ETV Bharat / state

Mohammed Salim: ধর্মের নামে নিজেদের আখের গোছাতে চাইছে বিজেপি-তৃণমূল: সেলিম - Mohammed Salim slams to bjp tmc and rss

পুলিশের সামনে এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে সেটা পুলিশের ব্যর্থতা। বামেদের দাবি, এখন অশান্তি রুখতে পুলিশের হাতে অনেক উন্নত প্রযুক্তি এবং অস্ত্র আছে ৷ অথচ পুলিশ সে সব ব্য়বহার করছে না ৷

Etv Bharat
বামেদের সম্প্রীতির মহামিছিল
author img

By

Published : Apr 9, 2023, 10:26 PM IST

বামেদের সম্প্রীতির মহামিছিল

হুগলি, 9 এপ্রিল: রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি এবং সংঘর্ষের ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপির তুলনা টানলেন সিপিএম রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ গত রবিবার রিষড়ার ঘটনার পর সম্প্রীতির মহামিছিল থেকে আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর হুমকির উদাহরণ টেনে তৃণমূল ও বিজেপিকে একহাত নেন সেলিম ৷ তিনি বলেন, "যাহাই 52 তাহাই 53। আল কায়দা আরএসএস, আইসিস এরা সব ধর্মের নামে আসলে নিজেদের লেজ মোটা করতে চাই ৷"

রামনবমীর পর বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল করেছিল বিজেপি ৷ অভিযোগ সেই মিছিল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে ৷ এমনকি পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, দিনকয়েক পর হনুমান জয়ন্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হয়েছিল ৷ এরপরই রবিবার বামপন্থী দলগুলির ডাকে কোন্নগর বাটা মোড় থেকে উত্তরপাড়ার গৌরি সিনেমা হল পর্যন্ত সম্প্রীতির মহামিছিল হয়। এই মিছিলে সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ছাড়াও যোগ দেয় এসইউসিআই ও সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর নেতৃত্বরা। এদিনের মিছিলে পা মেলাম সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

এদিন সেলিম জানান, রাজ্যের মানুষ শান্তি চায় ৷ তারা চোর-জোচ্চোর, গুন্ডা, সাম্প্রদায়িক অশান্তির বিরুদ্ধে লড়তে চায়। ধর্মের নামে যারা হানাহানি করছে তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। জেলায় জেলায় নামছে, আগামিকাল হাওড়ায় নামবে। এই সংস্কৃতি আগে ছিল না। উৎসব মানে মিলন উৎসব। মানুষকে আলিঙ্গন করা, কোলাকুলি করা। তরোয়াল, ত্রিশূল, বন্দুক, পিস্তল নিয়ে ধর্মীয় জিগির তুলে আসলে ভোট বাড়ানোর যে ফিকির তাকে মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে।

পাশাপাশি তাঁর দাবি, পুলিশের সামনে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেটা পুলিশের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, "বাবরি ধ্বংসের পর পুলিশের হাতে আধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স, জল কামান রয়েছে। অ্য়ান্টি রায়ট স্কোয়াডও তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন, চাকরির দাবিতে আন্দোলন, শিক্ষার আন্দোলনকে রুখতে ৷ আর যেখানে ব্যবহার করার কথা, সেখানে পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। এটা এক ধরনের অপদার্থতা। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার এ ধরনের অশান্তি ঢাকাতে ব্যর্থ ৷ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের আগেই নববর্ষের উপহার ! লক্ষ্মীবারে ধনধান্য়ের উদ্বোধন মমতার

বামেদের সম্প্রীতির মহামিছিল

হুগলি, 9 এপ্রিল: রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি এবং সংঘর্ষের ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপির তুলনা টানলেন সিপিএম রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ গত রবিবার রিষড়ার ঘটনার পর সম্প্রীতির মহামিছিল থেকে আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর হুমকির উদাহরণ টেনে তৃণমূল ও বিজেপিকে একহাত নেন সেলিম ৷ তিনি বলেন, "যাহাই 52 তাহাই 53। আল কায়দা আরএসএস, আইসিস এরা সব ধর্মের নামে আসলে নিজেদের লেজ মোটা করতে চাই ৷"

রামনবমীর পর বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল করেছিল বিজেপি ৷ অভিযোগ সেই মিছিল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে ৷ এমনকি পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, দিনকয়েক পর হনুমান জয়ন্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হয়েছিল ৷ এরপরই রবিবার বামপন্থী দলগুলির ডাকে কোন্নগর বাটা মোড় থেকে উত্তরপাড়ার গৌরি সিনেমা হল পর্যন্ত সম্প্রীতির মহামিছিল হয়। এই মিছিলে সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ছাড়াও যোগ দেয় এসইউসিআই ও সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর নেতৃত্বরা। এদিনের মিছিলে পা মেলাম সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

এদিন সেলিম জানান, রাজ্যের মানুষ শান্তি চায় ৷ তারা চোর-জোচ্চোর, গুন্ডা, সাম্প্রদায়িক অশান্তির বিরুদ্ধে লড়তে চায়। ধর্মের নামে যারা হানাহানি করছে তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। জেলায় জেলায় নামছে, আগামিকাল হাওড়ায় নামবে। এই সংস্কৃতি আগে ছিল না। উৎসব মানে মিলন উৎসব। মানুষকে আলিঙ্গন করা, কোলাকুলি করা। তরোয়াল, ত্রিশূল, বন্দুক, পিস্তল নিয়ে ধর্মীয় জিগির তুলে আসলে ভোট বাড়ানোর যে ফিকির তাকে মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে।

পাশাপাশি তাঁর দাবি, পুলিশের সামনে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেটা পুলিশের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, "বাবরি ধ্বংসের পর পুলিশের হাতে আধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স, জল কামান রয়েছে। অ্য়ান্টি রায়ট স্কোয়াডও তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন, চাকরির দাবিতে আন্দোলন, শিক্ষার আন্দোলনকে রুখতে ৷ আর যেখানে ব্যবহার করার কথা, সেখানে পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। এটা এক ধরনের অপদার্থতা। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার এ ধরনের অশান্তি ঢাকাতে ব্যর্থ ৷ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের আগেই নববর্ষের উপহার ! লক্ষ্মীবারে ধনধান্য়ের উদ্বোধন মমতার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.