হুগলি, 20 জানুয়ারি: 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে চুঁচুড়ার বিধায়ক (Didir Suraksha Kavach)। শুক্রবার তৃণমূলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার । সেখানে সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটেতে শ্রদ্ধা জানানো হয় । পরে দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি বুথে কর্মসূচি শুরু করেন তিনি । এদিন মিছিল মালিক পাড়ায় যেতেই সেখানে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান (didir Suraksha kawach event at Chinsurah ) ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বারবার জানানো সত্বেও পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা ও রাস্তার দাবি পূরণ হয়নি । পানীয় জলের পাইপ লাইন দেওয়া হলেও দু’বছর ধরে জল নেই । স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদেরও সমস্ত বিষয়টি জানান হয়েছে । একটু বর্ষা হলে এলাকায় জল জমে যায় । নিকাশির কোনও ব্যবস্থা নেই । বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা হলেও এখানে দীর্ঘদিন রাস্তা হয়নি । দাবি পূরণে জন্যই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা ৷ বিধায়ক অসিত মজুমদারের আশ্বাসেও চিঁড়ে ভেজেনি ৷
আরও পড়ুন: দিদির দূত হয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন সৌগত রায়
স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাড়ির নোংরা জল বেরনো জায়গা নেই । পানীয় জলের পাইপ লাইন দেওয়া হলেও জল নেই । বারংবার জানানো সত্ত্বেও কিছু হয়নি । বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দিলেও জমা জলে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই । এখানে যে দায়িত্বে আছে তাঁকে পাওয়া যায় না । তাই আমরা বিধায়কের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি ।"
তাঁর কথার রেশ টেনেই বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, "দেবানন্দপুরের মানুষ আগেও জল, রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিল । কাজ হয়নি সেটা বোঝা গেল । সামনে পঞ্চায়েত ভোট । ভোট চাইতে উনি ওখানে বেরিয়েছেন । ওনার ভাগ্য ভালো উনি তাড়াতাড়ি চলে এসেছেন । না-হলে ওনাকে জুতোর মালা পরাত ওখানকার মানুষ ।"
যাকে নিয়ে অভিযোগ সেই তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্যই 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি । মানুষের যদি অভাব অভিযোগ না-থাকে তাহলে তো আমরা ভগবান হয়ে যেতাম । 100% কাজ করা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয় । কিছু বাকি থাকবে।"