দাদপুর ও পাণ্ডুয়া, 8 জানুয়ারি: পিকনিক থেকে ডিজে বাজিয়ে ফেরার সময় তাণ্ডব উন্মত্ত যুবকদের। আটকাতে গেলে এক ইন্সপেক্টর-সহ চার পুলিশকর্মীকে মারধর করা হয়। ঘটনায় পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন সাধারণ মানুষও। ঘটনার সূত্রপাত পাণ্ডুয়ার দ্বারবাসিনী ও দাদপুর থানার আমড়া গ্রামে। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত উত্তেজনা চলে দুই গ্রামে। পরে দাদপুর ও পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ এক মহিলা-সহ 11 জনকে গ্রেফতার করে। সোমবার অভিযুক্তদের চুঁচুড়া আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার আমড়া গ্রামের বেশ কিছু যুবক বলাগড়ে পিকনিক করতে গিয়েছিল। একটি ট্র্যাক্টরের জেনারেটর ও 48টি মাইক এবং বক্স বেঁধে তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে ফিরছিল তারা। প্রথমে পাণ্ডুয়ার দ্বারবাসিনী বাজারে এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী প্রতিবাদ করেন। পালটা তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় ও তাঁর দোকান ভাঙচুর করা হয়। বাধা দিতে গেলে আরও বেশ কয়েকজনকে মারধর করে ওই যুবকরা। সেখানে দু'জনকে ধরে আটকে রাখা হয়। বাকিরা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
তারা দাদপুর থানার অন্তগর্ত আমড়া গ্রামে অভিযুক্তরা ফিরে এলে পুলিশ দ্বারবাসিনীর ঘটনার খবর পেয়ে ডিজে বন্ধের জন্য আসে ৷ তখনই পুলিশের উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে তারা। তাতেই আহত হন এসআই শ্রীমন্ত সিংহ রায় ও দুই কনস্টেবল এবং এক হোমগার্ড। পুলিশ ডিজে বাজেয়াপ্ত করতে গেলে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে দাদপুর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ বাহিনী গিয়ে গ্রাম থেকে এক মহিলা-সহ 9 জনকে গ্রেফতার করে।
তাদের মধ্যে তিন জন পূর্ব বর্ধমান দেবীপুরের বাসিন্দা, যারা ডিজে ভাড়া দিয়েছিল। ডিজে বক্স, মাইক-সহ ট্র্যাক্টর বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আহত পুলিশকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পোলবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দ্বারবাসিনীর ঘটনায় পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ 2জনকে গ্রেফতার করে। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ মোট 11 জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উচ্চস্বরে ডিজে বাজানো, পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে মারধর ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। সোমবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয় ৷
দ্বারবাসিনী বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সত্য ঘোষ বলেন, "গতকাল সন্ধ্যায় 15 জন যুবক পিকনিক করে ফিরছিল। সেই সময় মিষ্টির দোকানদার মাইকের আওয়াজ কমাতে বলে। সেই নিয়ে বচসা মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে। আটকাতে গেলে বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। পরে ব্যবসায়ীরা দু'জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আবেদন করেছি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নিতে।"
আরও পড়ুন: