন্দু মৃত্যুর খবর শুনে প্রতিবেশিরাও হতবাক।মুম্বাইয়ের প্রতিষ্টিত এই শিল্পী অল্প কিছুদিনের মধ্যে কিভাবে তার এতো শত্রু হল।কেনই বা তাকে খুন করা হল সেই নিয়ে প্রশ্ন পরিবারের তরফে।

মা ছায়া দেবী বলেন রনজিত বলে এক বন্ধু কলকাতা থেকে ফোন করে কৃষ্ণেন্দু ফোনে পাচ্ছে না সে।তাই অন্য কোনো নম্বর আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে আমাকে। তার আগে বৃহস্পতিবার কৃষ্ণেন্দু সঙ্গে আমার ফোনে টাকা ভরা নিয়ে শেষ কথা হয়েছিল। এরপর আর খোঁজ পাইনি তার।
মুম্বাই আর্ট ডিরেক্টর ছিল আমার ছেলে।বনগাঁ থেকে চিন্ময় বলে একটি ছেলে তাকে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল।এত বড় শিল্পী সে এভাবে খুন হয়ে গেল তার একটা বিহিত হবে না। পুলিশ কিছু ব্যবস্থা করবে না। আমার ছেলে যদি অসুখ বা দুর্ঘটনায় মারা যেত। তাহলে কিছু বলার ছিল না। এখন যা অবস্থা আর কিছু করার নেই আমার বলেন কৃষ্ণেন্দুর মা।

প্রতিবেশী গৌতম দাস বলেন কৃষ্ণেন্দু খুব ভালো ছেলে ছিল। দমদম আট কলেজ থেকে পাস করার পর পুনে যায় সে। কৃষ্ণেন্দু সেখান থেকেই মুম্বাইয়ের প্রোডাকশন হাউস খোলে।সেখানে ভালো ভাবেই কাজ করছিল ।কিন্তু হঠাৎ কি হল কিভাবে মৃত্যু হল সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয় ।ওর মৃত্যুর খবর আজ খবরের কাগজে পেয়েছি।আমরাও কিছু বুঝতে পারছি না।
WB_HGL_HOOGHLY ARTIST MURDER MUMBAI_7203418
মুম্বাইয়ের নৃশংস ভাবে বাঙালি খুন।আটক 2।তদন্তে মুম্বাই পুলিশ।Body:WB_HGL_HOOGHLY ARTIST MURDER MUMBAI_7203418Conclusion:
Last Updated : Aug 12, 2019, 3:25 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.